Samakal:
2025-04-21@01:19:02 GMT

হাতের টানেই উঠে যায় কার্পেটিং

Published: 28th, March 2025 GMT

হাতের টানেই উঠে যায় কার্পেটিং

আমতলীতে সড়কের নির্মাণকাজ এক সপ্তাহ আগে শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে হাত দিয়ে টানলেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। এ চিত্র দেখা গেছে চাওড়া ইউনিয়নের লোদা সেতু থেকে কাউনিয়া ইসমাইল মাস্টারবাড়ি পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়কে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুরু থেকে সড়কটিতে নিম্নমানের কাজ হচ্ছিল। বাধা উপেক্ষা করে ঠিকাদার কাজ অব্যাহত রাখেন।
তবে সড়ক নির্মাণে কোনো অনিয়ম হয়নি দাবি করেছেন দায়িত্বে থাকা উপজেলা এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী নিজাম উদ্দিন। 
২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল চাওড়া ইউনিয়নের লোদা সেতু থেকে কাউনিয়া ইসমাইল মাস্টারবাড়ি পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে বরগুনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল কার্যালয় থেকে দরপত্র আহবান করা হয়। সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে ১ কোটি ৬৭ লাখ ১৪ হাজার ৬৮৯ টাকার কাজটি পায় বরগুনার রহমান ট্রেডার্স। ২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর শেষ করার কথা ছিল। শুরুতেই ঠিকাদার শাহিন তালুকদারের বিরুদ্ধে কম উপকরণ ও নিম্নমান সামগ্রী দিয়ে কাজ করার অভিযোগ ওঠে। ৫ ইঞ্চি বেজমেন্টে বালু মিশ্রিত খোয়া দেওয়ার কথা থাকলেও কাদা মাটি মিশ্রিত বালু ব্যবহার করা হয়। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও ঠিকাদার সড়কে খোয়া ফেলে লাপাত্তা হয়ে যান। চলতি বছর মার্চ মাসে আবার কাজ শুরু করেন। এর মধ্যে ময়লা এবং কাদার আস্তরণে খোয়া ঢেকে যায়। কাদার আস্তরণের ওপরই কার্পেটিং শুরু হয়। কার্পেটিংয়ের পুরুত্ব ৪০ মিলিমিটার হওয়ার কথা। দেওয়া হয়েছে ২০-২৫ মিলিমিটার। বিটুমিনও কম দেওয়া হয়েছে। দায়সারাভাবে গত ২২ মার্চ কাজ শেষ করে ১ কোটি ৫৬ লাখ ১৪ হাজার ৬৮৯ টাকা বিল তুলে নিয়েছেন ঠিকাদার।
শুক্রবার সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সাত দিন পেরিয়ে গেলেও কার্পেটিং নরম অবস্থায় রয়েছে। এ সময় ক্ষিপ্ত গ্রামের বাসিন্দারা হাত দিয়ে টান দিলে পুরো সড়কের কার্পেটিং উঠে যায়।
কাউনিয়া গ্রামের শিক্ষক কামাল গাজীর অভিযোগ, ঠিকাদার সড়কের কাজে শুরু থেকেই দুর্নীতি করেছেন। নিম্নমানের খোয়া, কাদামিশ্রিত বালু, ভেজাল ক্রাশিন ও পোড়া মবিল মিশ্রিত বিটুমিন ব্যবহার হয়েছে সড়কে। পরিমাণেও কম দিয়ে তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করায় হাতের টানেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। 
ঠিকাদার শাহিন তালুকদার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কার্পেটিং শক্ত হয়েছে। স্থানীয়রা শত্রুতা করে দা-খুন্তি দিয়ে খুচিয়ে কার্পেটিং তুলে ফেলেছে।
উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো.

ইদ্রিস বলেন, ১০ পার্সেন্ট জামানত বাদে এখনও ঠিকাদারকে ১১ লাখ টাকা বিল দেওয়া হয়নি। সড়ক নির্মাণে কোনো দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক র সড়ক

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী খুন

সিলেটের বিশ্বনাথে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিপেশ তালুকদার (৪২) নামে এক ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী (ফেরিওয়ালা) নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের পীরের বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে রাত ১১টায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ। নিহত নিপেশ তালুকদার সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার সুনামপুর গ্রামের সানন্দ তালুকদারের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পরিবার নিয়ে সিলেটের জালালাবাদ থানার তেমুখিস্থ খালেদ মিয়ার বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় ভাড়ায় বসবাস করে আসছিলেন।

প্রাথমকিভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে সর্বস্ব লুটে নিয়েছে। 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত নিপেশ তালুকদারকে স্থানীয়রা বাবু নামে চিনতেন। তিনি (নিপেশ) প্রতিদিন বাইসাইকেলে করে বাজারে বাজারে পান, সুপারি, সিগারেট, কয়েল ইত্যাদি ফেরি করে বিক্রি করতেন। রোববারও সন্ধ্যায় একইভাবে বাইসাইকেল দিয়ে মালামাল বিক্রি শেষে পীরের বাজারের পশ্চিমে যাওয়া মাত্রই অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকারীরা তার বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে মালপত্র ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় পীরের বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুছ আলীর চায়ের দোকানে দৌড়ে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানান। কিন্তু লোকজন তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি মারা যান।

খবর পেয়ে একদল পুলিশসহ রাত ১১টার দিকে সিলেটের ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান ও বিশ্বনাথ থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তারা লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী হত্যার সত্যতা স্বীকার করে সমকালকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকারীরাই তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ