চলচ্চিত্র ছাড়বো এটা আমার চয়েস: বর্ষা
Published: 29th, March 2025 GMT
সম্প্রতি চলচ্চিত্র ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন চিত্রনায়িকা বর্ষা। তিনি বলেছিলেন, সন্তানেরা বড় হয়ে মাকে নায়িকা হিসেবে পর্দায় দেখলে নায়িকা পরিচয় কীভাবে নেবে। এই বক্তব্যের প্রতি উত্তরে তারকাদের অনেকেই বর্ষাকে একের পর এক প্রশ্ন করেছেন। এবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারে বর্ষা জানালেন, তিনি যা বলেছেন এটা তার চয়েস। কিন্তু তিনি কীভাবে কথাটি বলবেন, সেই বিষয়ে আগে থেকে কোনো প্ল্যান ছিল না।
বর্ষা বলেন, ‘‘আমি সেদিন কথা বলার জন্য একদমই প্রস্তুত ছিলাম না। সুতরাং আমি যে সাজিয়ে গুছিয়ে কিছু বলবো এরকম কোনো প্ল্যান ছিল না। আপনারা দেখেছেন যে, আমার হাসবেন্ড আমাকে ডাকছিলো, ‘প্লিজ একটু আসো’। সবকিছু আসলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বলতে নেই। আমি কিন্তু বদনজর খুব বিশ্বাস করি। আমার কাছে মনে হয়েছে, আমার হাসবেন্ড সেদিন বাস্তবে যা, তাই ক্যামেরার সামনে দেখাইতে গেছে তো, এই জন্যই মনে হয় কিছু কিছু জায়গায় বদনজর লেগে গেছে। ’’
বর্ষা আরও বলেন, ‘‘দেখেন, কত সুন্দর একটা প্ল্যান, কত সুন্দর একটা ডিসিশন; চলচ্চিত্র ছাড়বো এটা আমার চয়েস। আমিতো কাউকে ডিস রেসপেক্ট করিনি। কাউকে মিন করে কিছু বলিনি। এখনও বলছি না।’’
আরো পড়ুন:
জাজের ‘চিতা’য় অনন্ত-বর্ষা
অনন্ত-বর্ষার সিনেমায় বলিউডের নানা পাটেকর!
ছোট পর্দার গুণী অভিনেত্রী দীপা খন্দকার বর্ষাকে উদ্দেশ্য করে এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘‘এই বয়সে আপনার সন্তান যদি আপনাকে চলচ্চিত্রের তারকা হিসেবে দেখে, এটা হবে গর্বের মুহূর্ত।’’
দীপা খন্দকারের উদ্দেশ্যে বর্ষা বলেন, ‘‘আপু আমিতো আসলে গর্ববোধ করবে, বা কি ভাববে; ওইটা মাথায় রেখে কিছু বলিনি। আমি চলচ্চিত্রে যেভাবে অভিনয় করি, তেমনি কিন্তু বিজনেসও করি। তো কাজ করা কিন্তু থেমে থাকবে না। আমি বিজনেস করবো। শুধু চলচ্চিত্র থেকে বের হয়ে আসবো। ’’
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
গুজরাটে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, নিহত ১৮
ভারতের গুজরাটের একটি আতশবাজির কারখানা ও গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে তার ফলে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ে। সূত্র- বিবিসি বাংলা
গুজরাটের পুলিশ বলছে, মঙ্গলবার সকালে গুজরাটের বনাসকাণ্ঠা জেলার ডীসা শহরে আতশবাজির কারখানায় হঠাৎই বিস্ফোরণ হয়।
বনাসকাণ্ঠা জেলার পুলিশ সুপার অক্ষয়রাজ মাকওয়ানা বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারের কাজ শুরু করা হয়। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, যে সময় ঘটনাটি ঘটে সে সময় ঘটনাস্থলে কারখানার শ্রমিকেরা ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গোডাউনের একাংশেই শ্রমিকেরা তাদের পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। বিস্ফোরণে ভবনের একাংশ ভেঙে পড়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে যান উপস্থিতদের অনেকেই।
পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভবনের একটি স্ল্যাব ধসে পড়ায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। নিহতরা মধ্য প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন।
তিনি বলেন, এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ঘটনায় শোক জানিয়েছেন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেন্দ্র প্যাটেল। নিহতের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণেরও ঘোষণা করেছেন তিনি।
বনাসকাণ্ঠা জেলার কালেক্টর মিহির প্যাটেল বলেন, তীব্র বিস্ফোরণে কারখানার আরসিসি স্ল্যাব ধসে পড়েছে। জেসিবি মেশিনের মাধ্যমে ধ্বংসাবশেষ সরানোর কাজ শুরু হয়।
প্রাথমিকভাবে খবর পাওয়া গেছে, বাজি তৈরির কাজ চলার সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে।
স্থানীয়রা বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যে সময় ঘটনাটি ঘটে সেই সময় কারখানায় কাজ হচ্ছিল।
হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। মুহূর্তে ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। চারিদিক থেকে চিৎকার শোনা যাচ্ছিল।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, যে সময় ঘটনাটি ঘটে তখন ভেতরে কাজ চলছিল। কমপক্ষে ৩৫ জন ছিলেন সেখানে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকে আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করছি।
তবে ওই কারখানায় ঘটনার সময় ঠিক কতজন উপস্থিত ছিলেন, সে বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেননি কর্মকর্তারা।