স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের জানমালের নিরাপত্তা চায় বাজুস
Published: 28th, March 2025 GMT
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) নেতারা। এমন পরিস্থিতিতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার রাজধানীর মগবাজারে বাজুসের নতুন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য রাখেন- বাজুসের সহসভাপতি মো.
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও ব্যবসায়ীদের ওপর সরাসরি আক্রমণের ঘটনা বাড়ছে। এমনকি বাসা-বাড়িতেও জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা পরিবার নিয়ে নিরাপদ বোধ করছে না। এসব অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সময় হত্যাচেষ্টার ঘটনাও বাড়ছে।
রিপনুল হাসান বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাজুসের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. ওয়াহিদুজ্জামান সুজনের ওপর ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার চেষ্টা হয়। যা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়। এভাবে জানুয়ারি থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ২৩টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি আরও বলেন, আশুলিয়া সাভারে ডাকাতদের গুলিতে একজন জুয়েলারি ব্যবসায়ী নিহত হন এবং বনশ্রীতে স্বর্ণ ছিনতাইয়ের ঘটনায় একজন জুয়েলারি ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হন। গত এক বছরে এই চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় দেশের ২৩টি জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৪৪ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
বাজুসের সহসভাপতি বলেন, এসব ঘটনায় জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ জন্য জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারের আলাদা দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সশস্ত্র প্রহরার পাশাপাশি রাজধানীসহ দেশের সব জেলার জুয়েলারি মার্কেটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।
বাজুসের নেতারা বলছেন, জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই হওয়া অলংকার উদ্ধার এবং অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় ১৫ এপ্রিলের পর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাজুসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গুলজার আহমেদ, সহসভাপতি এম এ হাসান আজাদ, সহসভাপতি মাসুদুর রহমান, সহসভাপতি জয়নাল আবেদীন খোকন, সহসভাপতি সমিত ঘোষ অপু প্রমুখ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপি বিচার বিভাগের সম্পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, আজ আলোচনা শেষের আশা
বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিচার বিভাগের সম্পূর্ণ স্বাধীনতায় বিএনপি বিশ্বাসী। সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জের বিষয়টি এবং সুপ্রিম কোর্টে একটি সচিবালয় প্রতিষ্ঠার জন্য যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে—সেসব বাস্তবায়নে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে তৃতীয় দফার বৈঠক শুরুর আগে বিএনপির নেতা সালাহউদ্দিন সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বেলা ১১টার পর এ বৈঠক শুরু হয়।
ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ৩৯টি রাজনৈতিক দলের কাছে তাঁরা সুপারিশগুলো দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ৩৫টি দল মতামত দিয়েছে।
বিএনপিসহ ১৫টি দলের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। বাকি দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা হবে। বিএনপির সঙ্গে আজকে আলোচনার সমাপ্তি টানা যাবে বলে আশা করেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমদও একই আশার কথা জানান। তিনি বলেন, বিএনপি আশা করছে, আজকে এ পর্যায়ের আলোচনা শেষ করতে পারবে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের প্রায় শেষ পর্যায় নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি। আজ সংবিধানের বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার, প্রশাসন, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা শেষ করা যাবে বলেন তিনি।
বিএনপির খুব দ্রুততার সঙ্গে এগোচ্ছে না বলেও জানান তিনি। রাষ্ট্র, প্রজাতন্ত্র ও সংবিধানের বিষয় নিয়ে তাড়াহুড়া করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান। ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই কমিশনে যেসব সিদ্ধান্ত হবে, তা জাতীয় জীবনে মহান ভূমিকা রাখবে বলে জানান সালাহউদ্দিন। তাই সময় বেশি নিলেও বিএনপি বিস্তারিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
সংবিধানে বিচার বিভাগের অংশটিতে ২০টির মতো আর্টিকেল নিয়ে খুব সংক্ষিপ্ত সময়ে আলোচনা শেষ করার আশা করছে বিএনপি। বিচার বিভাগের সব উদ্যোগ যেন সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় যায়, সেই আহ্বান জানানো হবে বলেও জানান।
আজকের বৈঠকে সালাহউদ্দিন আহমদের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাঈল জবিউল্লাহ, আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল ও সাবেক সংস্থাপন সচিব আবু মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। বৈঠকে রয়েছেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।
সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে পাঁচটি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এর অংশ হিসেবে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা চলছে। গত বৃহস্পতিবার দলটির সঙ্গে দিনব্যাপী বৈঠক শেষে আলোচনা মুলতবি করা হয়েছিল। গত রোববার দ্বিতীয় দিনের আলোচনা হয়।
আরও পড়ুনএকজন কতবার প্রধানমন্ত্রী, আলোচনায় নতুন প্রস্তাব২০ এপ্রিল ২০২৫আরও পড়ুনঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির তৃতীয় দফার বৈঠক শুরু১ ঘণ্টা আগে