জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আমাদের দেশের লিডারশিপ হচ্ছে ভণ্ডামিপূর্ণ। উনারা আমাদের যা আমল করতে বলেন, সেই আমলের ধারে কাছে দিয়েও তারা যান না। যারা সার্ভিস প্রোডিউস করেন তারা কখনো সার্ভিসের কনজ্যুমার না।

শুক্রবার বিকেলে দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ হলরুমে দেবিদ্বার পাবলিকিয়ান অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত পুনর্মিলনী ও ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, সমাজে কিছু আছে সুদখোর, ঘুষখোর। সমাজের কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের কাজই হচ্ছে সালিশ-দরবার করা। কিছু মানুষের কাজ হচ্ছে থানার চারপাশে ঘোরাফেরা করা। কিছু কিছু মানুষ তৈরি হয়েছে যারা কখনো স্কুলের ধারে কাছেও যায়নি কিন্তু তাদের টার্গেট হচ্ছে স্কুল কমিটির সভাপতি হওয়া। আসলে তাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই, দোষটা কিন্তু আমাদের। আমরা সচেতনভাবে তাদের প্রতিহত করি না।

দেবিদ্বারের নেতৃত্ব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেবিদ্বারের নেতৃত্বে তারাই আসছে যারা কখনো দেবিদ্বারে থাকেননি, যারা দেবিদ্বারের অলিগলি চেনেন না, দেবিদ্বারে বাজার করে কখনো তারা খাননি, দেবিদ্বারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কখনো তারা পড়াশোনা করেননি। দেবিদ্বারের কী সমস্যা এটাই তারা জানেন না। দেবিদ্বারের ধুলামাটি থেকে গড়ে ওঠা নেতৃত্ব আমরা কখনোই পাইনি।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন পাবলিকিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম আরাফাত, সাবেক সভাপতি মো.

সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ত য় ন গর ক প র ট আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

বিজয়ের সেঞ্চুরির ফিফটি, মোহামেডান-আবাহনীর জয়

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও আবাহনী লিমিটেড। তাদের জয়ের দিনে এনামুল হক বিজয়ের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সও। এই সেঞ্চুরিতে বিজয় একটি রেকর্ডও গড়েছেন। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে লিস্ট এ ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০টি সেঞ্চুরির মাইলফলক ছুঁয়েছেন।

বিকেএসপিতে তাদের বিপক্ষে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ আগে ব্যাট করতে নেমে সাইফ হাসানের ৫২, তানজিদ হাসানের ৬৮, আফিফ হোসেনের ৩২ ও আকবর আলীর ২৯ রানে ভর করে ৩৯.২ ওভারে ২২৩ রানে অলআউট হয়ে যায়।

গাজী গ্রুপের শেখ পারভেজ জীবন ৭ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেন। ওয়াসি সিদ্দিকী নেন ২টি উইকেট।

আরো পড়ুন:

মোহামেডানে খেলবেন মোস্তাফিজ 

শীর্ষে এনামুল-রাকিবুল

রান তাড়া করতে নেমে এনামুল হক বিজয়ের অপরাজিত ১১০ রানের ইনিংসে ভর করে ৪১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে গাজী গ্রুপ। বিজয়ের ইনিংসে ১০টি চারের পাশাপাশি ১টি ছক্কার মার ছিল। এছাড়া সালমান হোসেন ইমন ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৮ ও সাদিকুর রহমান করেন ৩৬ রান। ম্যাচসেরা হন বিজয়।

এদিকে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। অগ্রণী ব্যাংক আগে ব্যাট করতে নেমে ইমরুল কায়েসের ৪১, অমিত হাসানের ৪০, ইমরানুজ্জামানের ৩৮ ও মার্শাল আইয়ুবের ৩৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৪২ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪০ রান তোলে।

বল হাতে মোহামেডানের মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ৯ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। এবাদত হোসেন ৮ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। আর মোস্তাফিজুর রহমান ৯ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।

জবাব দিতে নেমে রনি তালুকদারের ১০০ বলে ১০টি চার ও ৫ ছক্কায় খেলা অনবদ্য ১২২ ও আনিসুল ইসলাম ইমনের ৭৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৩৬.১ ওভারে জয় নিশ্চিত করে।

মোহামেডানের ৩টি উইকেটই নেন অগ্রণী ব্যাংকের আরিফ আহমেদ। ম্যাচসেরা হন মোহামেডানের রনি।

মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৫০ রানের দারুণ জয় পেয়েছে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। তারা আগে ব্যাট করতে নেমে পারভেজ হোসেন ইমনের ৮৩, মোহাম্মদ মিঠুনের ৪৫, জিশান আলমের ২৬ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ২৬ রানে ভর করে ৪৯.৫ ওভারে ২৭৮ রানে অলআউট হয়।

বল হাতে গুলশানের রায়হান আলী ইকরাম ও ফরহাদ রেজা ৩টি করে উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন নিহাদুজ্জামান।

জবাব দিতে নেমে নিহাদুজ্জামান ৭৩ বলে ৬টি চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি। ৫০ ওভারে তারা অলআউট হয় ২২৮ রানে।

নিহাদুজ্জামান ছাড়া সাকিব শাহরিয়ার ৪২, শাহাদত হোসেন সবুজ ৩৫ ও মেহেদী হাসান ২৫ রানের ইনিংস খেলেন।

বল হাতে আবাহনীর এসএম মেহরব, রাকিবুল হাসান, মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও মোসাদ্দেক হোসেন ২টি করে উইকেট নেন।

৮৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন আবাহনীর ইমন।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ