যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার আগে যে সম্পর্ক ছিল, এখন আর তা নেই বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। তিনি বলছেন, আমাদের অর্থনীতির গভীরতর একীভূতকরণ এবং কঠোর নিরাপত্তা ও সামরিক সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে বলছি, সেই সম্পর্ক এখন আর নেই।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অটোয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কার্নি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের মুখে কানাডীয়দের মৌলিকভাবে অর্থনীতি নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। কানাডা প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করবে, যার সর্বোচ্চ প্রভাব পড়বে আমেরিকার ওপর।

বুধবার ট্রাম্প আমেরিকার আমদানি করা গাড়ি ও এর খুচরা যন্ত্রপাতির ওপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছেন। আগামী ২ এপ্রিল থেকে ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এর আগে বাণিজ্য অংশীদার কানাডা, মেক্সিকো ও চীন থেকে আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন। পাশাপাশি ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানিতে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এর জেরে এবার দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা বললেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ১৯৬৫ সালে স্বাক্ষরিত মূল কানাডা-মার্কিন মোটর গাড়ি পণ্য চুক্তি তাঁর জীবদ্দশায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ছিল। এই শুল্কের মাধ্যমে এটি শেষ হয়ে গেল। খবর রয়টার্সের।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কর ছ ন র ওপর

এছাড়াও পড়ুন:

বিশেষ বিসিএসে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের উদ্যোগ

বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে চলতি বছর দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ের চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে হাসপাতালসমূহ সুষ্ঠু ও যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার লক্ষ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে
এই তথ্য জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।

অনুষ্ঠানে নূরজাহান বেগম মন্তব্য করেন, ‘দেশে চিকিৎসকের ঘাটতি অত্যন্ত প্রকট। তবে আশা করছি, বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে।’

বাংলাদেশ রেলওয়ের ১০টি হাসপাতাল যৌথভাবে পরিচালনার জন্য রেলপথ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।

রেল উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, আজ সমঝোতা স্মারক সই হলেও হাসপাতালগুলো সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দিতে কিছুটা সময় লাগতে পারে। বর্তমানে শুধুমাত্র রেলওয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এই হাসপাতালগুলো থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ