২১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি
Published: 29th, March 2025 GMT
চীন সরকার ও সে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ২১০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রায় ৩০টি চীনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করবে। মোংলা বন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্প এবং প্রযুক্তি খাতে সহায়তা দেবে তারা। এ ছাড়া সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ঢাকার পাশে থাকবে বেইজিং।
প্রধান উপদেষ্টা ড.
এদিকে বাংলাদেশ ও চীন ১ চুক্তি, ৮ সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও শি জিনপিংয়ের বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে এসব নথি সই হয়।
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আব্দুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, দুই দেশ অর্থনৈতিক এবং কারিগরি সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি চুক্তি করেছে। এ ছাড়া সাহিত্যের অনুবাদ ও প্রকাশনা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও সহযোগিতা, গণমাধ্যম, ক্রীড়া ও স্বাস্থ্য খাতে মোট আটটি সমঝোতা স্মারকে সই হয়েছে। এ ছাড়া বিনিয়োগ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। চীনের শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলের কার্যক্রম শুরু করা, মোংলা বন্দরের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের জন্য একটি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর, রোবট ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ এবং হৃদরোগ সার্জারি যানবাহন প্রদান বিষয়ে পাঁচটি ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
বাসস জানায়, ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় ৩০টি চীনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের বিশেষ চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা চীনের উদ্যোক্তাদের প্রতি বাংলাদেশে শিল্পে বিনিয়োগ করতে আহ্বান জানানোর পর এসব অঙ্গীকার এসেছে।
চীন মোংলা বন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্পে আরও প্রায় ৪০ কোটি ডলার ঋণ প্রদান, চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে ৩৫ কোটি ডলার এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা হিসেবে আরও ১৫ কোটি ডলার বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। বাকি অর্থ অনুদান ও অন্যান্য ঋণ সহায়তা হিসেবে আসবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও শি জিনপিং অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেছেন। বাংলাদেশকে চীনের উন্নয়ন থেকে অভিজ্ঞতা নেওয়া এবং বাংলাদেশে দ্রুত প্রবৃদ্ধির জন্য সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে প্রস্তাব দেন শি জিনপিং। তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে উত্তরণের দুই বছর পরও অর্থাৎ ২০২৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশে আরও চীনা বিনিয়োগের পথ প্রশস্ত করার জন্য একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এবং বিনিয়োগ চুক্তির জন্য আলোচনা শুরু করতে চায় বেইজিং।
শি জিনপিং বলেন, বাংলাদেশে একটি বিশেষ চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং শিল্প পার্ক নির্মাণে সহায়তা করবে বেইজিং। তিনি চীনে আরও বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানি, বিআরআইয়ে সহযোগিতা এবং ডিজিটাল ও সমুদ্র অর্থনীতির পরিকল্পনাকে স্বাগত জানান। ইউনান এবং চীনের অন্যান্য প্রদেশের হাসপাতালে বাংলাদেশিদের চিকিৎসার সুযোগ বাড়ানোর আগ্রহের কথা জানিয়েছেন জিনপিং। এ ছাড়া বাংলাদেশে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণাও দিয়েছে দেশটি।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের সহযোগিতা কামনা করেন। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন শি জিনপিং। ড. ইউনূস নতুন বাংলাদেশ গঠনে তরুণদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে চীনের সমর্থন চেয়েছেন এবং বাংলাদেশে চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি চীনা প্রকল্প ঋণের সুদের হার কমানো এবং ঋণের প্রতিশ্রুত ফি মওকুফেরও দাবি জানান। এ সময় বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনার কথা জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট। জিনপিং জানান, বাংলাদেশি আম ও কাঁঠালের স্বাদ গ্রহণ করেছেন তিনি। এসবের গুণমানের প্রশংসা করে তিনি বলেন, চীন বাংলাদেশ থেকে ফল আমদানিতে প্রস্তুত।
বৈঠকে চীন থেকে যুদ্ধবিমান ক্রয় এবং কুনমিং ও বাংলাদেশের বন্দরের যোগাযোগের মাল্টিমডাল পরিবহন বিষয়েও আলোচনা করেন দুই নেতা।
বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি
বাসস জানায়, ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রায় ৩০টি চীনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের বিশেষ চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে, যা প্রধান উপদেষ্টা বেসরকারি খাতকে বাংলাদেশের উৎপাদন শিল্পে বিনিয়োগ করতে আহ্বান জানানোর পর এসেছে।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ড. ইউনূস চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বাংলাদেশে চীনা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিনিয়োগের জন্য ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়ার অনুরোধ জানান। প্রেসিডেন্ট শি নিশ্চিত করেন, চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদন কেন্দ্র বৈচিত্র্যময় করতে চাইলে বাংলাদেশে স্থানান্তরের জন্য তিনি উৎসাহিত করবেন। গতকাল ড. ইউনূস বেইজিংয়ে বিশ্বের কিছু বৃহৎ চীনা প্রতিষ্ঠানসহ ১০০টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় বাংলাদেশে উৎপাদন খাতে বিশেষ করে উন্নত টেক্সটাইল, ওষুধ শিল্প, হালকা প্রকৌশল ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়। দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা অব্যাহত রাখবে চীন
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারের শান্তি আলোচনা এবং বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষের সমস্যা সমাধানে চীনের গঠনমূলক ভূমিকার প্রশংসা করে ঢাকা। রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য চীন বাংলাদেশের প্রশংসা করে। সেই সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে পারস্পরিকভাবে গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে সমর্থন করে বেইজিং। চীন তার সর্বোচ্চ সামর্থ্য অনুযায়ী প্রত্যাবাসনের জন্য সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
তাইওয়ানের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ও চীন একে অপরের মূল স্বার্থ এবং প্রধান উদ্বেগের বিষয়গুলোতে পারস্পরিক সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। চীন ধারাবাহিকভাবে অন্যান্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষায় সমর্থন করে এবং বাংলাদেশের জনগণের দ্বারা স্বাধীনভাবে নির্বাচিত উন্নয়নের পথকে সম্মান করে। এ ছাড়া পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়নের পথ অন্বেষণে বাংলাদেশকে সমর্থন করে।
চীন সর্বদা বাংলাদেশের জনগণের প্রতি সুপ্রতিবেশীসুলভ আচরণ এবং বন্ধুত্বের নীতি অনুসরণ করে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্য ও স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমর্থন করে। উভয় পক্ষ জোর দিয়ে বলেছে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ২৭৫৮ প্রস্তাবটি সব প্রশ্ন বা চ্যালেঞ্জের ঊর্ধ্বে। বাংলাদেশ এক চীন নীতির প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এবং অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশ ‘তাইওয়ান স্বাধীনতার’ বিরোধিতা করে। চীনের মূল স্বার্থ এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় চীনের প্রচেষ্টা সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে বাংলাদেশ চীনকে সমর্থন করে।
স্থিতিশীল সম্পর্ক বজায় রেখেছে ঢাকা-বেইজিং
বিবৃতিতে বলা হয়, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক দৃশ্যপটের পরিবর্তন সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ও দুই দেশ স্থিতিশীল উন্নয়ন বজায় রেখেছে। উভয় পক্ষ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে চীনের পাঁচ নীতিকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে একমত হয়েছে। এ ছাড়া ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিতে, রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা এবং উন্নয়ন কৌশলগুলোর মধ্যে সমন্বয়কে আরও গভীর করতে একমত দুই দেশ। চীন-বাংলাদেশ সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বে এগিয়ে যেতে এবং দুই দেশ ও তাদের জনগণের জন্য বৃহত্তর সুবিধা প্রদান করতে সম্মত হয়েছে।
কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী যৌথভাবে উদযাপন
চলতি বছর দুই দেশ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকী যৌথভাবে উদযাপন করতে সম্মত হয়েছে। দুই দেশ জনগণের মধ্যে সফর বিনিময় এবং সংস্কৃতি, পর্যটন, গণমাধ্যম, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা খাতে সহযোগিতা আরও গভীর করতে সম্মত হয়েছে। ইউনান প্রদেশে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা গ্রহণের জন্য চীন যে সুবিধা দিয়েছে, সে জন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
বিআরআইতে সহযোগিতায় একমত
বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বা বিআরআইতে সহযোগিতার বিষয়ে দুই দেশ একমত। শিল্প ও সরবরাহ শৃঙ্খলা, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার, আধুনিকীকরণের জন্য বিআরআইতে একসঙ্গে কাজ করতে দুই দেশ সম্মত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে চীন দীর্ঘস্থায়ী এবং জোরালো সহায়তা করায় বাংলাদেশ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। চীন অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং শিল্পায়ন এগিয়ে নিতে বাংলাদেশকে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের এটি প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। হাইনানে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া সম্মেলনে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে তিনি সফর শুরু করেন। গতকাল শুক্রবার তিনি চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ ছাড়া গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার একাধিক বৈঠক ও সেমিনারে অংশ নেন তিনি।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেবেন ড. ইউনূস
আজ শনিবার সকালে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রধান উপদেষ্টাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করবে। এর পর ড. ইউনূস উপস্থিত সুধীজনের উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন। বিকেলে তিনি চীনা মিডিয়া গ্রুপকে (সিএমজি) সাক্ষাৎকার দেবেন। চার দিনের সফর শেষে প্রধান উপদেষ্টা আজ ঢাকা ফিরবেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ব ধ নত ক ত কর ছ সহয গ ত জনগণ র র জন য অন দ ন কর ছ ন ইউন স সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের নামাজে মাইকের শব্দ নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১২
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় ঈদের নামাজ আদায়ের সময় মাইকের শব্দ বাড়ানো-কমানো নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) দুপুরে উপজেলার দহকোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামে স্থানীয় মাতব্বর আবুল হোসেন কাবুল ও নওয়াব আলীর সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সকালে গ্রামের ঈদগাহে নামাজ আদায়ের সময় মাইকের শব্দ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। পরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরো পড়ুন:
বরিশালে প্রধান জামাতে বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের নামাজ আদায়
সাইপ্রাসে প্রবাসীদের ঈদ উদযাপন
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান জানান, এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়নি। কাউকে আটকও করা যায়নি।
ঢাকা/সোহাগ/বকুল