ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই কোনো যানজট। আজ শনিবার ভোর থেকে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ক্যাডেট কলেজ থেকে জামুর্কী পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার মহাসড়কে দ্রুতগতিতে গাড়ি চলছে।

নরসিংদী থেকে সকাল ছয়টায় লালমনিরহাট সদরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন আরাফাত ইসলাম। পথে মির্জাপুর বাইপাসের বাওয়ার কুমারজানী এলাকায় মোটরসাইকেল থামিয়ে তিনি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে কিছুটা যানজট রয়েছে। তবে গাজীপুরের চন্দ্রার পর তিনি যানজট দেখেননি।

একই স্থান থেকে কুড়িগ্রাম যেতে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন মালেক মিয়াসহ কয়েকজন যাত্রী। মালেক বলেন, রাস্তায় আগের চেয়ে যানবাহন অনেক বেশি। তারপরও তিনি বাসের জন্য আধা ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। ট্রাকও পাচ্ছেন না। যেসব ট্রাক পাচ্ছেন, তাতে ভাড়া বেশি চাওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘যত কষ্টই অউক। বাড়ি তো যাওন লাগব।’

মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মাসুদ খান বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও গতি স্বাভাবিক আছে। মহাসড়কে টহলের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা সব দিক খেয়াল রাখছেন। যানজট যেন না হয়, সে বিষয়ে কাজ করছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারে নিহত বেড়ে ২০৫৬, এক সপ্তাহের শোক ঘোষণা

মিয়ানমারে মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত মানুষের সংখ্যা ৩ হাজার ৯০০। এখনো নিখোঁজ ২৭০ জন। এমন অবস্থায় দেশটিতে এক সপ্তাহের জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার দেশটির জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জাতীয় শোকের অংশ হিসেবে দেশটিতে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।

গত শুক্রবার মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ওই কম্পন থাইল্যান্ডসহ প্রতিবেশী আরও সাতটি দেশে অনুভূত হয়েছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ডেও বহুতল ভবন ধসে পড়াসহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

ভূমিকম্পে মিয়ানমারে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয় রয়েছে। শহরটিকে ১৭ লাখ লোকের বসবাস। ভূমিকম্পে সেখানে এমন বিপর্যয় নেমে এসেছে যে সেখানে উদ্ধার তৎপরতা ও জরুরি সহায়তার কার্যক্রম থুবড়ে পড়েছে। মূলত সেখানকার এমন পরিস্থিতি সামনে আসার পর সরকারের পক্ষ থেকে এ শোকের ঘোষণা এল। মান্দালয়ের বাসিন্দারা শুক্রবার থেকে টানা দিনরাত সড়কে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।

জাতিসংঘের আবেদন

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাহায্যকারী সংস্থাগুলো বলছে, গৃহযুদ্ধে নাকাল মিয়ানমারের অবস্থা ভূমিকম্পের ঘটনায় আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। সেখানে রাস্তাঘাটে লাশের দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে, হাসপাতালগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের তহবিল সহায়তা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ।

৬০ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার ৪

মিয়ানমারে ভূমিকম্পের প্রায় ৬০ ঘণ্টার পর ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সাগাইং অঞ্চলে ধসে পড়া একটি স্কুল ভবন থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস।

সম্পর্কিত নিবন্ধ