হরভজনের কাছে হিন্দি পরীক্ষা দিয়ে কত পেলেন উইলিয়ামসন
Published: 28th, March 2025 GMT
এবারের আইপিএলে ক্রিকেটার হিসেবে নেই কেইন উইলিয়ামসন। তবুও এই টুর্নামেন্টে ঠিকই আছেন তিনি—ধারভাষ্য দিচ্ছেন, করছেন খেলার বিশ্লেষণ। ওখানে মাঝেমধ্যে তাঁর ‘সেন্স অব হিউমার’ দিয়ে দিচ্ছেন আনন্দও।
তেমন একটি মজার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দিয়েছে স্টার স্পোর্টস। আইপিএলের সম্প্রচারক চ্যানেলটির এক অনুষ্ঠানে উইলিয়ামসনের হিন্দি ভাষাজ্ঞানের পরীক্ষা নেন ভারতের সাবেক স্পিনার হরভজন সিং।
কিউই তারকার কাছে তিনি জানতে চান হিন্দি ‘শতক’ শব্দটির অর্থ কী। এ জন্য ক্লুও দেওয়া হয় উইলিয়ামসনকে, ‘এই জিনিস তোমার অনেকগুলো আছে।’ অনুমান করতে গিয়ে উইলিয়ামসন বললেন, ‘ছেলেমেয়ে?’ সঙ্গে সঙ্গেই অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন হরভজন ও উপস্থাপক। উত্তরটা যে ভুল, বুঝতে পারেন উইলিয়ামসন, তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, কয়টা ছেলেমেয়ে তাঁর? কিউই ব্যাটসম্যান জানান, ‘তিনটি’। তখন হরভজন বলেন, ‘না, এটা আরও বেশি।’
তখন আবারও অনুমান করেন উইলিয়ামসন— ‘উইকেট’। ব্যাটসম্যান হিসেবে খ্যাতি থাকলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর ৭৩টি উইকেটও আছে। তবে ওই উত্তরটিও যে সঠিক হয়নি, বুঝতে খুব বেশি সময় লাগেনি উইলিয়ামসনের। একটু পরই তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় আসল উত্তর, ‘শতক’ মানে ‘সেঞ্চুরি’ ।
আরও পড়ুন৪১ বলে ১৩ ছক্কা, ১২৩ রান—হায়দরাবাদের অনিকেতের আসল পরিচয় কী১ ঘণ্টা আগেআইপিএলের গত আসরে ক্রিকেটার হিসেবেই ছিলেন উইলিয়ামসন—তবে গুজরাট টাইটানসের হয়ে দুটি ম্যাচে খেলেছেন তিনি। এ বছরের নভেম্বরে মেগা অকশন থেকেও উইলিয়ামসনকে নেওয়ার আগ্রহ ছিল না কারও। এরপর ধারাভাষ্যকার হিসেবে এবারের আইপিএলে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন উইলিয়ামসন।
ক্রিকেটের মাঠটাও অবশ্য এখনো ছাড়েননি উইলিয়ামসন। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও খেলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে সেঞ্চুরিও করেছেন তিনি। পরে তাঁর দল নিউজিল্যান্ড উঠেছে ফাইনালে। এখন পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সাদা বলের সিরিজ খেলছে নিউজিল্যান্ড। তবে ওয়ানডে সিরিজ থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিয়েছেন উইলিয়ামসন।
আরও পড়ুনঋষভ পন্তের ওপর রেগে গিয়ে টেলিভিশন ভাঙলেন উপস্থাপক৪ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন উইল য় মসন
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপিকে জাতীয় কনভেনশন ডাকার প্রস্তাব
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ডিসেম্বরে অনুষ্ঠানের দাবিতে একমত পোষণ করেছে বিএনপি ও বাংলাদেশ লেবার পার্টি। ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরে খুব দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ চায় দল দুটি। যুগপৎ আন্দোলনের জোট ও দলসহ ডান, বাম ও ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে সোমবার রাজধানীর গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির সঙ্গে বিএনপি নেতাদের পৃথক বৈঠক হয়। বৈঠকে বিগত এক দফা দাবি ও শেখ হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলনে যেসব রাজনৈতিক জোট ও দল রাজপথে ছিল তাদের নিয়ে বিএনপির কাছে একটি জাতীয় কনভেনশন ডাকার প্রস্তাব করেছে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টি। তারা আশা করেন, বিএনপি তাদের প্রস্তাবে সাড়া দেবে।
এই বৈঠকে বিএনপির পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের নেতৃত্ব দেন জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও এনপিপি’র চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির পক্ষে নেতৃত্ব দেন দলটির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ডিসেম্বরের বেশি অপেক্ষা করার কারণ আমরা দেখি না। এ ব্যাপারে যদি কেউ ভিন্নমত পোষণ করে তাহলে তাদের যুক্তি দিয়ে বলতে হবে, কেন এর বেশি সময় দরকার। সরকার বলেছে, ডিসেম্বর থেকে জুন। তার মানে কি? তাহলে ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে পারে। আমরা বলেছি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে- এটাকে ধরে একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক। সরকার বলছে যে, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তার মানে তারা তো বলেনি, যে ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে না। কিন্তু আমরা বলছি, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে- এ রকম একটা তারিখ ধরে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক। পার্থক্য তো খুব বেশি না। সরকার বলেছে, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে, তার মানে ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে পারে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের কথা অনুযায়ী নির্বাচন ডিসেম্বরে হতে পারে, জানুয়ারিতে হতে পারে, ফেব্রুয়ারিতেও হতে পারে। কাজেই আমাদের সঙ্গে সরকারের পার্থক্য তো বহু মাসের না। আমরা শুধু সরকারকে বলছি, এভাবে না বলে, এভাবে বলেন।
প্রশাসনের সব জায়গায় বিএনপির লোকজন বসে আছে, নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির পক্ষ থেকে এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, যিনি এ কথা বলেছেন তিনিও তো সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। তাহলে তারা কি সব জায়গায় বিএনপির লোক বসিয়েছেন নাকি?
বিএনপিকে তো প্রশাসন থেকে উৎখাত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময় কোথাও বিএনপির লোক ছিল না। যারা (আওয়ামী লীগের সময়) বৈষম্যের শিকার হয়েছিল, অন্যায়ভাবে যাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল, তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে থেকে একজনকেও এখনও পদায়ন করা হয় নাই। তাহলে বিএনপির লোককে বসানো হলো কোথায়? যাদের বঞ্চিত করা হয়েছে তাদের একজনকেও কেউ যদি পদায়ন করা হতো, তাহলে বলতে পারতেন বিএনপির লোক বসানো হয়েছে। তাহলে এই কথাটির যুক্তি কি জানতে চেয়ে তিনি বলেন, আপনারা তাদের জিজ্ঞাসা না করে আমাদের কেন জিজ্ঞাসা করেন? আপনারা জানেন না এসব?
ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, শেখ হাসিনার পতন ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন দাবিতে আমরা আন্দোলন করেছি। ইতোমধ্যে আমরা একটি দাবিতে জয়ী হয়েছি। এখন কথা হচ্ছে নির্বাচনের বিষয়ে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে- জুনের মধ্যে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছে। সংস্কার কমিশনও বলেছে মে’র মধ্যে এসব শেষ করবে। আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচন। কারণ, একটি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার দরকার। এজন্য আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাই। এ জন্য আমরা চাই সরকার একটি রোডম্যাপ দিক। আমরা বিএনপির কাছে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে একটা জাতীয় কনভেনশন ডাকার প্রস্তাব করেছি। আশা করি, বিএনপি তা বিবেচনা করবে। লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরানও বলেছেন, তারা জাতীয় কনভেনশন ডাকার প্রস্তাব করেছে বিএনপির কাছে।