সন্দ্বীপে যেকোনো জিনিসের দাম কেন আকাশছোঁয়া
Published: 29th, March 2025 GMT
সন্দ্বীপ থেকে সীতাকুণ্ডে থিতু হয়েছি প্রায় দুই যুগ। তা হলে কী হবে, আত্মীয়-পাড়াপ্রতিবেশী সবাই তো গ্রামেই আছেন। তাই মাসে কয়েকবার নানা কারণে সন্দ্বীপে যেতে হয়। কিছুদিন আগেও জোয়ার-ভাটার হিসাব কষে স্পিডবোটে উঠতে গিয়েও কাদা মাড়ানোর কষ্ট থেকে নিস্তার পাইনি। আসলে এটাই এই দ্বীপবাসীর নিয়তি। এই নৌপথে কত মৃত্যুর ঘটনাই না ঘটেছে। ২০১৭ সালের সন্দ্বীপ ট্র্যাজেডির কথা আজও ভুলিনি। তখন সি-ট্রাক চলত। এই জলযান পাড়ে ভিড়তে পারত না। সীতাকুণ্ড থেকে যাত্রী নিয়ে সন্দ্বীপ উপকূলে পৌঁছানোর পর যাত্রীদের পাড়ে যেতে হতো লাল বোটে (উপকূলে যাত্রী নামানোর ছোট নৌকা) করে। সেবার এই বোটে উঠে যাওয়ার সময়ই ডুবে মারা যান ১৮ জন। এরপর সি-ট্রাকের পরিবর্তে যাত্রীবাহী জাহাজ দিলেও এখনো উপকূলে যাত্রী ওঠানামা লাল বোটেই হচ্ছে। বন্ধ হয়নি অনিরাপদ স্পিডবোট ও কাঠের ট্রলারে যাত্রী পারাপার। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।
এই পটভূমিকায় ২৪ মার্চ ফেরি সার্ভিস শুরু হচ্ছে, জানার পর সন্দ্বীপের মানুষ হিসেবে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলাম।
উদ্বোধনী ফেরিতে লেখক.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ আমার সেকেন্ড হোম, বাটার চিকেন সুস্বাদু: মাসাকাদজা
দুই বছর পর টেস্ট দলে প্রত্যাবর্তন দারুণভাবে রাঙিয়েছেন ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪ মেডেনে ২১ রানে ৩ উইকেট পেয়েছেন। মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হকের উইকেটের পর তার পকেটে ঢুকেছে তাইজুলের উইকেট। জানিয়ে রাখা ভালো, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও সিঙ্গি মাসাকাদজার ছোট ভাই ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।
২০১৮ সালে সিলেটে টেস্ট ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে পা রেখেছিলেন মাসাকাদজা। যদিও এরপর খুব বেশি টেস্ট খেলা হয়নি তার। ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই টেস্ট। দুই বছর বাইরে থাকার পর আবার সিলেটেই তার ফিরে আসা। ৩১ বছর বয়সী এই স্পিনার অনুভব করেন, বাংলাদেশ তার সেকেন্ড হোম। ফিরে এসে আনন্দ পান। পছন্দ করেন বাংলাদেশের খাবারও।
সোমবার টেস্টের দ্বিতীয় দিনের সকালে ব্রডকাস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাসাকাদজা বলেছেন, ‘‘নিশ্চিতভাবেই (বাংলাদেশে ফিরে ভালো লাগে) । আমি অনুভব করি এটা আমার সেকেন্ড হোম। বিশেষ করে স্পিনার হিসেবে এখানকার কন্ডিশন বেশ মানানসই। তারা সুবিধা পেয়ে থাকে। এখানের বাটার চিকেনও সুস্বাদু।’’
‘‘হ্যাঁ, নিশ্চিতভাবেই এটা দারুণ কিছু (বাংলাদেশে ফেরা) । আমার টেস্ট অভিষেক এখানে হয়েছিল। যেই প্রান্ত থেকে বোলিং শুরু করেছিলাম সেখান থেকেই গতকাল করেছিলাম। কয়েক বছর টেস্ট ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাচ্ছিলাম না। এখন ফিরে এসে ভালো কিছু করেছি যা ভালো লাগছে।’’ – যোগ করেন মাসাকাদজা।
মুশফিকুর ও মুমিনুলকে ফেরাতে দুর্দান্ত কোনো ডেলিভারী করতে হয়নি মাসাকাদজাকে। মুশফিক লেন্থ বল উড়াতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন। মুমিনুল ফিফটি ছোঁয়ার পর হাওয়ায় ভাসানো বল স্লগ সুইপ করতে গিয়ে মিড উইকেটেই ক্যাচ দেন। এছাড়া তাইজুল বল পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।
উইকেটের সহায়তা পেয়ে ভালো করায় উচ্ছ্বসিত মাসাকাদজা, ‘‘আমরা এই উইকেটে সঠিক লাইনে বলটা করতে চেয়েছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম এখানে সিমারদের জন্য কিছু সাহায্য থাকবে। সেরকমই হয়েছে। সেই সাথে আমরা স্পিনাররা কিছু উইকেট পেয়েছি যা নিশ্চিতভাবেই দারুণ সংকেত।’’
সিলেট/ইয়াসিন