ঈদের ছুটিতে বগুড়া থেকে স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানকে নিয়ে কুষ্টিয়ার গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আব্দুল কাদের। তবে মাঝপথেই থেমে গেছে তাদের ঈদযাত্রা। গতকাল শুক্রবার কুষ্টিয়া শহরের ত্রিমোহনী বাইপাস গোলচত্বরে ট্রাকচাপায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রী ও আড়াই বছরের সন্তানের। গুরুতর আহত আব্দুল কাদেরকে ভর্তি করা হয়েছে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ত্রিমোহনী বাইপাস গোলচত্বরের রেলিংয়ের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লেগে সড়কে পড়ে যান ইতি ও তাঁর আড়াই বছরের ছেলে আহনাফ। এ সময় বালুবোঝাই ট্রাক তাদের চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই দু’জন নিহত হন।

গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে মুরগিবাহী চলন্ত পিকআপের ধাক্কায় দু’জন নিহত হয়েছেন। গতকাল সকালে গাজীপুর সদরের হোতাপাড়া এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন পিকআপে থাকা পোলট্রি ব্যবসায়ী জিয়াউল ইসলাম ও হেলপার রাজু মিয়া। সালনা হাইওয়ে থানার ওসি সালেহ আহমদ জানান, ময়মনসিংহগামী একটি মুরগিবাহী পিকআপ দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দু’জন মারা যান। 

ঈদের কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরার পথে কুমিল্লার হোমনায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় সাজ্জাদ হোসেন (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে হোমনা-গৌরীপুর সড়কের হোমনা বাসস্ট্যান্ড-সংলগ্ন একটি গ্যারেজের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সাজ্জাদ হোমনা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এদিকে ইফতারি কিনে বাড়ি ফেরার পথে নাটোরের লালপুরে প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের চালক মইদুল ইসলাম (৩৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বিকেলে লালপুর-ঈশ্বরদী আঞ্চলিক সড়কের চামটিয়া মসজিদ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মইদুল ইসলাম চামটিয়া এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে।

রাজধানীতে বাস উল্টে ৪২ পোশাক শ্রমিক আহত 
রাজধানীর বনানী এলাকায় একটি বাস উল্টে আরোহী ৪২ জন পোশাক শ্রমিক আহত হয়েছেন। গতকাল ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ৩৫ জনের আঘাত গুরুতর নয়। বাকি ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং একজনকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু) ভর্তি করা হয়েছে। 
[প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার অফিস ও প্রতিনিধি]

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত এ দ র ঘটন গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

ছোটবেলায় বায়তুল মোকাররমে হারিয়ে গিয়েছিলাম: সিয়াম

তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই। বিশেষ করে ঈদে তাঁরা কী করেন, কোথায় যান কিংবা ছোটবেলা তাদের ঈদ কেমন ছিল- প্রায়ই এসব প্রশ্ন করেন ভক্তরা। এবার চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ জানালেন, ছোটবেলার বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে গিয়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

সমকাল ঈদ আড্ডায় উপস্থিত হয়ে সিয়াম বলেন, ‘আমি তখন চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি। ছোটবেলায় বাবার সঙ্গে বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তাম। সেখানে তো অনেক মুসল্লি। নামাজের পর কোলাকোলি শেষে দেখি আব্বু পাশে নেই। অনেকক্ষণ বাবাকে খুঁজেছি। পরে দেখি মসজিদ খালি হওয়ার পথে। বাবাকে খুঁজে না পেয়ে একটি রিকশায় করে বাড়ি ফিরি। কিন্তু বাড়ি ফিরে দেখি বাবা তখনো বাসায় আসেনি। তখন তো ফোন ছিল না। এটা আব্বুর বাবার জন্য ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ছিল। কারণ তিনি আশপাশের পুরো এলাকা আমাকে খুঁজেছেন।’

ঈদের সালামি বিয়ে সিয়াম বলেন, ‘আমি জীবনে একজনের কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি সালামি পেয়েছি, তিনি বলেন আমার বাবা। তার কাছ থেকেই আজীবন সালামি নিতে চাই। এখন সালামি নেওয়ার থেকে দেওয়ার পাল্টাটা ভারি। এখন বড় হয়েছি, তাই সবাইকে এখন সালামি দিতে হয়।’

এবার ঈদে মুক্তি পেয়েছে সিয়াম আহমেদের সিনেমা জংলি। এতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন শবনম বুবলী ও প্রার্থনা ফারদিন দিঘী। আরও অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ মামুন অপু, সোহেল খান, এরফান মৃধা শিবলু। সিনেমার গল্প লিখেছেন আজাদ খান, চিত্রনাট্য করেছেন যৌথভাবে মেহেদী হাসান ও কলকাতার সুকৃতি সাহা। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ