তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোয়ান বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অসামান্য অবদান এবং শূন্য অপচয়ের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী সমর্থনের জন্য তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। 

শুক্রবার (২৮ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃপস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘আন্তর্জাতিক শূন্য বর্জ্য দিবসের’ উচ্চপর্যায়ের স্মরণসভায় তার মূল বক্তব্যে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এই প্রশংসা করেছেন। খবর বাসসের। 

ফ্যাশন এবং টেক্সটাইল বর্জ্যের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এমিন এরদোয়ান বর্তমান রৈখিক উৎপাদন মডেলের ধ্বংসাত্মক প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।

আরো পড়ুন:

এটি আমার শেষ নির্বাচন: এরদোগান

তুরস্ক থেকে কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করছে ইসরায়েল

বিশ্বব্যাপী ভোগের ধরনে জরুরি পরিবর্তন আনার আহ্বান জানিয়ে এমিন এরদোয়ান মানব গ্রহের ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য বর্জ্য হ্রাস এবং পুনর্ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সাধারণ পরিষদের সভাপতি, জাতিসংঘের মহাসচিব এবং ইউএনইপি ও ইউএন-হ্যাবিট্যাটের নির্বাহী পরিচালকরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

টেক্সটাইল বর্জ্যের কারণে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞ, সুশীল সমাজের নেতা এবং কর্মীদের একটি গতিশীল প্যানেল তাদের চিন্তাভাবনা ভাগ করে নিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী টেকসই টেক্সটাইল খাতের সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকার তুলে ধরেন।

ঢাকা/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত রস ক ত রস ক বর জ য

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৈরি ‘মুজিব বর্ষ ১০০’ পঞ্জিকার এখন অস্তিত্বই নেই

‘মুজিব বর্ষ ১০০’ নামে একটি বিশেষ পঞ্জিকা যৌথভাবে তৈরি করেছিল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় তহবিল। এতে ব্যয় করা হয়েছিল প্রায় তিন লাখ টাকা। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বানানো এই পঞ্জিকার প্রথম মাসের নাম ছিল ‘স্বাধীনতা’। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন (১৭ মার্চ) ছিল এই মাসের প্রথম দিন। ইংরেজি ক্যালেন্ডারের মতো এটিরও গণনা করার কথা ছিল ৩৬৫ দিন ধরে। ২০২০ সালের ১৬ মার্চ পঞ্জিকাটির উদ্বোধন করেছিলেন তখনকার সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে পঞ্জিকাটি শেষ পর্যন্ত আর আলোর মুখ দেখেনি।

এই পঞ্জিকায় ১২টি মাস আছে। তবে কোনো অধিবর্ষ (ইংরেজি লিপইয়ার) নেই। ১২ মাসের নাম দেওয়া হয়েছিল—স্বাধীনতা, শপথ, বেতারযুদ্ধ, যুদ্ধ, শোক, কৌশলযুদ্ধ, আকাশযুদ্ধ, জেলহত্যা, বিজয়, ফিরে আসা, নবযাত্রা ও ভাষা। ২০২০ সালের ১৬ মার্চ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন শ্রমসচিব কে এম আলী আজম পঞ্জিকাটির মোড়ক উন্মোচন করে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, পঞ্জিকায় বেশ কিছু সংস্কার প্রয়োজন। সব অংশীজনের মতামত নিয়ে ক্যালেন্ডারটি চূড়ান্ত করে এরপর সরকারি সব দপ্তরে রাখার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বানানো পঞ্জিকা

সম্পর্কিত নিবন্ধ