‘বড় পার্টিগুলো মনে করছে এত শহীদ শুধু একটি নির্বাচনের জন্য’
Published: 28th, March 2025 GMT
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) জোবাইরুল হাসান বলেছেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বিএনপিসহ সব পার্টিকে আমরা সহযোদ্ধা হিসেবে পেয়েছে। কিন্তু সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া মানে জুলাইয়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। বাংলাদেশের বড় পার্টিগুলো মনে করছে, এত ভাই শহীদ হয়েছে শুধু একটি নির্বাচনের জন্য। যদি রাজনৈতিক দলগুলোর এ ধরনের অবস্থান হয় তাহলে সংস্কারের যে পজিশন, এ পজিশনকে আমাদের বিপ্লবী পজিশনে রূপান্তর করতে হবে।’
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এ কথাগুলো বলেন জোবাইরুল হাসান। তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো বাংলাদেশের জনসাধারণকে জনগণ হতে দিচ্ছে না। তারা বারবার মব তৈরি করছে। তারা বলতে চাচ্ছে একধরনের নির্বাচনের কথা।’
এতে অতিথি হিসেবে বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটি অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ের মধ্যে করতে হবে, কোনো নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষা করব না। সব রাজনৈতিক দলকে বলব আগে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের বিষয়ে ঐকমত্য থাকতে। যারা গণ–অভ্যুত্থানে হামলা করেছিল এখন তাদের সাপোর্ট দিচ্ছে কারা, এটি সবাই জানে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। আজ বিকেলে চট্টগ্রামের জিইসি এলাকার একটি রেস্তোরাঁয়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আশা করি অন্তবর্তী সরকার জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করবে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকের এ দিনে আমরা আশা করব, যেই দায়িত্ব নিয়েছেন সেই দায়িত্বে সবাই সফল হবেন এবং বিশেষ করে অন্তবর্তী সরকার জনগণের কাছে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন করবে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকেও অবশ্যই সেই প্রতিশ্রুতি পালন করব বলে শপথ নিয়েছি।
ঈদের দিন আজ সোমবার সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
ফ্যাসিবাদ সরকারের শাসনামলের থেকে ‘এবার ঈদ আনন্দময় পরিবেশে হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের এই পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে প্রত্যেকটি বাংলাদেশি মানুষ যেন আনন্দের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারেন, সেজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি। দোয়া চেয়েছি আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে দ্রুত আমাদের কাছে ফিরে আসেন এবং আমাদের নেতা তারেক রহমান তিনি যেন অতি শিগগিরই আমাদের মাঝে ফিরে আসেন, সেই দোয়া চেয়েছি।
গত ১৫ বছরের ঈদের সঙ্গে এবারকার ঈদের কি পার্থক্যটা কি- জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক পার্থক্য। এবার আমরা মুক্ত পরিবেশে একটা আনন্দময় পরিবেশে আমরা ঈদ পালন করছি।
আজ সকাল সাড়ে ১১টায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান শেরে বাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে এসে তার কবরে ফুল দেন এবং দোয়া করেন। এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন- আহমেদ আজম খান, আমান উল্লাহ আমান, মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কবির রিজভী, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মীর সরফত আলী সপু, রফিকুল ইসলাম, সাইফুল আলম নিরব, মীর নেওয়াজ আলী, রফিক শিকদার, এসএম জাহাঙ্গীর, আমিনুল হকসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
খালেদা জিয়া ও তারেকের ঈদ শুভেচ্ছা
জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পরে বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদেন বলেন, আমরা দলের পক্ষ থেকে, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এবং স্থায়ী কমিটির সদস্যদের পক্ষ থেকে আমরা আপনাদের (গণমাধ্যম) সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি… ঈদ মোবারক… আপনাদের মাধ্যমে আমরা পুরো দেশবাসীর কাছে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি… ঈদ মোবারক।
তিনি বলেন, আজকে আমরা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে এসেছিলাম। আমরা পরম করুণাময় আল্লাহতালার কাছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছি। আমরা একইসঙ্গে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ট পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, একইসঙ্গে বিগত গণতান্ত্রিক আন্দোলনগুলোতে যারা প্রাণ দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন তাদেরও আত্মর মাগফেরাত কামনা করেছি। বিশেষ করে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা এদেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছি এবং গণতন্ত্রের জন্য বিগগ ১৫ বছর ও জুলাই-আগস্টে যারা শহীদ হয়েছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছি।”
ফখরুল বলেন, আজকের এই পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে প্রত্যেকটি বাংলাদেশি মানুষ যেন আনন্দের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারেন, সেজন্য আল্লাহর কাছে আমরা দোয়া করেছি। দোয়া চেয়েছি আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে দ্রুত আমাদের কাছে ফিরে আসেন এবং আমাদের নেতা তারেক রহমান তিনি যেন অতি শিগগিরই আমাদের মাঝে ফিরে আসেন সেই দোয়া চেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা যে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম করেছি, মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য যে সংগ্রাম করেছি, মানুষের ভাতের অধিকারের জন্য যে সংগ্রাম করেছি, মানবাধিকারের জন্য যে সংগ্রাম করেছে, সেই সংগ্রাম যেন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে সেজন্য পরম আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি।