৫২ জন ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে ওসমান ও তার দোসররা : সাখাওয়াত
Published: 28th, March 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, আপনারা সকলে বর্তমানে ভালো আছেন। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও আমাদের দলের পক্ষে সবাইকে জানাই অগ্রিম ঈদ মোবারক।
আজকে সাবেক কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু মাধ্যমে আপনাদের মাধ্যমে চারদিনের কর্মসূচী পালনে উদ্বোধন করা হচ্ছে। আপনারা যেন সুন্দর ভাবে ঈদ পালন করতে পারেন, সেটা জন্য তিনি এত কিছু আপনাদের দিচ্ছেন। আমরা চেয়েছিলাম আপনাদের নিয়ন্ত্রণ দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র হোক। সেটা করতে পেরেছি বর্তমানে সময়ে।
বিগত আওয়ামীলীগ সরকার জনগণের টাকা লুট করে বিদেশে লক্ষ লক্ষ ডলার পাচার করেছে। এই যে ৫ আগষ্ট ছাত্র আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের ৫২ জন ছাত্র-জনতাকে শামীম ওসমান ও তার দোসররা হত্যা করেছে। শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান তাদের ছেলে ভাতিজারা টাকা লুট করে পালিয়েছে। তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের পাশে বিএনপি সকল নেতা-কর্মীদের থাকতে নিদের্শনা দিয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নাসিক ১২নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর কার্যালয়ে বিত্তবানদের সহযোগিতায় কর্মহারা ও অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে ঈদ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের পরিচালক হানিফ সরদার, মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, আহবায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ রানা, ফারুক আহম্মেদ রিপন, মাহবুব উল্লাহ তপন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা, যুবদল নেতা সরকার হুমায়ূণ ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষকদলের সভাপতি এনামুল হক স্বপন প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, আগামী দুইদিন পবিত্র ঈদ। আপনাদের সকলকে জানাই অগ্রিম ঈদ মোবারাক। সাবেক কাউন্সিলর শকুর মাধ্যমে আপনাদের ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের দোসররা পালিয়ে গিয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের ফ্যাসি গডফাদার সেলিম, শামীম, আজমির ও অয়ন ওসমানের সাথে আতাঁত করা যাবে না। পবিত্র মাহে রমজানে বলছি, যেই আতাঁত করবে নারায়ণগঞ্জে আবারো তাদেরকে স্টাফলিষ্ট করার চেষ্টা করবেন, আল্লাহ তাদের যেন ধ্বংস করে দিবে। ওসমান পরিবারকে কোন ছাড় দেয়া যাবে না। বিশ্বের কাছে নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাস পরিচয় করেছে সেই ওসমানদের কোন ক্ষমা করা যাবে না।
আগামী দিনে এমপি মেয়র ও কাউন্সিলর কে হবেন- মহান আল্লাহ ও তারেক রহমান ছাড়া বলতে পারবে না। জনগণ যাকে দিয়ে উপকৃত হয় তাদেরকে জনপ্রতিনিধি করা হবে। আপোষহীণ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জন্য সকলের দোয়া চাই। তিনি আপনাদের সেবা করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। এদিকে বাংলাদেশ এসে আপনাদের রায় নিয়ে জনগণের মুখে হাসি ফোটানো জন্য ছটফট করছেন তারেক রহমান।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু বলেছেন, ঈদের খাদ্য সামগ্রী বিতরন করে যাচ্ছি ২২ বছর যাবৎ। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চারদিন ব্যাপী প্রায় ৫ হাজার অসহায় ও অস্বচ্ছল পরিবারকে খাদ্য বিতরণ করা হবে। এরপর শাড়ী লুঙ্গি ও কাপড় বিতরণ করা হবে বিত্তবানদের সহযোগিতায়। আজকে আমি অনেক খুশি।
দেশ আবার নতুন স্বাধীনতা পাওয়ার প্রথম ঈদ পালন করতে যাচ্ছে। এর আগে ৮ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন আমাকে খুশি করার আগে মানুষকে খুশি করাও। আমার ওয়ার্ডের ডাটাবেজ করা আছে প্রায় ১১ হাজার মানুষ অস্বচ্ছল রয়েছে। তাদের মধ্যে দিতে পারলে আমি মহান আল্লাহ দরবারে কাছে খুশি হবো।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: হত য ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন আপন দ র আল ল হ বল ছ ন পর ব র ওসম ন ব তরণ
এছাড়াও পড়ুন:
রাজনীতিতে উত্তাপ: নতুন দল, সুইং ভোটার ও মাইনাস ফর্মুলা
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পরবর্তিত রাজনীতি জমে উঠেছে। নানা বাগ্বিতণ্ডা, পক্ষ–বিপক্ষে তর্ক–বিতর্ক, আলোচনা, সমালোচনা সবই চলছে। ক্ষণে ক্ষণে দেখা যাচ্ছে উত্তপ্ত পরিস্থিতিও। ‘সংস্কার’ ‘নির্বাচন’ ‘নিষিদ্ধ’ ‘ফেসবুক পোস্ট’ ‘ভূরাজনীতি’ ‘বিভক্তি’ ‘কারও এজেন্ডা’ ‘অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় পরিণতি’ ‘বৈঠক’ ‘বিবৃতি’ ‘পাল্টা বিবৃতি’ নানা পক্ষের নানা রকম কথায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দেশের পরিস্থিতি। অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলে ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে’ সব পক্ষ নিজেদের অবস্থান থেকে নানা ভাষায় হুংকার দিচ্ছে। যদিও পাশাপাশি চলছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বৈঠক।
ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের প্রচণ্ডতায় ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন, পলায়নে ও পটপরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার চমৎকার সুযোগ এসেছিল আমাদের সামনে। সেই প্রত্যয়ে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের বিষয়ে মতামত দিচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এমন এক প্রসঙ্গে কিছুদিন আগে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘নেতারা আমার সঙ্গে বৈঠকে আলাপ–আলোচনায় বিভিন্ন বিষয়ে একমত পোষণ করেন, বাইরে গিয়েই সাংবাদিকদের সামনে বলেন ভিন্নকথা।’ এমন দ্বিচারিতা যেন বাংলাদেশের রাজনীতিকদের নিত্যদিনের চর্চিত বিষয়।
যদিও জুলাই-আগস্ট ২০২৪–এর আন্দোলনে রাজপথে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে রাজপথে নেমে আসা দেশের সব শ্রেণি–পেশার মানষের মধ্যে গড়ে ওঠা ঐক্য বৃহৎ শক্তিতে রূপ নেবে, একটা শক্ত প্ল্যাটফর্ম তৈরি হবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, পরিস্থিতি এখন বদলে যাচ্ছে দ্রুত। বাংলাদেশের রাজনীতির চিরাচরিত চরিত্র এবং সেই চরিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলো উন্মোচিত হয়ে যাচ্ছে। একেক পক্ষের চাওয়া-পাওয়া, দাবি, আকাঙ্ক্ষা একেক রকম। এঁদের কেউ বুঝেশুনে অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধির আলোকে নিজস্ব রাজনৈতিক কৌশল অনুযায়ী কথা বলছেন; কেউ আবার ভাবাবেগে আক্রান্ত কথাবার্তার আবরণে ইস্যু তুলে পরিস্থিতি ও জনমত নিজেদের দিকে টানার চেষ্টা করছেন।
কিন্তু তারুণ্যনির্ভর নেতাদের চিন্তাচেতনায় যথেষ্ট রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতা না থাকায় তাঁদের ইদানীংকার কর্মকাণ্ড তাঁদেরকে যে অন্তর্বর্তী সরকার ও রাষ্ট্রীয় প্রাতিষ্ঠানিক পক্ষগুলোর সামনে ভুল বার্তাসহ দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে, তা উপলব্ধি করার সক্ষমতাও হয়তো এঁদের তৈরি হয়নি এখনো। দিন দিন এটা স্পষ্ট হচ্ছে, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আর আন্দোলনের তেজ এক কথা নয়।
আবার চর্চিত নিজস্ব রাজনৈতিক আদর্শ কর্মী–সমর্থকদের মনোবলকে পুঁজি করে কোনো কোনো দল মধ্যপন্থা অবলম্বনের মাধ্যমে কুশলী খেলোয়াড় হিসেবে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
এর বাইরে নানা মোর্চা ধর্মভিত্তিক নানা প্ল্যাটফর্মের ছায়াতলে থেকে স্বনামে পরিচিত অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব চলমান অস্থির এই সময়ে আগামীর রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন, পাশাপশি সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়াতে সবাইকে সংযত থাকতে বলছেন।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুবাদে পরিচিত এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির দুই নেতা সেনানিবাসে গিয়ে সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠকের পর পরবর্তী সময়ে তাঁদের ফেসবুক পোস্ট টক অব দ্য কান্ট্রি হয়ে যায়। তাঁদের বক্তব্যে পরিস্থিতি উত্তপ্ত তো হয়ই, নিজেরাও দলের ভেতরে অস্বস্তি তৈরি করেন। যাত্রার শুরুতেই দুই নেতার এমন বক্তব্য বা কর্মকাণ্ড নিয়ে অনেকে সমালোচনা করেছেন। তাঁদের অনেক ‘খেয়ালি কাজ’ রাজনৈতিক মহলে হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে বলে মনে করছেন তাঁদের দলের নেতা–কর্মীরাই। রাজনীতির মাঠে যাঁরা দীর্ঘদিন আছেন, তাঁদের সঙ্গে নবীন নেতৃত্বের চিন্তাচেতনায় বক্তব্য অভিব্যক্তিতে পার্থক্য হবে, এটা জানা কথা। তবে এটা দেশের জনগণ, তথা আগামী দিনে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী ভোটারদের জন্য একটা বার্তা।
ভুলে গেলে চলবে না যে নানা রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে বিভক্ত রাজনৈতিক বিশ্বাসের বাইরে ভোটারদের একটা বড় অংশ রয়েছে, যারা ‘সুইং ভোটার’ নামে পরিচিত। এঁরাই ’৯১–এর জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা শহরে শেখ হাসিনার মতো হেভিওয়েট প্রার্থীর নৌকাও ডুবিয়ে দিয়েছিলেন। সেবার আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী ঢাকায় জিততে পারেননি।
বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সুষ্ঠু সেবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ শেখ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হারতে হয়েছিল তেজগাঁও আসনে মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, কোতোয়ালি সূত্রাপুরে সাদেক হোসেন খোকার কাছে। সেই ভয়ে শেখ হাসিনা নিজের এলাকার বাইরে প্রার্থী হতে সাহস দেখিয়েছেন খুব কমই। আবার পাঁচ বছরের মাথায় ‘সুইং ভোটার’রা ’৯৬–এর নির্বাচনে কোতোয়ালি সূত্রাপুরে সাদেক হোসেন খোকা ছাড়া আর কোনো বিএনপি প্রার্থীকে ঢাকার কোনোর আসনে জিতে আসতে দেননি। সবাই চড়ে বসেছিল নৌকায়।
মনে রাখতে হবে, রাজপথে আন্দোলনের সময়কার আবেগ আর রাজনীতির বাস্তবতা আলাদা জিনিস। রাজনীতির বড় খেলোয়াড়রা সবাই এখন সম্ভাব্য লাভ–ক্ষতির হিসাব কষায় ব্যস্ত। ওদিকে নানা ঘাত–প্রতিঘাতে পোড় খাওয়া দেশের জনগণও এবার প্রস্তুত। ভোট দেবেন বুঝেশুনে। আগামী দিনের সংসদ সদস্য হিসেবে আইন প্রণয়ন ও দেশ পরিচালনার ভার কাকে দেবেন, সেটাও এবার নির্ধারণ হবে চিন্তার নিরিখে।
একটি বড় দল অনতিবিলম্বে জাতীয় নির্বাচন দাবি করে বলেছে, রাজনৈতিক সংস্কার নির্বাচনের পর সংসদে বসেই তারা করবে। ‘অনির্বাচিত’ সরকারের রাষ্ট্রীয় সংস্কারের এখতিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তারা। যদিও ‘যে যায় লঙ্কায় সে–ই হয় রাবণ’ এমন আশঙ্কা নানা কারণেই এক্কেবারে উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে না দেশের জনগণের পক্ষে।
ওদিকে দেশের একটা বড় রাজনৈতিক দলের আশঙ্কা, রাজনীতি থেকে তাদের মাইনাস করা হতে পারে। বলতেই হচ্ছে, বিএনপিকে কোনো কৌশলে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা কোনোভাবেই দেশের রাজনীতির জন্য ভালো হবে না। আওয়ামী লীগ চেয়েছিল বিএনপিকে মাইনাস করতে, তাদের কোণঠাসা করে রাখতে; কিন্তু আমরা দেখলাম কী? আওয়ামী লীগকেই পালিয়ে যেতে হলো দেশ থেকে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব। শান্তিতে নোবেলজয়ী এই মানুষ ও তাঁর উপদেষ্টামণ্ডলী উপলব্ধি করতে পারছেন, তাঁদের শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক প্রস্থানের জন্যও একটা গ্রহণযোগ্য অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিকল্প নেই। সেই অনুধাবন থেকেই তাঁরা দেশের সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের কথা বলছেন গুরুত্বসহকারে। না হলে যে দীর্ঘ ‘স্বৈরাচারী’ শাসন অবসানের পর ভোটবাক্সে মতামত জানানোর অপেক্ষায় থাকা জনগণের প্রত্যাশা আবারও মাঠে মারা যাবে।
এ কথা মনে রাখতে হবে, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বিপ্লবপ্রসূত পরিস্থিতিতে দেশের ছাত্র- তরুণ-জনতার পছন্দের সরকার। যে কারণে অনেকে এমনটাও বিশ্বাস করেন যে রাজপথের আন্দোলন–সংগ্রামে জীবন দেওয়া, আহত হওয়া এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে অবিশ্বাস্য রকম কম সময়ের মধ্যে স্বৈরাচারী সরকারকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করার কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের প্ল্যাটফর্ম নানা কারণে সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে।
এখন দেখার বিষয়, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বৈঠক ও তাদের প্রস্তাবের আলোকে দেশের নিপীড়িত জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়ার জন্য চূড়ান্তভাবে কী রূপরেখা তৈরি হয়। স্বাধীনতার ৫৫ বছরের মাথায় উন্নয়নশীল দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশের সারিতে উত্তরণের প্রাক্কালে সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মুহাম্মদ লুৎফুল হায়দার ব্যাংকার