মিথি ও তিথি দুই বোন। ওরা ভালো ছাত্রী। তিথির বয়স ৯। সে ক্লাস ফোরে পড়ে আর মিথির বয়স আট। সে পড়ছে থ্রিতে। ওদের বাবা জার্মানি থাকেন। তিথি, মিথি আর ওদের মা একসঙ্গে থাকে। ওদের মা একজন স্কুলশিক্ষক। তিথি এবং মিথি ওদের মায়ের স্কুলেই পড়ে। এতে ওদের খুব সুবিধা। সারাক্ষণ মায়ের কাছাকাছি থাকতে পারে। তিথি আর মিথি খুব ভালো মেয়ে। তারা ঝগড়া করে না। মারামারি করে না। একদিন মিথি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার খুব জ্বর। সে স্কুলে যেতে পারে না। তিথির এতে ভীষণ মন খারাপ হয়। স্কুলে গিয়ে অনেকটা সময় বোনকে ছেড়ে থাকতে তার ভীষণ কষ্ট হয়। স্কুল থেকে ফেরার পথে সে মনে মনে ভাবে, বাসায় গিয়ে সে বোনের যত্ন করবে। এর আগে ডাক্তার কাকু বলেছিলেন, ফল খেলে রোগ কম হয়। জ্বর হলে লেবু, বাতাবিলেবু এসব খাওয়াতে হয়।
স্কুল থেকে ফিরে এসে হাতমুখ ধুয়ে তিথি গাছ থেকে লেবু আর বাতাবিলেবু পেড়ে আনে। টাটকা লেবু দিয়ে মিথির জন্য শরবত করে। বাতাবিলেবুর খোসা ছাড়িয়ে লবণ-মরিচ দিয়ে মেখে দেয়। মায়ের সঙ্গে মিথির মাথা ধুয়ে দেয়।
দু’দিন পরেই তিথির সেবাযত্নে মিথি সুস্থ হয়ে ওঠে।
তারপর মিথি-তিথি আবার একসঙ্গে স্কুলে যায়। মা তিথির কাজে খুশি হয়। তিনি বলেন, তিথি তুমি সত্যি বোনের মতো বোন। প্রতি ঈদের মতো এই ঈদেও মিথি-তিথি একই রকম জামা কিনবে। একসঙ্গে দু’জন মনের আনন্দে ঘুরবে। একজনকে রেখে আরেকজন কোথাও যাবে না।
n বয়স : ৩+৪+৪ বছর; পঞ্চম শ্রেণি, ৮৮ নং মানিকগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মানিকগঞ্জ
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদ উৎসব
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএনসিসির ‘ঈদ আনন্দ উৎসব’, থাকছে ঈদের জামাত, আনন্দমিছিল, মেলা ও অনুষ্ঠান
নগরবাসীর মধ্যে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে বর্ণাঢ্য ঈদ আনন্দ উৎসবের আয়োজন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ঈদুল ফিতরের দিন সকালে ঈদের জামাতসহ এ উৎসব আয়োজনে থাকছে ঈদ আনন্দমিছিল, মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উৎসবে অংশগ্রহণকারীদের জন্য রয়েছে আপ্যায়নের ব্যবস্থাও। এ আয়োজনে ঢাকা উত্তর সিটির ব্যয় হচ্ছে প্রায় দুই কোটি টাকা।
ঢাকা উত্তর সিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঈদের দিন সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে ঈদের জামাত হবে। জামাত শেষে মাঠ থেকেই শুরু হবে ঈদ আনন্দমিছিল। মিছিলটি আগারগাঁওয়ের প্রধান সড়ক হয়ে খামারবাড়ি মোড় দিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে শেষ হবে। সেখানে সংক্ষিপ্ত পরিসরে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকবে সেমাই ও মিষ্টির ব্যবস্থা।
এ ছাড়া আনন্দ উৎসবের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী ঈদ আনন্দমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। ঈদের দিন এবং পরদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ মেলা চলবে। মেলায় উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের ১০০টি স্টলের পাশাপাশি শিশুদের জন্য নাগরদোলা ও অন্য খেলার সরঞ্জাম থাকবে।
ঈদের জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়
ঈদুল ফিতরের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় প্রথমে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। নামাজের জামাতে মূল ইমামতি করবেন কারি গোলাম মোস্তফা। বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মুফতি জুবাইর আহাম্মদ আল-আযহারী।
ঈদের জামাতের জন্য পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে প্রায় ৪৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের প্যান্ডেল করা হয়েছে। প্যান্ডেলের বাইরেও নামাজ আদায়ের জন্য থাকবে কার্পেট ও নামাজের বিছানা। সব মিলিয়ে ঈদের দিন ওই মাঠে একসঙ্গে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন। প্যান্ডেলের ভেতরে দক্ষিণ পাশের একটি সারির বেশির ভাগ জায়গা বরাদ্দ রাখা হবে নারীদের নামাজের জন্য।
মাঠে প্রবেশের জন্য বিভিন্ন অংশে ছয়টি ফটক থাকবে। ফটকে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন পুলিশের সদস্যরা। প্যান্ডেলের দুই পাশে একসঙ্গে ১০০ জন পুরুষ ও ৫০ জন নারীর অজু করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মাঠের বিভিন্ন জায়গায় খাওয়ার পানির ট্যাংক রাখা থাকবে। ঈদের জামাতের জন্য মোট ১২ পেয়ার সাউন্ড সিস্টেম ও ১০০টি মাইক ব্যবহার করা হবে। জামাতে অংশ নিতে যাঁরা ব্যক্তিগত যানবাহনে আসবেন, তাঁদের গাড়ি রাখা যাবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কিংবা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে।
ঈদের জামাতের জন্য পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে প্রায় ৪৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের প্যান্ডেল করা হয়েছে। ২৯ মার্চ