অভিষেকেই ওয়ানডের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড! আজ নিউজিল্যান্ডের হয়ে মাত্র ২৪ বলে ফিফটি করে এই রেকর্ড গড়েন মুহাম্মদ আব্বাস। সেই রেকর্ডটি এসেছে কাদের বিপক্ষে? যে দেশটিতে আব্বাসের জন্ম সেই পাকিস্তানের বিপক্ষে।

তাঁর বাবা আজহার আব্বাস পাকিস্তানের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও খেলেছেন এবং দেশটির হয়ে খেলার স্বপ্নও দেখেছিলেন!

আব্বাসের পরিবারের দুই প্রজন্মের স্বপ্নই একটি—ক্রিকেট। আজহার আব্বাস ক্রিকেট একটু বেশি ভালোবাসতেন বলেই তো নিউজিল্যান্ডে পাড়ি জমানোর পরও ক্রিকেট ছাড়েননি। খেলেছেন ওয়েলিংটন ও অকল্যান্ডের হয়েও। বর্তমানে ওয়েলিংটনে সহকারী কোচের দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক এই পেসার। ক্রিকেটটা তাই এই পরিবারের জন্য একটি বেশিই বিশেষ।

উচ্ছ্বসিত, খুব খুশি, কিন্তু একই সঙ্গে অবাকও। ও ভালো খেলোয়াড়, তবে ঘরোয়া ক্রিকেট আরও অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে।মুহাম্মদ আব্বাসের বাবা আজহার আব্বাস

ছেলে মোহাম্মদ আব্বাসের ধ্যানজ্ঞানও এই ক্রিকেটই। সেটিও মাত্র ৩ বছর বয়স থেকে। আব্বাসের বেড়ে ওঠা অকল্যান্ডে। ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলার কথা ছিল আব্বাসের। তবে কোয়ারেন্টিন বাধ্যবাধকতায় শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্ট থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় নিউজিল্যান্ড।

গত ফেব্রুয়ারিতে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ওয়েলিংটনের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরি করেন আব্বাস। ডাক পাওয়ার আগে সব মিলিয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ম্যাচ খেলেছেন ১৫টি। প্রায় ৩৫ গড়ে আব্বাস রান করেছেন ৪৫৪, উইকেট পেয়েছেন ৫টি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ম্যাচ খেলেছেন ২১টি। ৬টি ফিফটির সঙ্গে সেঞ্চুরি আছে ২টি। গড় ৩৬.

১৩। ৩০.৪১ গড়ে উইকেট নিয়েছেন ১২টি। মানে ঘরোয়া ক্রিকেটে আব্বাসের পারফরম্যান্স খুব একটা আহামরি নয়। এমনকি হঠাৎ করে দলে ডাক পাওয়াতে তিনিই অনেকটা অবাক হয়েছেন।

ইএসপিএনক্রিকইনফোতে আজহার আব্বাস বলেছেন এভাবে, ‘ ও (মোহাম্মদ আব্বাস) আসলে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিল, বিষয়টি বোধগম্য। যে কোনো মানুষ এভাবে অনুভব করবে। উচ্ছ্বসিত, খুব খুশি, কিন্তু একই সঙ্গে অবাকও। ও ভালো খেলোয়াড়, তবে ঘরোয়া ক্রিকেট আরও অনেক ভালো খেলোয়াড় আছে। অনেক ক্রিকেটারের খেলা দেখতে ভালো লাগে। ও তাদের একজন। তাই এটি আমাদের সবার জন্যই একটি চমক ছিল।’

আরও পড়ুনআর্জেন্টিনার বিপক্ষে হারের জেরে বরখাস্তই হলেন ব্রাজিল কোচ দরিভাল ১ ঘণ্টা আগে

নিউজিল্যান্ড ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না তাঁর প্রমাণ তো অভিষেক ম্যাচেই দেখা গেল। ইনিংসের ৪২ তম ওভারে উইকেটে আসা আব্বাস ফিফটি তুলে নেন দুই বল বাকি থাকতে। ২৪ বলে ফিফটি করা আব্বাস ইনিংসে শেষ বলে আউট হওয়ার আগে করেন ২৬ বলে ৫২। আব্বাসের আগে অভিষেকে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড ছিল ভারতের ক্রুনাল পান্ডিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলিক অ্যাথানেজের। দুজনেরই লেগেছিল ২৬ বল।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

জয়পুরহাটে অর্থ আত্মসাতের মামলায় এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ব্যবস্থাপক আবার গ্রেপ্তার

জয়পুরহাটে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের মামলায় ইসলামী ব্যাংকের আক্কেলপুর এজেন্ট শাখার ব্যবস্থাপক রিজওয়ানা ফারজানাকে (৩৫) আবারও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার তালোড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে আক্কেলপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম রব্বানী আজ সোমবার সকালে বলেন, আজ গ্রেপ্তার রিজওয়ানা ফারজানাকে আদালতে পাঠানো হবে। মামলার আরও দুই আসামি পলাতক। পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

রিজওয়ানা আক্কেলপুর পৌর শহরের হাজিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। এজেন্ট ব্যাংক কার্যক্রম শুরুর পর থেকে তিনি আক্কেলপুর শাখায় কর্মরত। এজেন্ট ব্যাংকে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫টি মামলা হয়েছে। আরও অন্তত ১০ থেকে ১২ জন গ্রাহক মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এসব ভুক্তভোগীর দাবি, এখন পর্যন্ত তিন কোটির বেশি টাকা আত্মসাতের হিসাব পাওয়া গেছে।

পুলিশ ও অভিযোগকারীদের সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ মার্চ ইসলামী ব্যাংকের আক্কেলপুর এজেন্ট শাখায় গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি ধরা পড়ে। ওই দিন ক্যাশিয়ার মাসুদ রানা গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন। তিনি তখন জানিয়েছিলেন, এসব টাকায় গ্রামে জমি কেনার পাশাপাশি বিভিন্ন সম্পদ অর্জন করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁর স্বীকারোক্তির ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে। ওই রাতেই ব্যাংকটির কার্যালয় থেকে ক্যাশিয়ার মাসুদ রানা, ব্যবস্থাপক রিজওয়ানা ফারজানা ও এজেন্ট জাহিদুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে এক গ্রাহক ওই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এক দিন পরই তাঁরা তিনজন জামিনে মুক্তি পান।

ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা টাকা ফেরতসহ জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে ৯ এপ্রিল আক্কেলপুর পৌর শহর ও ১৩ এপ্রিল জয়পুরহাট শহরের ইসলামী ব্যাংকের সামনে মানববন্ধন করেন। তাঁরা ব্যাংকটির জেলা শাখায় ধরনা দিয়েও টাকা ফেরতের কোনো নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না।

ভুক্তভোগী গ্রাহক ও আক্কেলপুর এফ ইউ পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবদুস ছালাম মণ্ডল বলেন, ‘এ পর্যন্ত তিন কোটির বেশি টাকা আত্মসাতের হিসাব পেয়েছি। এখনো অনেকেই তাঁদের ব্যাংক হিসেবের খোঁজ নিতে পারেননি। এজেন্টের জামানতের টাকাও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নেই। এই টাকা তাঁরা কীভাবে সরালেন, সেটা ইসলামী ব্যাংক জয়পুরহাট শাখার কর্মকর্তাদের জানার কথা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ