লেবাননের দক্ষিণ বৈরুতে শুক্রবার বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। নভেম্বরে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর বৈরুতে এটিই প্রথম বিমান হামলা। শুক্রবার এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থা বলেছে, “ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলির হাদাথ পাড়ায় আঘাত হানে।” ওই এলাকাটিতে আবাসিক ভবন এবং স্কুলগুলো রয়েছে।
বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে একটি ভবনে হামলার জন্য ইসরায়েলি সতর্কবার্তার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অভিভাবকরা দ্রুত বন্ধ হয়ে যাওয়া স্কুলগুলো থেকে তাদের সন্তানদের নিতে ছুটে আসেন। এই এলাকায় হিজবুল্লাহর শক্তিশালী সমর্থন রয়েছে বলে দাবি করেছে ইসরায়েল।
এএফপি জানিয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরে হিজবুল্লাহর সাথে দুই মাসের যুদ্ধের সময় ইসরায়েলের ব্যাপক বোমাবর্ষণে এই এলাকার অনেক বাসিন্দা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। নতুন করে হামলার পর এই এলাকায় আবারো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারের হাসপাতালে বাড়ছে আহতদের ভিড়, সেবা দিতে হিমশিম
মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে আহতদের ভিড়। বিপুল সংখ্যক রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। খবর এএফপির।
স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার দেশটির রাজধানী নেপিদোতে অবস্থিত এক হাজার শয্যার হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আহতদের লম্বা সারি দেখা গেছে। কিছু আহত ব্যক্তি ব্যথায় ছটফট করছেন, অন্যরা শঙ্কিত অবস্থায় পড়ে আছেন। স্বজনেরা তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, কারও কারও হাতে ইনট্রাভেনাস ড্রিপ লাগানো ছিল।
হাসপাতালটিতে বানের জোয়ারের মতো আসছেন আহতরা- কেউ গাড়িতে, কেউ পিকআপে, আবার কাউকে স্ট্রেচারে করে আনা হচ্ছে। তাদের শরীর রক্তাক্ত এবং ধুলোতে আচ্ছাদিত।
হাসপাতালের একজন চিকিৎসক এএফপিকে বলেন, আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। ভীষণ ক্লান্ত।
হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, শত শত আহত মানুষ আসছে, কিন্তু এখানে জরুরি ভবনও ধসে পড়েছে।
আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মিয়ানমারের সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইং।
আজ দুপুরে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প, যার কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলে। এর তীব্র প্রভাব অনুভূত হয় প্রতিবেশী বাংলাদেশ, চীন ও থাইল্যান্ডে।