হেফাজতে ইসলাম আগামী ৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে
Published: 28th, March 2025 GMT
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আগামী ৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে। ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের নৃশংসতাসহ আওয়ামী লীগ আমলে গুম, খুনের বিচার ও সব মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ মহাসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় বিশেষ কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া আগামী জুন মাসে সব জেলা ও মহানগর প্রতিনিধিদের নিয়ে জাতীয় সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান মিশনের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।
আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে হেফাজতে ইসলাম জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় বিশেষ কমিটির জরুরি সভায় নেওয়া এক প্রস্তাবে বলা হয়, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তাঁর দল অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে দেশে ১৬টি বছর মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। দেশে গুম, খুন, সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছিল। ২০০৯ সালের সন্ত্রাস দমন আইনে প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে এবং ১৯৭৮ সালের ‘দ্য পলিটিক্যাল পার্টিজ অর্ডিন্যান্স’ অনুযায়ী সরকার চাইলে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারবে। এই দাবি আদায়ে দেশের স্বার্থেই সব মত-পথ ও ঘরানার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
প্রস্তাবে আরও বলা হয়, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। এ জন্য ইসলাম, দেশ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ওলামায়ে কেরামের ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সভায় আরেক প্রস্তাবে সমাজের গরিব, অসহায় দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আহমদ আবদুল কাদের, মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, অর্থ সম্পাদক মাওলানা মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, প্রচার সম্পাদক মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাঙামাটি কারাগারে কারাবন্দিদের ঈদ উদযাপন
ঈদের দিন পরিবারের সঙ্গে আনন্দ উদযাপনের সুযোগ সবার থাকে না; বিশেষ করে কারাগারে বন্দিদের। বিষয়টি ভেবে বন্দিদের জন্য বিশেষ আয়োজন করেছে রাঙামাটি কারা কর্তৃপক্ষ। কারাবন্দিরা যেন ঈদে নিজেদের মধ্যে আনন্দ ভাগ করে নিতে পারেন সেজন্য ঈদের বিশেষ নামাজ, উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের পাশাপাশি স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা রেখেছেন কারা কর্তৃপক্ষ।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, সকাল সাড়ে আটটায় কারাবন্দিরা কারাগারের মধ্যেই আদায় করছেন ঈদের নামাজ। এরপর সবাই একসঙ্গে বসে ঈদের সেমাই খেয়েছেন। বন্দিদের জন্য দুপুর ও রাতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাবারের আয়োজন।
ঈদের এই বিশেষ দিনে বন্দিরা যাতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারে এ জন্য কারা কর্তৃপক্ষ স্বজনদের সুযোগ দিয়েছেন। যারা দেখা করতে এসেছেন তাদের ফুল ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। এমন আয়োজনে খুশি স্বজনরাও।
কারাবন্দির সাথে দেখা করতে আসা স্বজন নূর মোহাম্মদ জানান, খুব সুন্দর আয়োজন করেছে এবার জেল কর্তৃপক্ষ। গত বছরও আমি এসেছিলাম আত্মীয়র সাথে দেখা করতে, কিন্তু এবারের আয়োজন ভিন্ন মনে হয়েছে। তারা আমাদের ফুল ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করেছে। আমি আত্মীয়র সাথে কথা বলেছি, তিনি জানিয়েছেন জেলের পরিবেশ ভালো, সবাই মিলে ঈদের নামাজ শেষে সেমাই খেয়েছেন। দুপুর ও রাতে ভালো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারাগারে এ ধরনের পরিবেশ সত্যি খুব ভালো লাগছে।
রাঙামাটি কারাগারের জেল সুপার দিদারুল আলম বলেন, ‘‘স্বজনহীন কারাবন্দিদের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে কারা কর্তৃপক্ষ এমন আয়োজন করেছে। আমরা চাই জেলের বিষয়ে মানুষের গতানুগতিক যে ধারণা, সেটা পরিবর্তন হোক।’’
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কারাবন্দি ও স্বজনদের নিয়ে ভিন্ন কিছু আয়োজনের নির্দেশনা দিয়েছেন বলেই এমন আয়োজন সম্ভব হয়েছে বলে জানান দিদারুল আলম।
শংকর//