ঈদের বাজার করে বাড়ি ফিরছিলেন, পথে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু
Published: 29th, March 2025 GMT
ঈদের বাজার নিয়ে আর বাড়ি ফেরা হলো না মাইদুল ইসলামের (৩৫)। বিপরীত দিক থেকে আসা প্রাইভেট কারের ধাক্কায় বাড়ির অদূরেই প্রাণ হারালেন তিনি। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের লালপুর উপজেলার গৌরীপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে লালপুর-ঈশ্বরদী আঞ্চলিক মহাসড়কে।
নিহত মাইদুল ইসলাম লালপুরের চামটিয়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে। তিনি ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী।
লালপুর থানা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাইদুল ইসলাম ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। গতকাল বিকেলে প্রতিবেশী সবুজ আলীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে আড়মবাড়িয়া বাজারে ঈদের কেনাকাটা করতে যান। কেনাকাটা শেষে তাঁরা সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিলেন। পথে একটি প্রাইভেট কার তাঁদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এ সময় তাঁরা মোটরসাইকেলসহ সড়কে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিক আশপাশের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মাইদুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই রাত আটটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
আহত সবুজ আলী লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি। ওই হাসাপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ওয়ালিউজ্জামান বলেন, মাইদুল মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয় বলে তিনি শুনেছেন।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, মোটরসাইকেলকে একটি প্রাইভেট কার সজোরে ধাক্কা দেওয়ায় মাইদুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে, অন্যজন চিকিৎসাধীন। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ফেরিওয়ালা খুন
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক ফেরিওয়ালা খুন হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের পীরের বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নীপেশ তালুকদার (৪২)। তাঁর গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সুনামপুর গ্রামে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গতকাল রাত ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নীপেশের গ্রামের বাড়ি দিরাইয়ে হলেও সিলেট নগরের জালালাবাদ থানার তেমুখী এলাকায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। তিনি প্রতিদিন বাইসাইকেল দিয়ে হাটবাজারে পান, সুপারি ও সিগারেট ফেরি করে বিক্রি করতেন। গতকালও একইভাবে বিক্রি শেষে সন্ধ্যায় তিনি পীরের বাজার এলাকা দিয়ে ফিরছিলেন। বাজারের পশ্চিম পাশে আসামাত্রই কিছু ছিনতাইকারী নীপেশের পথরোধ করে এবং একপর্যায়ে তাঁর বুকের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাত করে।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী গতকাল রাত ১২টায় প্রথম আলোকে বলেন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। দ্রুত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে।