কুমিল্লার হোমনায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় সাজ্জাদ হোসেন (১৫) নামের এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার সকালে হোমনা-গৌরিপুর সড়কের হোমনা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি গ্যারেজের সামনে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সাজ্জাদ পৌরসভার গোয়ারীভাঙ্গা গ্রামের মো. আমির হোসেনের ছেলে ও হোমনা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

ছেলের আকস্মিক মৃত্যুতে মায়ের আহাজারি থামছে না। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তার বাবা। এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

থানা ও পরিবারসূত্রে জানা গেছে, সাজ্জাদ হোমনা বাজার থেকে ঈদের কেনাকাটা শেষ করে বেলা ১১টার দিকে বাইসাইকেলে করে বাড়ি যাচ্ছিল। হঠাৎ বাঞ্ছারামপুর থেকে আসা একটি দ্রুতগতির কাভার্ডভ্যান তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সে গুরুতর আহত হয়। পথচারীরা তাৎক্ষণিক আহত অবস্থায় তাকে হোমনা হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা.

আবদুছ সালাম সিকদার সমকালকে বলেন, তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সমকালকে বলেন, ড্রাইভার ও কাভার্ড ভ্যানটি আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

রাঙামাটি কারাগারে কারাবন্দিদের ঈদ উদযাপন

ঈদের দিন পরিবারের সঙ্গে আনন্দ উদযাপনের সুযোগ সবার থাকে না; বিশেষ করে কারাগারে বন্দিদের। বিষয়টি ভেবে বন্দিদের জন্য বিশেষ আয়োজন করেছে রাঙামাটি কারা কর্তৃপক্ষ। কারাবন্দিরা যেন ঈদে নিজেদের মধ্যে আনন্দ ভাগ করে নিতে পারেন সেজন্য ঈদের বিশেষ নামাজ, উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা রেখেছেন কারা কর্তৃপক্ষ।  

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, সকাল সাড়ে আটটায় কারাবন্দিরা কারাগারের মধ্যেই আদায় করছেন ঈদের নামাজ। এরপর সবাই একসঙ্গে বসে ঈদের সেমাই খেয়েছেন। বন্দিদের জন্য  দুপুর ও রাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন। 

ঈদের এই বিশেষ দিনে বন্দিরা যাতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারে এ জন্য কারা কর্তৃপক্ষ স্বজনদের সুযোগ দিয়েছেন। যারা দেখা করতে এসেছেন তাদের ফুল ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। এমন আয়োজনে খুশি স্বজনরাও।

কারাবন্দির সাথে দেখা করতে আসা স্বজন নূর মোহাম্মদ জানান, খুব সুন্দর আয়োজন করেছে এবার জেল কর্তৃপক্ষ। গত বছরও আমি এসেছিলাম আত্মীয়র সাথে দেখা করতে, কিন্তু এবারের আয়োজন ভিন্ন মনে হয়েছে। তারা আমাদের ফুল ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করেছে। আমি আত্মীয়র সাথে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন জেলের পরিবেশ ভালো, সবাই মিলে ঈদের নামাজ শেষে সেমাই খেয়েছেন। দুপুর ও রাতে ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারাগারে এ ধরনের পরিবেশ সত্যি খুব  ভালো লাগছে।

রাঙামাটি কারাগারের জেল সুপার দিদারুল আলম বলেন, ‘‘স্বজনহীন কারাবন্দিদের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে কারা কর্তৃপক্ষ এমন আয়োজন করেছে। আমরা চাই জেলের বিষয়ে মানুষের গতানুগতিক যে ধারণা, সেটা পরিবর্তন হোক।’’

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কারাবন্দি ও স্বজনদের নিয়ে ভিন্ন কিছু আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছেন বলেই এমন আয়োজন সম্ভব হয়েছে বলে জানান দিদারুল আলম। 

শংকর//

সম্পর্কিত নিবন্ধ