ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে যানজট, দুর্ভোগে ঘরমুখো যাত্রীরা
Published: 28th, March 2025 GMT
ঈদকে সামনে রেখে শুক্রবার ভোররাত থেকে ঢাকা-চট্টগ্রামের মহাসড়কে যানবাহনের চলাচল কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জ অংশে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনার কারণে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশে শুক্রবার ভোররাত থেকে সৃষ্ট যানজট বেলা ১১টা পর্যন্ত লক্ষ্য করা গেছে।
যানজটের কবলে আটকা পড়ে চরম দুর্ভোগের কবলে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা। এমনকি যানজটে আটকে পড়া যানবাহনে থাকা নারী ও শিশুরা তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। কখন মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি দায়িত্বরত পুলিশের কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত ছাড়াও শুক্রবার সকালে বাউশিয়া এলাকায় মানা-বে ওয়াটার পার্কের সামনের মহাসড়কে প্রাইভেটকার ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটিকে হাইড্রোলিক রেকারের সাহায্যে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করা হয়।
ঢাকা থেকে কুমিল্লা যাচ্ছিলেন তসলিম উদ্দীন। তিনি বলেন, মেঘনা সেতু পার হয়ে যানজটে আটকে আছি। কখন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবো তা অনিশ্চিত।
ঢাকামুখী জননী পরিবহনের যাত্রী রোখসানা আনোয়ার বলেন, বাউশিয়া এলাকায় মানা-বে ওয়াটার পার্কের সামনে জ্যামে পড়েছে আমাদের বহনকারী বাসটি। আমরা আধঘণ্টায় এক দেড় কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলাম।
গজারিয়া থানার ওসি মো.
গজারিয়া থানার এস আই আব্দুল কাদের জানান, দ্রুতগতিতে পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালানো, একে অপরকে ওভারটেক করার প্রবণতা, মহাসড়কে তিন চাকা বিশিষ্ট সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত থ্রি হুইলার এলোপাতারি চলাচলের কারণে অহরহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঈদয ত র য নজট শ ক রব র দ র ঘটন য নজট
এছাড়াও পড়ুন:
রাঙামাটি কারাগারে কারাবন্দিদের ঈদ উদযাপন
ঈদের দিন পরিবারের সঙ্গে আনন্দ উদযাপনের সুযোগ সবার থাকে না; বিশেষ করে কারাগারে বন্দিদের। বিষয়টি ভেবে বন্দিদের জন্য বিশেষ আয়োজন করেছে রাঙামাটি কারা কর্তৃপক্ষ। কারাবন্দিরা যেন ঈদে নিজেদের মধ্যে আনন্দ ভাগ করে নিতে পারেন সেজন্য ঈদের বিশেষ নামাজ, উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা রেখেছেন কারা কর্তৃপক্ষ।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, সকাল সাড়ে আটটায় কারাবন্দিরা কারাগারের মধ্যেই আদায় করছেন ঈদের নামাজ। এরপর সবাই একসঙ্গে বসে ঈদের সেমাই খেয়েছেন। বন্দিদের জন্য দুপুর ও রাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন।
ঈদের এই বিশেষ দিনে বন্দিরা যাতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারে এ জন্য কারা কর্তৃপক্ষ স্বজনদের সুযোগ দিয়েছেন। যারা দেখা করতে এসেছেন তাদের ফুল ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। এমন আয়োজনে খুশি স্বজনরাও।
কারাবন্দির সাথে দেখা করতে আসা স্বজন নূর মোহাম্মদ জানান, খুব সুন্দর আয়োজন করেছে এবার জেল কর্তৃপক্ষ। গত বছরও আমি এসেছিলাম আত্মীয়র সাথে দেখা করতে, কিন্তু এবারের আয়োজন ভিন্ন মনে হয়েছে। তারা আমাদের ফুল ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করেছে। আমি আত্মীয়র সাথে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন জেলের পরিবেশ ভালো, সবাই মিলে ঈদের নামাজ শেষে সেমাই খেয়েছেন। দুপুর ও রাতে ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারাগারে এ ধরনের পরিবেশ সত্যি খুব ভালো লাগছে।
রাঙামাটি কারাগারের জেল সুপার দিদারুল আলম বলেন, ‘‘স্বজনহীন কারাবন্দিদের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে কারা কর্তৃপক্ষ এমন আয়োজন করেছে। আমরা চাই জেলের বিষয়ে মানুষের গতানুগতিক যে ধারণা, সেটা পরিবর্তন হোক।’’
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কারাবন্দি ও স্বজনদের নিয়ে ভিন্ন কিছু আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছেন বলেই এমন আয়োজন সম্ভব হয়েছে বলে জানান দিদারুল আলম।
শংকর//