সময় তখন দুপুর। আচমকাই কেঁপে উঠলো মিয়ানমারের মান্দালয় শহর। তিন থেকে চার মিনিটের কম্পনে পুরো শহরটি যেন একটি ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হলো। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার জোড়া ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৪ এ পৌঁছেছে। হতাহতের এই সংখ্যা আরো বহুগুণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভূমিকম্পের সময় সন্তানদের নিয়ে নিজের অ্যাপার্টমেন্টেই ছিলেন মিয়ানমারের বাসিন্দা সিরিনিয়া নাকুতা। হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনি শুরু হলে ছেলেমেয়েদের নিয়ে দৌড়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসেন তিনি।
রয়টার্সকে নাকুতা বলেন, “কম্পন থামছিল না। উপরের তোলা থেকে পাথরের মত জিনিস খসে পড়ার শব্দ শুনতে পাই। তখন বাচ্চাদের বলি, আমাদের এখানে থাকা ঠিক হবে না, বাইরে চলে যাওয়া উচিত।”
মিয়ানমারের সবথেকে বড় শহর ইয়াঙ্গুনের এক বাসিন্দা বিবিসিকে জানান, কম্পন বেশ তীব্র চিল। প্রায় চার মিনিট ধরে ঝাঁকুনি চলে।
নাম প্রকাশ না করে আরেক ব্যক্তি বলেন, “ঘুম থেকে জেগে দেখি ভবন মারাত্মকভাবে দুলছে। কাঁপাকাঁপি প্রায় তিন থেকে চার মিনিট চলে। বন্ধুদের কাছ থেকে বার্তা পাচ্ছিলাম। দেখলাম কম্পন শুধু ইয়াঙ্গুনেই নয়, দেশের অনেক এলাকাতেই হয়েছে।”
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মিয়ানমারে গত ২০ বছরের মধ্যে এত তীব্র ভূমিকম্প আর দেখা যায়নি। মিয়ানমার জান্তা জরুরি অবস্থা জারি করেছে এবং আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য আবেদন করেছে।
ভূমিকম্পের কেঁপে উঠেছিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককও। সেখানে নির্মানাধীন একটি বহুতল ভবন ধসে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। এখনো পর্যন্ত অন্তত তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আরো অন্তত ৮১ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে বলে থাইল্যান্ড সরকার জানিয়েছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৈরি ‘মুজিব বর্ষ ১০০’ পঞ্জিকার এখন অস্তিত্বই নেই
‘মুজিব বর্ষ ১০০’ নামে একটি বিশেষ পঞ্জিকা যৌথভাবে তৈরি করেছিল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় তহবিল। এতে ব্যয় করা হয়েছিল প্রায় তিন লাখ টাকা। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বানানো এই পঞ্জিকার প্রথম মাসের নাম ছিল ‘স্বাধীনতা’। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন (১৭ মার্চ) ছিল এই মাসের প্রথম দিন। ইংরেজি ক্যালেন্ডারের মতো এটিরও গণনা করার কথা ছিল ৩৬৫ দিন ধরে। ২০২০ সালের ১৬ মার্চ পঞ্জিকাটির উদ্বোধন করেছিলেন তখনকার সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে পঞ্জিকাটি শেষ পর্যন্ত আর আলোর মুখ দেখেনি।
এই পঞ্জিকায় ১২টি মাস আছে। তবে কোনো অধিবর্ষ (ইংরেজি লিপইয়ার) নেই। ১২ মাসের নাম দেওয়া হয়েছিল—স্বাধীনতা, শপথ, বেতারযুদ্ধ, যুদ্ধ, শোক, কৌশলযুদ্ধ, আকাশযুদ্ধ, জেলহত্যা, বিজয়, ফিরে আসা, নবযাত্রা ও ভাষা। ২০২০ সালের ১৬ মার্চ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন শ্রমসচিব কে এম আলী আজম পঞ্জিকাটির মোড়ক উন্মোচন করে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, পঞ্জিকায় বেশ কিছু সংস্কার প্রয়োজন। সব অংশীজনের মতামত নিয়ে ক্যালেন্ডারটি চূড়ান্ত করে এরপর সরকারি সব দপ্তরে রাখার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বানানো পঞ্জিকা