ঈদের বাজার নিয়ে আর বাড়ি ফেরা হলো না মাইদুল ইসলামের (৩৫)। বিপরীত দিক থেকে আসা প্রাইভেট কারের ধাক্কায় বাড়ির অদূরেই প্রাণ হারালেন তিনি। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের লালপুর উপজেলার গৌরীপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে লালপুর-ঈশ্বরদী আঞ্চলিক মহাসড়কে।

নিহত মাইদুল ইসলাম লালপুরের চামটিয়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে। তিনি ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী।

লালপুর থানা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাইদুল ইসলাম ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। গতকাল বিকেলে প্রতিবেশী সবুজ আলীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে আড়মবাড়িয়া বাজারে ঈদের কেনাকাটা করতে যান। কেনাকাটা শেষে তাঁরা সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিলেন। পথে একটি প্রাইভেট কার তাঁদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এ সময় তাঁরা মোটরসাইকেলসহ সড়কে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিক আশপাশের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মাইদুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই রাত আটটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

আহত সবুজ আলী লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি। ওই হাসাপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ওয়ালিউজ্জামান বলেন, মাইদুল মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয় বলে তিনি শুনেছেন।

লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, মোটরসাইকেলকে একটি প্রাইভেট কার সজোরে ধাক্কা দেওয়ায় মাইদুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে, অন্যজন চিকিৎসাধীন। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে নিহত বেড়ে ২০৫৬, এক সপ্তাহের শোক ঘোষণা

মিয়ানমারে মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত মানুষের সংখ্যা ৩ হাজার ৯০০। এখনো নিখোঁজ ২৭০ জন। এমন অবস্থায় দেশটিতে এক সপ্তাহের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার দেশটির জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাতীয় শোকের অংশ হিসেবে দেশটিতে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।

গত শুক্রবার মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই কম্পন থাইল্যান্ডসহ প্রতিবেশী আরও সাতটি দেশে অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ডেও বহুতল ভবন ধসে পড়াসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

ভূমিকম্পে মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় রয়েছে। শহরটিকে ১৭ লাখ লোকের বসবাস। ভূমিকম্পে সেখানে এমন বিপর্যয় নেমে এসেছে যে সেখানে উদ্ধার তৎপরতা ও জরুরি সহায়তার কার্যক্রম থুবড়ে পড়েছে। মূলত সেখানকার এমন পরিস্থিতি সামনে আসার পর সরকারের পক্ষ থেকে এ শোকের ঘোষণা এল। মান্দালয়ের বাসিন্দারা শুক্রবার থেকে টানা দিনরাত সড়কে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।

জাতিসংঘের আবেদন

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাহায্যকারী সংস্থাগুলো বলছে, গৃহযুদ্ধে নাকাল মিয়ানমারের অবস্থা ভূমিকম্পের ঘটনায় আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সেখানে রাস্তাঘাটে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে, হাসপাতালগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ।

৬০ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার ৪

মিয়ানমারে ভূমিকম্পের প্রায় ৬০ ঘণ্টার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সাগাইং অঞ্চলে ধসে পড়া একটি স্কুল ভবন থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস।

সম্পর্কিত নিবন্ধ