পোশাকশিল্পে দেশে তৈরি সুতার ব্যবহার বাড়াতে স্থলবন্দর দিয়ে পোশাকশিল্পের সুতা আমদানি বন্ধ করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআরকে) ব্যবস্থা নিতে বলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে প্রয়েজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি, অথবা বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন সংশোধনী আনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে অন্যতম কাঁচামাল সুতা আমদানি বন্ধের দাবি জানায় বস্ত্রশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। প্রতিবেশি ভারত থেকে দেশের স্থলবন্দর দিয়েই সুতা আমদানি হয়ে থাকে। এ ছাড়া চীন ও তুরস্কের মতো দেশ থেকে সুতা আমদানি হয়ে থাকে।

ভারতের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে উৎপাদিত সুতা কলকাতায় গুদামজাত করা হয়। এরপর সেখান থেকে সুতা বাংলাদেশ পাঠানো হয়। এসব সুতা তুলনামূলক কম দামে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এ কারণে দেশি সুতার পরিবর্তে স্থলবন্দর দিয়ে আসা সুতা বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। এ কারণে দেশের বস্ত্রশিল্প কারখানাগুলো বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছে বলে দাবি বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ)।

সংগঠনটির তথ্য অনুযায়ী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই খাতের অংশীজনদের মতামত ও প্রয়োজনীয় তদন্তের ভিত্তিতেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়, চীন, তুরস্ক, উজবেকিস্তান এবং দেশে উৎপাদিত সুতার দাম প্রায় একই রকম হলেও স্থলবন্দর দিয়ে আসা ভারতীয় সুতার দাম অনেক কম থাকে। অর্থাৎ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা সুতা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ঘোষিত দামের চেয়ে অনেক কম দামে আসে। এতে দেশের সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না।

বিটিএমএ সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল গত জানুয়ারি মাসে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে পাঠানো এক চিঠিতে জানান, স্থলবন্দর দিয়ে আসা সুতার মান যাচাই করে শুল্কায়নের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো বা কারিগরি সক্ষমতা নেই। এ ছাড়া স্থলবন্দরে চালান বিভক্ত করার সুবিধার অপব্যবহার হচ্ছে, যা দেশীয় মিলগুলোর জন্য ক্ষতিকর। সে জন্য তাঁরা সুতা কেবল সমুদ্রবন্দর দিয়ে আমদানির প্রস্তাব দেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য আমদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

টানা ৯ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা নয়দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে। তবে স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত ভ্রমণকারীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে।

শুক্রবার বিকেলে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক রেজাউল করিম শাহীন ৯ দিন বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে সমকালকে বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভারত, নেপাল ও ভূটানের মধ্যে টানা ৯ দিনের জন্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ঈদ উদযাপনের জন্য বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ এলাকায় চলে যাবেন। অন্যদিকে আমদানিকারকরা ঈদের ছুটি পাচ্ছেন, ফলে এই সময়ে কোনো পণ্য খালাস করা হবে না। আবার আগামী ৬ এপ্রিল বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিসহ সব ব্যবসা কার্যক্রম চালু করা হবে।

বাংলাবান্ধা  ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক ফিরোজ কবীর জানান, ঈদের ছুটিতে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে। এই সময়ে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত ভ্রমণকারীদের যাতায়াত কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১২ দিন বন্ধ থাকবে তামাবিল স্থলবন্দরসহ সিলেটে আমদানি-রপ্তানি
  • টানা ৯ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে
  • ঈদুল ফিতরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি টানা ৮ দিন বন্ধ থাকছে