হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে যা বললেন তামিম ইকবাল
Published: 29th, March 2025 GMT
হার্ট অ্যাটাক হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া তামিম ইকবাল বাসায় ফিরেছেন গতকাল। এর আগে গত সোমবার বিকেএসপিতে খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে গাজীপুরের কেপিজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সেখানে জরুরি ভিত্তিতে অ্যানজিওগ্রাম করলে তামিমের হার্টে ব্লক পাওয়া যায় এবং তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে রিং পরানো হয়। এরপর তাঁকে নিয়ে আসা হয় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে।
পরবর্তীতে অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গতকাল দুপুরে বাসায় ফিরেছেন তামিম। বাসায় ফিরে গতকাল রাতে ফেসবুক পোস্টে একটি বার্তা দিয়েছেন তামিম। পাঠকদের উদ্দেশে তামিমের সেই পোস্ট হুবহু তুলে ধরা হলো—
আপনাদের সবার দোয়ায় ও সর্বশক্তিমান আল্লাহর রহমতে এখন আমি বাসায়।
উথালপাতাল এই চারটি দিনে নতুন জীবন যেমন পেয়েছি, তেমনি আমার চারপাশকে আবিষ্কার করেছি নতুন করে। সেই উপলব্ধির সবটুকুতে মিশে আছে কেবল ভালো লাগা ও কৃতজ্ঞতা। আপনাদের সবার ভালোবাসার ছোঁয়া ক্যারিয়ারজুড়ে নানা সময়ই পেয়েছি। তবে এবার তা অনুভব করতে পেরেছি আরও তীব্রভাবে। আমি সত্যিই আপ্লুত।
বিকেএসপিতে আমার অসুস্থতার শুরু থেকেই অনেককে পাশে পেয়েছি তাৎক্ষণিকভাবে। ম্যাচ রেফারি দেবু দা (দেবব্রত পাল), বিকেএসপির চিকিৎসকেরা এবং আরও যারা তখন ছিলেন সেখানে, অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার যে ভাই আমাকে দ্রুতগতিতে নিয়ে গেছেন হাসপাতালে, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
আমাদের ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী ডালিম ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাব কীভাবে, আমার আসলে জানা নেই। আমি পরে জেনেছি, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলেছেন যে, ডালিম ভাই ওই সময় সঠিকভাবে সিপিআর না দিলে হয়তো আমাকে বাঁচানো যেত না। উপযুক্ত মানুষকে উপযুক্ত সময়ে আমার পাশে রেখে আল্লাহ আমাকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরিয়েছেন।
মোহামেডানের সাপোর্ট স্টাফ ওয়াসিমের কথা না বললেও নয়। শুরু থেকে এখনও সার্বক্ষণিক সঙ্গী হয়েই আছে আমার।
আরও পড়ুনআর্জেন্টিনার বিপক্ষে হারের জেরে বরখাস্তই হলেন ব্রাজিল কোচ দরিভাল ৩০ মিনিট আগেকেপিজে হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ ডা.
গোটা চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় কেপিজে হাসপাতালের চিকিৎসক, সেবিকা থেকে শুরু করে যারা যে কোনোভাবে যতটুকু সম্পৃক্ত ছিলেন, সবাইকে হৃদয়ে লালন করব আজীবন। এই হাসপাতালে যতটুকু সময় ছিলাম, তাদের হৃদ্যতার পরশ অনুভব করে যাব সব সময়।
ঢাকা শহরের বাইরে ওই এলাকায় এতটা উঁচু মানের হাসপাতাল আছে, এতটা কুশলী চিকিৎসক দল ও স্টাফরা আছেন, দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার এগিয়ে চলার একটি প্রমাণ এটি। দেশজুড়ে নানা জায়গায় এর কাছাকাছি মানের হাসপাতাল যদি আরও কিছু থাকে, আমার মতো আরও অনেক মানুষের প্রাণ রক্ষা পেতে পারে।
ধন্যবাদের তালিকা আসলে শেষ হওয়ার নয়। আরও অনেকেই নানাভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন, অনেকের কথা জানি, অনেকের কথা হয়তো জানি না। এতটুকু জানি, ধন্যবাদ পাওয়ার আশায় তারা কিছু করেননি। আমি তাদের ভালোবাসার ঋণে আবদ্ধ সারা জীবনের জন্য।
পুরোপুরি সেরে ওঠার পথ এখনও দীর্ঘ। আমাকে ও আমার পরিবারকে প্রার্থনায় রাখবেন। সবার জীবন সুন্দর ও শান্তিময় হোক।
ভালোবাসা সবার জন্য।
আরও পড়ুন‘অবৈধ’ বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন সাকিব২৭ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক
এছাড়াও পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা, ২ জন আটক
লক্ষ্মীপুরে চোর সন্দেহে পিটুনিতে শ্রমিক দল নেতা নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকালে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে তিনি মারা যান। এর আগে রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে লক্ষ্মীপুর উপজেলার সবুজের গোঁজা এলাকায় তাঁকে পিটুনি দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম রাজু হোসেন (২৮)। তিনি উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের দপ্তর সম্পাদক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সবুজের গোঁজা নামে এলাকায় রোববার গভীর রাতে কবির হোসেনের বাড়িতে রাজু হোসেন প্রবেশ করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরে অটোরিকশা চোর সন্দেহে রাজুকে পিটুনি দেওয়া হয়। রাতভর কয়েক দফায় তাঁকে পিটুনি দেন স্থানীয় লোকজন। একপর্যায়ে রাজু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সোমবার সকালে তিনি মারা যান।
ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ কবির হোসেন ও রেখা বেগম নামে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। চররুহিতা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, চররুহিতার ৯ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন রাজু হোসেন। গতকাল রাতের অন্ধকারে কবির হোসেন নামে এক ব্যক্তির অটোরিকশা চুরির অপবাদ দিয়ে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কবির হোসেনসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। নিহত রাজুর পরিবার থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।