বার্সেলোনার প্রাক্তন খেলোয়াড় দানি আলভেস যৌন নিপীড়ন মামলায় চার বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড পেয়েছিলেন। কিন্তু আজ শুক্রবার স্পেনের একটি আদালত সেটি বাতিল করেছে।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে একটি নাইটক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। সে কারণে তাকে চার বছর ছয় মাসের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছিল। তবে তিন দিনের শুনানিতে তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। শুক্রবার আদালত জানায়, আলভেসের নির্দোষ থাকার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি এখনও। তবে আদালত উল্লেখ করেছে যে মামলায় ‘অসঙ্গতি’ ও ‘বৈপরীত্য’ রয়েছে। ফলে তার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাসহ অন্যান্য বিধিনিষেধও তুলে নেওয়া হয়েছে, যা তাকে স্পেন ছাড়ার অনুমতি দিচ্ছে। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে স্পেনের সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার সুযোগ রয়েছে।

৪১ বছর বয়সী আলভেস ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত কারাগারে ছিলেন। আপিলের অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় তিনি ১০ লাখ ইউরো (প্রায় ১.

২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) জরিমানা দিয়ে জামিনে মুক্ত হন এবং তার পাসপোর্ট জমা দেন। প্রসিকিউটররা তাকে জামিন না দেওয়ার পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন, কারণ তার পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।  

আরো পড়ুন:

চড়া মূল্যে শীর্ষে উঠল বার্সা

নিজের মূর্তি দেখে বিস্মিত এমবাপ্পে, ‘এটা আমি!’

দানি আলভেস ব্রাজিলকে দুটি কোপা আমেরিকা শিরোপা ও একটি অলিম্পিক স্বর্ণপদক জিততে সাহায্য করেছিলেন। তিনি ২০২২ সালে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ খেলেন।

তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনার হয়ে খেলেন, যেখানে ক্লাবকে তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ছয়টি লা লিগা শিরোপা জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ২০২২ সালে তিনি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আবারও বার্সেলোনায় ফিরে আসেন এবং বছরের শেষের দিকে নাইটক্লাব কাণ্ডে জড়িয়ে জেল খেটেছেন এবং এখন পর্যন্ত আদালতে ঘুরছেন।

ঢাকা/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আলভ স

এছাড়াও পড়ুন:

ওমানের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা শেষ বাংলাদেশের

শেষ বাঁশির পর বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের কেউ কেউ হতাশায় শুয়ে পড়লেন টার্ফে। কেউ মাথা নিচু করে বসে রইলেন, কেউ নির্বাক দাঁড়িয়ে। এশিয়ান হকি ফেডারেশন (এএইচএফ) কাপে টানা চারবারের চ্যাম্পিয়নদের এবার ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। আশরাফুল, পুষ্কর খীসাদের সব হাসি কেড়ে নিয়েছে ওমান। জাকার্তায় আজ টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ৫-৪ গোলে হেরে গেছে ওমানের কাছে। জয়ের পর উল্লাসে মেতে ওঠেন ওমানের খেলোয়াড়েরা।

প্রথম কোয়ার্টারে ওমান এগিয়ে গিয়েছিল। পরক্ষণেই সেই গোল শোধ করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে বাংলাদেশও এগিয়ে যায় ২-১ ব্যবধানে। এরপর ওমানের দুই গোলে স্কোরলাইন ৩-২। তৃতীয় কোয়ার্টারের শুরুতেই ৪-২ করে ওমান। বাংলাদেশ ৪-৩ করে ব্যবধান কমায়। চতুর্থ কোয়ার্টারে পঞ্চম গোল করে ম্যাচে নিজেদের প্রাধান্য ধরে রাখে ওমান। শেষ দিকে পেনাল্টি স্ট্রোকে বাংলাদেশ ৫–৪ করলেও লাভ হয়নি।

ওমানের সঙ্গে ফাইনালে বাংলাদেশের দেখা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু চার জয়ে বাংলাদেশ ‘বি’ গ্রুপের সেরা হলেও ওমান ‘এ’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। চায়নিজ তাইপের সঙ্গে গোলগড়ে পেছনে পড়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে সেমিতে ওঠে।
ওমানকে ফাইনালে হারিয়েই ২০২২ সালে সর্বশেষ এএইচএফ কাপ জেতে বাংলাদেশ।

তবে দুই দলের পরের দেখায় ২০২৩ সালের অক্টোবরে এশিয়ান গেমসে ওমানের কাছে হেরে বাংলাদেশ হয়ে যায় অষ্টম। কয়েক বছর ধরেই হকিতে ওমান বাংলাদেশের বড় চ্যালেঞ্জ। শেষ পর্যন্ত সেই ওমানের কাছে হেরেই এই প্রথম এশিয়ার দ্বিতীয় সারির দলগুলোর টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠা হলো না বাংলাদেশের।

ওমান নিজেদের দেশে টুর্নামেন্ট খেলেছে সম্প্রতি। পাকিস্তানে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে গেছে জাকার্তা। ওদিকে গত এশিয়ান গেমসের ২২ মাস পর এই প্রথম বাংলাদেশ মাঠে নেমেছে, সেটাও কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়াই। অন্যরা যখন ভালো প্রস্তুতি নিচ্ছে, বাংলাদেশ তখন আর্থিক সংকটের কথা বলে কোনো ম্যাচ খেলেনি। তারপরও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন কোচ মামুন উর রশিদ। কিন্তু ওমান আগের চেয়েও শক্তিশালী হয়েছে, বাংলাদেশ রয়ে গেছে আগের জায়গাতেই।
১৯৯৭ ও ২০২২ সালে প্রথম দুটি এএইচএফ কাপে বাংলাদেশ খেলেনি। এরপর ২০০৮, ২০১২, ২০১৬ ও ২০২২ সালে চারবারই চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। এবার বড়জোড় তৃতীয় হতে পারে স্থান নির্ধারণী ম্যাচ জিতলে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আইপিএলে আরও ম্যাচ বাড়ানোর পরিকল্পনা
  • ভিটামিনসমৃদ্ধ নিরাপদ ভোজ্যতেল প্রাপ্তির বাধা দূর করতে হবে
  • নির্মাণকাজ বন্ধ ৬ মাস, দুর্ভোগ
  • ওমানের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা শেষ বাংলাদেশের
  • চ্যালেঞ্জ থাকলেও মৎস্য খাতে বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা