তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনায় সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা
Published: 28th, March 2025 GMT
শত শত বিস্তৃত নদী ও পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালনার জন্য চীন থেকে ৫০ বছরের মাস্টারপ্ল্যান চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বিশেষ করে তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা ও ঢাকার চারপাশের দূষিত পানি পরিষ্কারের বিষয়ে সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেছেন। আজ শুক্রবার বেইজিংয়ে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে চীনের পানিসম্পদ মন্ত্রী লি গোইয়িং-এর সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি এই আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ইউনূস চীনের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করে বলেন, চীন পানি সমস্যার সমাধানে বিস্ময়কর সাফল্য দেখিয়েছে।
চীনের মন্ত্রীকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের যে সমস্যা রয়েছে, আমাদেরও সেই একই সমস্যা। তাই, যদি আপনারা আপনাদের অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেন, তাহলে আমরা খুশি হব।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি বদ্বীপ অঞ্চল। আমাদের দেশ শত শত নদীর পানি দিয়ে ঘেরা। পানি আমাদের জীবন দেয়, তবে কখনো কখনো এটি শত্রুতে পরিণত হয়। এখন জনসংখ্যা বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, নদী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কোনোভাবে যেন আমাদের পরিবেশের ক্ষতি না হয়।’
চীনকে পানি ব্যবস্থাপনার ‘মাস্টার’ হিসেবে অভিহিত করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে। তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের পানি ব্যবস্থাপনা–সম্পর্কিত দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করার আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা আপনাদের কাছ থেকে শেখার জন্য এখানে এসেছি। কীভাবে আমরা পানিসম্পদকে জনগণের জন্য উপযোগী করে তুলতে পারি।’ প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও উন্নয়নের চাহিদার ফলে নদীর তীরবর্তী ভূমিগুলো দখল হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, একই চাহিদা ভারতের উজান অঞ্চলেও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া পলি জমার কারণে নদীগুলোর মাঝখানে নতুন ভূমি তৈরি হচ্ছে, যা কখনো কখনো নদীগুলোর প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করে এবং তাদের মৃত্যু ঘটায়।
চীনের পানিসম্পদমন্ত্রীও মনে করেন, চীন ও বাংলাদেশ পানি ব্যবস্থাপনায় একই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। তিনি বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
চীনের মন্ত্রী বলেন, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং চীনের জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করেছেন, যা দেশটি পানি ব্যবস্থাপনার চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে ব্যবহার করছে।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়নে আমরা আপনাদের সহায়তা চাই।’ তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সমস্যা শুধু একটি নির্দিষ্ট নদীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং পুরো ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত। প্রধান উপদেষ্টা বিশেষভাবে তিস্তা নদী ব্যবস্থাপনা ও ঢাকার চারপাশের দূষিত পানি পরিষ্কারের বিষয়ে সহায়তার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আপন দ র মন ত র আম দ র র জন য সমস য ইউন স
এছাড়াও পড়ুন:
সাধারণ জ্ঞান–৫: মার্চ–২০২৫। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিশ্ব
বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী সারা বছর বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। তাদের সহায়তার জন্য নিয়মিত এ আয়োজন।
১. বিশ্বের দীর্ঘতম বায়ুচালিত পণ্যবাহী জাহাজ—লিওলাইনার অরিজিন। দৈর্ঘ্য ৪৫০ ফুট, ১৩৬ মিটার। দীর্ঘ দূরত্বে ৫ হাজার ৩০০ টন পণ্য বহন করে থাকে।
২. আন্তর্জাতিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অ্যাকশন সামিট অনুষ্ঠিত হয়—ফ্রান্সের প্যারিসে। সদস্যসংখ্যা ৬৪।
৩. বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে পর্বতকে মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া দেশ—নিউজিল্যান্ড।
৪. বিশ্বের দ্রুতগতির সুপারকম্পিউটারের নাম—এল কাপিতাল। ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে চালু হয় যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়।
৫. ‘ডিপসিক’ হলো—একটা চীনা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোম্পানি।
৬. ‘ডিপসিক’–এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন—লিয়াং ওয়েন ফেং।
৭. USAID–এর পূর্ণনাম—United States Agency For International Development
৮. USAID–এর প্রতিষ্ঠাতা হলেন—যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি।
৯. USAID প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে একটি আইন পাসের মাধ্যমে স্বাধীন সংস্থা হিসেবে যাত্রা শুরু করে—১৯৬১ সালে।
১০. USAID প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে বিশ্বে মানবিক ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়—৪০ শতাংশ।
১১. জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের নারীশিক্ষার্থী আন্দোলনকারীরা অর্জন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সম্মানজনক পুরস্কার—মেডেলিন অলব্রাইট অনারারি গ্রুপ অ্যাওয়ার্ড।
১২. তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে গ্রেপ্তার করা মেয়রের নাম—একরেম ইমামোগলু।
আরও পড়ুনসাধারণ জ্ঞান-৪: মার্চ-২০২৫। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিশ্ব০৬ এপ্রিল ২০২৫১৩. ২০০৬ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন—ওরহান পামুক।
১৪. মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জেস গ্রিনিক্স জানান, মিয়ানমারের ভূমিকম্পে (৭ দশমিক ৭ মাত্রা)—৩৩৪টি পারমাণবিক বোমার শক্তি উৎপন্ন হয়েছিল।
১৫. বৈশ্বিক জ্ঞান সূচকে ২০২৪ সালে ১৪১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান—১১৩তম।
১৬. বৈশ্বিক উদ্ভাবন সূচকে ২০২৪ সালে ১৩৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল—১০৬তম।
১৭. বাংলাদেশের তরুণ শ্রমশক্তির পরিমাণ হচ্ছে—২ কোটি ৭০ লাখ, যা দেশের মোট শ্রমশক্তির ৩৬ শতাংশ।
১৮. জুলাই গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের প্রতিবেদনের নাম—‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন’। প্রতিবেদনের পৃষ্ঠা ছিল ১১৪টি।
ছবি: ডিপসিক //লোকেশন: Porasona-1 (16_04_2025) pa-04
আরও পড়ুনএসএসসি পরামর্শ ২০২৫: গণিতে ভালো নম্বর পাওয়ার সহজ উপায়১৮ এপ্রিল ২০২৫