এটা আমার অভিনয়জীবনের আরেকটা অধ্যায়
Published: 29th, March 2025 GMT
প্রথম আলো:
এর আগে কি তাহলে কেউ আপনাকে এভাবে উপস্থাপন করতে পারেনি?
তাসনিয়া ফারিণ : বিষয়টা মোটেও সেরকমও না। ব্যাটে–বলে কোনো প্রজেক্ট সেভাবে মেলেনি। আমি তো ওটিটিতে অনেক কাজ করছি, কিন্তু হাউ সুইট পুরোপুরি সিনেম্যাটিক স্বাদের ওয়েব ফিল্ম। অ্যাকশন, রম–কম মিলে দারুণ একটা কিছু। এ ধরনের কাজ তো আগে হয়নি। যেহেতু হয়নি, সেহেতু আমারও করা হয়নি। এটাকে আমার অভিনয়জীবনের আরেকটা নতুন অধ্যায় মনে করছি।
প্রথম আলো :
‘ইনসাফ’–এর কী খবর?
তাসনিয়া ফারিণ : এটা নিয়ে এখনো আমার কিছু বলার নেই। ‘ইনসাফ’ নিয়ে আমার কথা বলাও নিষেধ। সময় হলে সবাই তা জানতে পারবে।
প্রথম আলো :
ঈদে এবার কতটি নাটকে দেখা যাবে আপনাকে?
তাসনিয়া ফারিণ : দুই–তিনটা নাটক আসতে পারে; কিন্তু আমি কিছুই জানি না। যেগুলো প্রচারিত হবে সেগুলোও অনেক আগের শুটিং করা। এ বছর কোনো নতুন নাটকের শুটিং করিনি।
আরও পড়ুনসব মিলিয়ে বিয়েটা আমার জন্য আশীর্বাদ: তাসনিয়া ফারিণ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩প্রথম আলো:শোনা যাচ্ছে, চলচ্চিত্র অভিনয় করবেন, তাই নাটকের কাজ কমিয়ে দিচ্ছেন?
তাসনিয়া ফারিণ : একটা কাজের প্রস্তুতির জন্য আসলে আমি ছোট পর্দার কাজ করিনি। এর মধ্যে শুটিং করেছি শুধু ‘হাউ সুইট’–এর। কোন কাজের জন্য আমি নাটকের শুটিং করিনি, তা খুব শিগগিরই সবাই জানতেও পারবেন। তবে আমি সময়–সুযোগ পেলে নাটকের কাজও করতে চাই।
তাসনিয়া ফারিণ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম
নতুন তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব।
সোমবার (২১ এপ্রিল) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ তথ্য জানান তিনি।
ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব লিখেছেন, “নতুন তিনটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমছে। ফাইবার অ্যাট হোমের ম্যানেজমেন্ট নিশ্চিত করেছেন যে- আইটিসি পর্যায়ে ১০ শতাংশ, আইআইজি পর্যায়ে ১০ শতাংশ এবং এনটিটিএন বা ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ মূল্য হ্রাস করবেন তারা। ”
এর আগে আইএসপি লাইসেন্স প্রাপ্ত কোম্পানিগুলোর অ্যাসোসিয়েশন থেকে পাঁচ এমবিপিএসের পরিবর্তে ৫০০ টাকায় ১০ এমবিপিএস ইন্টারনেট প্রদানের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
তারও আগে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে পর্যায়ে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি সকল আইআইজি এবং আইএসপি গ্রাহকদের জন্য ১০ শতাংশ এবং পাইকারি গ্রাহকদের জন্য অতিরিক্ত ১০ শতাংশসহ মোট ২০ শতাংশ দাম কমিয়েছে।
এ নিয়ে ইন্টারনেট লাইসেন্স রেজিমের মোট তিন থেকে চারটি স্তরে ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাকি আছে শুধু মোবাইলসেবা দাতা ৩টি বেসরকারি কোম্পানির দাম কমানোর ঘোষণা। এরইমধ্যে সরকার মোবাইল কোম্পানিগুলোকে বিডব্লিউডিএম এবং ডার্ক ফাইবার সুবিধা দিয়েছে।
তিনি আরো লিখেছেন, “এমতাবস্থায় বেসরকারি মোবাইল কোম্পানিগুলোর ইন্টারনেটের দাম না কমানোর কোনো ধরনের যৌক্তিক কারণ কিংবা অজুহাত অবশিষ্ট থাকে না। সরকার মোবাইল সেবাদাতা কোম্পানিগুলোকে পলিসি সাপোর্ট দিয়েছে এবং সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় স্তরগুলোতে পাইকারি পর্যায়ে ইন্টারনেটের দামও কমিয়েছে। এখন তাদের জাতীয় উদ্যোগে শরিক হওয়ার পালা।”
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জানিয়েছেন, মোবাইল ইন্টারনেটের দাম কমানোর পদক্ষেপে চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতিও সামান্য কিছুটা কমে আসবে বলে আশা করি।
ঈদুল ফিতরের দিন থেকে সরকারি মোবাইল সেবা দাতা কোম্পানি টেলিটক ১০ শতাংশ মূল্য ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছিল। সরকার আশা করে অতি দ্রুতই তিনটি বেসরকারি মোবাইল কোম্পানি অত্যন্ত যৌক্তিকভাবে মোবাইল ইন্টারনেটের মূল্য পতনের ঘোষণা দেবে।
সরকার এখানে দুই ধরনের মূল্য ছাড় আশা করে- প্রথমত, মার্চ মাসে এসআরও অ্যাডজাস্টমেন্ট বাবদ মোবাইল কোম্পানিগুলো যে মূল্য বাড়িয়েছিল সেটা কমাবে। (সরকার শুল্ক বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়ে তা থেকে সরে এসেছে, কিন্তু সেই মতে বর্ধিত মূল্য কমায়নি মোবাইল কোম্পানিগুলো। )
দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক গেটওয়ে/আইটিসি, আইআইজি এবং ন্যাশনাল ট্রান্সমিশন পর্যায়ে যতটুকু পাইকারি দাম কমানো হয়েছে তার সমানুপাতিক হারে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম কমাবে। বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের মানে ব্যাপক প্রশ্ন রয়েছে। মানের তুলনায় দাম অনেক বেশি। এমতাবস্থায় গ্রাহকস্বার্থে যৌক্তিক পদক্ষেপ নিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ঢাকা/হাসান/ইভা