আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়
Published: 29th, March 2025 GMT
‘আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়। সন্তান যার হারায় সেই বোঝে এর কষ্ট। পুরো রমজানে রাতে আমি ঘুমাতে পারিনি। সামনে আর কেউ যেন হাসিনার (সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) মতো এ রকম মানুষ না মারে। প্রয়োজনে আমরা মায়েরা সামনে যাব, তবুও সন্তানদের হারাতে চাই না।’
কথাগুলো বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন শহীদ মিরাজের মা। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) একটি প্রতিনিধিদল রাজধানীর মিরপুরের জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও খোঁজখবর নিতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
এনসিপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৭ মার্চ দুপুর থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত ছয় শহীদ পরিবারের বাসায় শুভেচ্ছা বিনিময় করে তাঁদের প্রতিনিধিদল। এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীবের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল শহীদ পরিবারের সদস্যদের সার্বিক খোঁজখবর নেয় ও ঈদ উপহার পৌঁছে দেয়।
অন্যদের মধ্যে মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শহীদ মমিন ইসলাম, শহীদ দেলোয়ার হোসেন, দুয়ারীপাড়ার শহীদ বাবুল আক্তার ও রূপনগরের শহীদ সাকিবের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এনসিপির প্রতিনিধিদল।
শহীদ সাকিবের বোন বলেন, ‘আপনাদের আমার মা দেখলে ভালো হতো। আমার মা স্বাভাবিক হতে পারছেন না। খুলনার সোনাডাঙ্গায় নিজ বাড়িতে সারাক্ষণ সাকিব বলে ডাকাডাকি করেন; স্বাভাবিক হতে পারছেন না।’
ইস্টার্ন হাউজিংয়ে ভাড়া বাসায় থাকে শহীদ দেলোয়ারের পরিবার। তিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিলেন। তাঁর ছোট তিন সন্তানের পড়াশোনা, ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত পরিবার। শহীদ দেলোয়ারের স্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেশী সন্তানদের বাবা বলে ডাকতে দেখলে, আমার সন্তানেরা বাসায় এসে মন খারাপ করে।’
দুয়ারীপাড়ার শহীদ বাবুল আক্তারের পরিবারও একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে আর্থিক সংকটে পড়েছে।
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার হলেন শহীদেরা। তাঁরা জীবন উৎসর্গ করে খুনি হাসিনাকে পালাতে বাধ্য করেছেন। তাই সরকারকে অতি দ্রুত শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন করতে হবে। পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বিচার করতে হবে।
এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য ইমরান নাঈম, বিভিন্ন থানা প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেরও থানা প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এনস প র
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদের দিনে নারায়ণগঞ্জে শহীদ সুমাইয়ার বাড়িতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাসার বারান্দায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ সুমাইয়া আক্তারের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। আজ সোমবার ঈদের দিন সকাল ১০টায় সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকার বাড়িতে গিয়ে সুমাইয়ার মা আসমা বেগমের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন উপদেষ্টা।
এ সময় উপদেষ্টা সুমাইয়ার ১০ মাস বয়সী শিশুকন্যা সুয়াইবাসহ পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং ঈদ উপহার ও আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল আমিন, তামিম আহমেদ, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক শওকত আলী, এনসিপি নারায়ণগঞ্জ সংগঠক জোবায়ের হোসেন, ফয়সাল আহমেদ, ফজলে রাব্বি, সোহেল খান সিদ্দিক, রাইসুল ইসলাম, শাহাবুদ্দিন প্রমুখ।
আরও পড়ুনসুমাইয়াকে ছাড়া সোয়াইবার ঈদ৩০ মার্চ ২০২৫নানি আসমা বেগমের কোলে শিশু সোয়াইবা। গত শনিবার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে