Samakal:
2025-03-31@11:06:07 GMT

ছড়া কবিতা

Published: 28th, March 2025 GMT

ছড়া কবিতা

হা সা ন  হা ফি জ  
চলো চলো

আয় ছড়া আয় না
কিনে দেব আয়না।
তাতে মুখ দেখবি
    সাজুগুজু করবি।
চুলে ফিতে বাঁধবি
তারপর চড়িভাতি 
মাছ গোশ রাঁধবি,
    অতিথি না আসে যদি
    কষে ঠিকই ধরবি। 

আয় ছড়া আয় রে
পাল তোলা নায় রে
    দূর দেশে ভেসে যাবো
    বেড়াতে কী মজা পাবো,
আনো নাও নাইয়া 
ধেয়ে চলো ধাইয়া 
পুবাকাশ কালো করে 
     মেঘ আসে ছাইয়া
হাঁ করে কী দেখো তুমি
    দূরাকাশে চাইয়া 
চলো চলো শিগগির 
    লগি দাঁড় বাইয়া। 

 

শা হ রি য়া র  শা হা দা ত  
চাঁদ খোঁজাদের দলে

খুশির আমেজ নিয়ে যে চাঁদ তারার দেশে হাঁটে
সে চাঁদ দেখার আশায় আমার বছরটা যে কাটে। 
বলতে পারো চাঁদটা কেমন? কখন দেখা মেলে? 
ঠিক বলেছ, বাঁকা সে চাঁদ ঈদের সিজন এলে। 

আকাশ দেখে চাঁদ খুঁজেছ, পশ্চিমে না পুবে? 
কেউ বলে চাঁদ ফেসবুকে আর কেউ বলে ইউটুবে!
যে যা-ই বলুক ওসব কথায় কান দিও না, আরে
বিজ্ঞানীদের টিম যাবে না চাঁদটাকে উদ্ধারে। 

আমার মতো তোমারও কি চাঁদ খোঁজাদের দলে
ঈদের প্লানিং করছো বুঝি নানান কৌতূহলে? 
নতুন ঈদের নতুন চাঁদের একটু দেখা পেতে
মেঘের সিঁড়ি পার হয়ে ঠিক চাঁদবাড়ি চাও যেতে?

চাঁদকে পেলে বলবে, মামা তোমার সাথে আড়ি
ঈদের চমক দিয়ে হারাও কেমন বাড়াবাড়ি?
স্পেশাল তুমি ও চাঁদ মামা অন্য চাঁদের চেয়ে
ঈদ যখনি নকিং দ্যা ডোর খুশি তোমায় পেয়ে।

 

রো মে ন  রা য় হা ন 
আছি বড় দুঃখে

বনরুই, মানে হলো 
পিপীলিকাভুককে
বাড়িতে জায়গা দিয়ে 
আছি বড় দুঃখে!

ওরা খাবে পিপীলিকা
বইয়ে তো এটাই লিখা!

খেতে দিলে কালো করে
রাখে বলে মুখকে
বলেছি, কাচ্চি রাঁধো!
কিচেনের কুককে!

 

শে খ  সা লা হ্ উ দ্দী ন    
হয় না বলা

অই যে দূরের জীর্ণ বস্তিটাতে
থাকি আমি আমার মায়ের সাথে। 
আমার বাবা চালাতো ভ্যানগাড়ি
দুর্ঘটনা ঘটলো সেবার ভারি
আর তাতেই মরলো বাবা, বছর সাতেক হবে–   
আমার তখন দেড় দু’বছর সবে।
সেই থেকেই অভাব আছে ঘিরে
কেউ আমাদের দিকে চায় না ফিরে।

ঈদের দিনে তোমার মনে নাচে কতো খুশি
আমার মনে আনন্দ নাই, কষ্ট শুধু পুষি।  

আমরা ভীষণ কষ্টেসৃষ্টে দিন আনি দিন খাই  
কাল সকালে কী যে খাব তারও জোগাড় নাই।  
তোমার ঘরে রান্নাবান্না হয়েছে আজ মেলা
কিছুটা তার তোমরা খাবে, অনেক যাবে ফেলা।  
আচ্ছা, আমায় খেতে যদি ডাকো তোমার সাথে
খোয়া যাবে সম্মান তোমার, ক্ষতি হবে তাতে?       

ঈদে তুমি অনেক নতুন জামা ও প্যান্ট পেলে
পরবে ক’টা! দুয়েকটা তো রাখবে ঠিকই ফেলে।    
আচ্ছা, যেটা তোমার কাছে সবচেয়ে কম প্রিয়  
ইচ্ছে হলে ওটাই নাহয় ঈদে আমায় দিও।  

এসব কথা বলতে চেয়েও হয় না তোমায় বলা
লজ্জা লাগে, বলতে গেলেই বুজে আসে গলা!

 

পি য়া ন  চ ক্র ব র্ত্তী 
কানের রিং

চাঁদ উঠেছে ঈদ এসেছে   
দিদির কানে চাঁদের মতো রিং   
অই আকাশে দুলতে থাকা
চাঁদটাই আজ কিং! 
ফুল বাগানে ফুল ফুটছে    
পাড়ায় পাড়ায় ঘুরবে বলে    
মাহিন, ফাহিম, ফাতিনরা যে
এক হয়েছে দলে।   

চাঁদটা যেন কুমড়া ফালি    
ওটা দিয়ে মা বানাবে   
নানারকম পিঠেপুলি
সবার মনে খুশির ডালি।
করছে সবাই বলাবলি 
সবাই সবার বন্ধু আজ   
নেই যে কোনো দলাদলি
এটাই তো ঈদের কাজ!

বয়স : ৩+৩+৪ বছর; চতুর্থ শ্রেণি, শিবপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হবিগঞ্জ
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আ.লীগ নিষিদ্ধ করা এই মুহূর্তে দেশের মানুষের গণদাবি: নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার কোনও অধিকার নেই। দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মানুষের গণদাবি। 

আজ সোমবার দুপুরে জুরাইন কবরস্থানে জুলাই গণঅভ্যূত্থানের শহিদদের কবর জিয়ারত শেষে তিনি এ কথা বলেন।

নাহিদ বলেন, আওয়ামী লীগের বিষয়ে অবস্থান খুবই স্পষ্ট। আগেও বলেছি, এখনও বারবার করে বলছি, আওয়ামী লীগের এ দেশে রাজনীতি করার কোনও অধিকার নেই। আওয়ামী লীগ বাংলার মাটিতে আর রাজনীতি করতে পারবে না। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ও মুজিববাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ রায় দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখন সেই রায় কোন প্রক্রিয়ায় কার্যকর হবে, সেটা হচ্ছে আলোচনার বিষয়। যেহেতু বিচার চলছে, আমরা বিচারের প্রতি আস্থাশীল। আমরা মনে করি, বিচার এবং রাজনৈতিক ঐকমত্যের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের যে বিষয়টি সেটি সুরাহা হতে পারে।

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ঈদে আনন্দের মাঝেও আমাদের মধ্যে দুঃখ রয়েছে, কারণ গণঅভ্যুত্থানে আমরা যেসব ভাইবোনকে হারিয়েছি, তাদের ছাড়া অনেকগুলো পরিবার ঈদ পালন করছে। সেই কষ্ট, সেই বেদনার ভাগ নিতেই জুরাইন কবরস্থানে এসেছি। এখানে ১০–১২ জন শহীদের কবর রয়েছে। আমরা কবর জিয়ারত করেছি। পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি, এই ঈদের আনন্দের মাঝে পরিবারগুলো কেমন আছে, সেই শহিদদের স্মরণ করা এবং সেই পরিবারগুলোর কষ্ট ভাগ করা যার জন্য মূলত আজকে এখানে আসা।

আওয়ামী লীগের বিচারের বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি বরাবরের মতোই বলে আসছি। এই পরিবারগুলোর সামনে তো আমরা দাঁড়াতে পারব না। জাতি হিসেবে আমরা যদি তাদের ন্যায়বিচার দিতে না পারি, প্রত্যেক মা-বাবার কাছে সরকার থেকে সহযোগিতা; এগুলো তাদের কাছে বড় বিষয় না, মূলত ন্যায়বিচারটা তারা যাতে পায়, তাদের সন্তানকে যারা গুলি করেছে, হত্যা করেছে এবং আমাদের দলীয় এজেন্ডার মধ্যে বিচার, সংস্কার, গণপরিষদ নির্বাচন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে বিচারটাকে আমরা প্রথমে রেখেছি এবং গুরুত্ব দিচ্ছি।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আপাৎকালীন আমরা বলছি যে, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করা উচিত। আওয়ামী লীগ মার্কা আগামী নির্বাচনে থাকবে না। এটাই শহিদ, আহত পরিবারসহ গণদাবি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতের পরিবারকে সহযোগিতার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, আর সরকারের পক্ষ থেকে পাশে দাঁড়ানো ও সহযোগিতার যে কমতি রয়েছে, সেটা আরও বাড়ানো উচিত, আমি যখন দায়িত্বে ছিলাম, আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করেছি, যে পরিবারকে যেটা সহযোগিতা মাসিক ভাতার যে ঘোষণা হয়েছিল সেটা ঈদের আগে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আমরা যোগাযোগ করেছি, খুব কম পরিমাণ পরিবারের কাছে সেটি পৌঁছাতে পেরেছে। আমরা আশা করব, সরকার এসব বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতি বা ঘোষণা দিয়েছে, তা দ্রুতগতিতে বাস্তবায়ন করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ