রাতে থেমে থেমে যানজট, সকালে স্বস্তি মহাসড়কে
Published: 29th, March 2025 GMT
পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে আজও বাড়ির পথে রওনা হয়েছেন হাজারও শ্রমজীবী মানুষ। গতকাল শুক্রবার রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে থেমে থেমে যানজট থাকলেও শনিবার (২৯ মার্চ) সকাল থেকে স্বস্তিতে গন্তব্যে যাচ্ছেন যাত্রীরা।
শিল্পঅধ্যুষিত গাজীপুরে ২১৭৬টি নিবন্ধিত কলকারখানা রয়েছে। এরমধ্যে ১১৫৪টি পোশাক কারখানা। এসব কারখানায় কাজ করেন কয়েক লাখ কর্মী। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ১৪৭৯টি কারখানা ছুটি হয়েছে। কারখানা ছুটি হওয়ায় শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। অন্যান্যবারের তুলনায় এবার ঈদে ছুটি বেশি থাকায় অধিকাংশ মানুষ বাড়ি যাচ্ছেন।
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় শুক্রবার বিকেল থেকে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চন্দ্রা থেকে তিনদিকে প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট দেখা দেয়। রাতভর ছিল যানজট। ফলে দুর্ভোগে পড়েন উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনের যাত্রীরা। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর অংশে কয়েকটি পয়েন্টে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়।
আরো পড়ুন:
চন্দ্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে থেমে থেমে যানজট
চট্টগ্রাম থেকে স্বস্তির ঈদযাত্রা
আজ সকালে সরেজমিনে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থান ঘুরে দেখা যায়, যাত্রীদের চাপ থাকলেও ভোগান্তি নেই। পুলিশের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। কোথাও কোনো পরিবহনকে ২ মিনিটের বেশি অবস্থান করতে দিচ্ছিলেন না তারা। ফলে পরিবহনগুলো যাত্রী নিয়ে দ্রুত অবস্থান পরিবর্তন করে। তবে, চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় অতিরিক্ত যাত্রী ও গাড়ি থাকায় একটু জটলা ছিল।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর এলাকার বাসিন্দা এনামুল হক বলেন, “আমাদের কারখানা গতকাল শুক্রবার ছুটি হয়েছে। ১০ দিন ছুটি থাকায় গতকাল বের হইনি। আজ সকালে বের হয়েছি, চিন্তায় ছিলাম যানজটের। আল্লাহর রহমতে রাস্তা ক্লিয়ার। সবাই আনন্দে বাড়ি ফিরছে।”
আসমা সিদ্দিকা নামে অপর এক যাত্রী বলেন, “১০ বছর গাজীপুর থেকে কাজ করি। প্রতি ঈদেই যানজটের একটা ভয় থাকে। এ বছরের মতো ফাঁকা মহাসড়ক কোনো ঈদে দেখিনি। মনেও হচ্ছে না ঈদের সময়ের মহাসড়ক।”
এদিকে, ৬৬ ভাগ কারখানা ছুটি হওয়ায় জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনে আজ সকালে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে । দৌঁড়াদৌঁড়ি করে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে উঠে তাদের বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে। স্টেশনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দুইটি পকেট গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মূল গেটে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। এসব বাঁধা উপেক্ষা করেই ঘরমুখো মানুষদের স্টেশনে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার আবুল খায়ের চৌধুরী বলেন, “সাধারণ সময়েও জয়দেবপুর জংশনে যাত্রীদের চাপ থাকে। অধিকাংশ কারখানা ছুটি হওয়ায় চাপ বহুগুণ বেড়েছে। আমরা যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে মাইকিং করে সচেতন করছি।”
নাওজোর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইছ উদ্দিন বলেন, “রাতে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ছিল। মহাসড়কের নিরাপত্তা রক্ষায় জেলা, মেট্রোপলিটন ও হাইওয়ে পুলিশের সদস্য কাজ করছেন। তারা যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালন করছেন। আজ সকাল থেকে মহাসড়কে তেমন চাপ নেই। স্বস্তি নিয়েই মানুষ বাড়ি ফিরছেন।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন য নজট য নজট ঈদ উৎসব ঈদ শ ক রব র য নজট র গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন ডিসেম্বরের পর গেলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে
এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচনের বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে। নির্বাচন ডিসেম্বরের পর গেলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হবে। এর অর্থ কিছু অস্থিরতা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল মঈন খান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন, চলতি বছরের মধ্যেই গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকার চায় বিএনপি। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন না হলে ‘জনগণের মধ্যে জোরালো অসন্তোষ’ এবং দেশে অস্থিরতা তৈরি হবে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বোঝানোর চেষ্টা করব যে তাদের জন্য সর্বোত্তম হলো যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া এবং সম্মানজনকভাবে বিদায় নেওয়া।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ‘এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে’ এমন বক্তব্যের পর বিএনপির পক্ষ থেকে তিনি এই সতর্কবার্তা দেন। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তিনি।