ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই কোনো যানজট। আজ শনিবার ভোর থেকে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ক্যাডেট কলেজ থেকে জামুর্কী পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার মহাসড়কে দ্রুতগতিতে গাড়ি চলছে।

নরসিংদী থেকে সকাল ছয়টায় লালমনিরহাট সদরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন আরাফাত ইসলাম। পথে মির্জাপুর বাইপাসের বাওয়ার কুমারজানী এলাকায় মোটরসাইকেল থামিয়ে তিনি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে কিছুটা যানজট রয়েছে। তবে গাজীপুরের চন্দ্রার পর তিনি যানজট দেখেননি।

একই স্থান থেকে কুড়িগ্রাম যেতে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন মালেক মিয়াসহ কয়েকজন যাত্রী। মালেক বলেন, রাস্তায় আগের চেয়ে যানবাহন অনেক বেশি। তারপরও তিনি বাসের জন্য আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। ট্রাকও পাচ্ছেন না। যেসব ট্রাক পাচ্ছেন, তাতে ভাড়া বেশি চাওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যত কষ্টই অউক। বাড়ি তো যাওন লাগব।’

মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মাসুদ খান বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও গতি স্বাভাবিক আছে। মহাসড়কে টহলের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা সব দিক খেয়াল রাখছেন। যানজট যেন না হয়, সে বিষয়ে কাজ করছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ফেরিওয়ালা খুন

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক ফেরিওয়ালা খুন হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের পীরের বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত নীপেশ তালুকদার (৪২)। তাঁর গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার সুনামপুর গ্রামে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গতকাল রাত ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, নীপেশের গ্রামের বাড়ি দিরাইয়ে হলেও সিলেট নগরের জালালাবাদ থানার তেমুখী এলাকায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। তিনি প্রতিদিন বাইসাইকেল দিয়ে হাটবাজারে পান, সুপারি ও সিগারেট ফেরি করে বিক্রি করতেন। গতকালও একইভাবে বিক্রি শেষে সন্ধ্যায় তিনি পীরের বাজার এলাকা দিয়ে ফিরছিলেন। বাজারের পশ্চিম পাশে আসামাত্রই কিছু ছিনতাইকারী নীপেশের পথরোধ করে এবং একপর্যায়ে তাঁর বুকের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাত করে।

বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী গতকাল রাত ১২টায় প্রথম আলোকে বলেন, হত্যাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। দ্রুত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ