মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে আহতদের ভিড়। বিপুল সংখ্যক রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। খবর এএফপির।

স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার দেশটির রাজধানী নেপিদোতে অবস্থিত এক হাজার শয্যার হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আহতদের লম্বা সারি দেখা গেছে। কিছু আহত ব্যক্তি ব্যথায় ছটফট করছেন, অন্যরা শঙ্কিত অবস্থায় পড়ে আছেন। স্বজনেরা তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, কারও কারও হাতে ইনট্রাভেনাস ড্রিপ লাগানো ছিল।

হাসপাতালটিতে বানের জোয়ারের মতো আসছেন আহতরা- কেউ গাড়িতে, কেউ পিকআপে, আবার কাউকে স্ট্রেচারে করে আনা হচ্ছে। তাদের শরীর রক্তাক্ত এবং ধুলোতে আচ্ছাদিত।

হাসপাতালের একজন চিকিৎসক এএফপিকে বলেন, আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। ভীষণ ক্লান্ত।

হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, শত শত আহত মানুষ আসছে, কিন্তু এখানে জরুরি ভবনও ধসে পড়েছে।

আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মিয়ানমারের সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইং।

আজ দুপুরে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প, যার কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলে। এর তীব্র প্রভাব অনুভূত হয় প্রতিবেশী বাংলাদেশ, চীন ও থাইল্যান্ডে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ ম কম প আহতদ র

এছাড়াও পড়ুন:

ছাদ উড়ে যাওয়ার পরও বাস চালানোর ঘটনায় চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা 

মুন্সীগঞ্জে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনায় ছাদ উড়ে যাওয়ার পরও চালকের বাস চালনোর ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে হাসাড়া হাইওয়ে থানায় পুলিশের এসআই আতাউর রহমান বাদী হয়ে সড়ক পরিবহন আইনে এ মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় চালক, সহযোগী ও বাস মালিককে আসামি করা হয়েছে। 

হাসাড়া হাইওয়ে থানার ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি থানায় জব্দ রয়েছে। এ ঘটনায় আসামিদের আটক ও পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। বাসটি ফিটনেস ছিল কিনা সে বিষয়েও তদন্ত চলছে।

এদিকে দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে একজন ছাড়া সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। গুরুতর আহত ঝালকাটির বাসিন্দা শাহীন নামের এক যাত্রী ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে। 

বৃহস্পতিবার রাতে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের সমষপুর এলাকায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে কাভার্ডভ্যান ও প্রাইভেটকারের সঙ্গে সংঘর্ষে বরিশাল এক্সপ্রেস নামের যাত্রীবাহী একটি বাসের ছাদ উড়ে যায়। এতে অন্তত ২০ যাত্রী আহত হন।  ছাদ উড়ে গেলেও বাস না থামিয়ে ছাদবিহীন গাড়িটি ১০ কিলোমিটার পথ চালিয়ে নিয়ে যান চালক। পরে যাত্রীদের চিৎকার ও জনরোষের মুখে গাড়ি থামিয়ে পালিয়ে যান চালক। পরে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছাদ উড়ে যাওয়ার পরও বাস চালানোর ঘটনায় চালক-মালিকের বিরুদ্ধে মামলা