ম্যারাডোনার মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিলেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ
Published: 28th, March 2025 GMT
চার বছর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা। তবে তার মৃত্যু ঘিরে এখনো বিতর্ক চলছে। চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে সাত স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা চলছে, যেখানে নতুন এক তথ্য সামনে এনেছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ মরিসিও কাসিনেয়ি।
আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে তিনি জানান, ম্যারাডোনার মৃতদেহ দেখে মনে হয়েছে, মৃত্যুর আগে তিনি প্রচণ্ড যন্ত্রণায় ছিলেন। হৃদযন্ত্রের সমস্যা ও লিভার সিরোসিসের কারণে মৃত্যুর অন্তত ১০ দিন আগে থেকেই তার ফুসফুসে পানি জমছিল। চিকিৎসকদের বিষয়টি লক্ষ্য করা উচিত ছিল বলে মত দেন তিনি। এছাড়া, ম্যারাডোনার হৃদযন্ত্র স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বড় হয়ে গিয়েছিল, যা তার শারীরিক অবস্থাকে আরও জটিল করে তুলেছিল।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের মতে, ম্যারাডোনা যেখানে ছিলেন, সেটি আদর্শ চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য যথেষ্ট ছিল না। অস্ত্রোপচারের দুই সপ্তাহ পরই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু ঘটে।
আরো পড়ুন:
ম্যারাডোনার মৃত্যুর নতুন কারণ, মেয়ের ক্ষোভ
ফিফা প্রেসিডেন্টের আক্রমণভাগে ডানে পেলে বাঁয়ে ম্যারাডোনা
এ মামলার কৌঁসুলিরা ম্যারাডোনার শেষ দিনগুলোকে ‘ভয়াবহ নাটকীয় পরিস্থিতি’ বলে উল্লেখ করেছেন। তাদের দাবি, দীর্ঘদিন যন্ত্রণা ভোগ করার পরও তাকে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়নি, বরং ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই অভিযুক্ত সাত স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
দোষ প্রমাণিত হলে তাদের ৮ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। মামলাটি আগামী জুলাই পর্যন্ত চলতে পারে, যেখানে ১২০ জন সাক্ষ্য দেবেন।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি
কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলার পর এবার ভারত ও পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
ভারতের সামরিক সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানায়, রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের এলওসি বরাবর পাকিস্তানি সেনারা ভারতের কয়েকটি পোস্টে গুলি চালায়। এর জবাবে ভারতও গুলি চালায়।
নিরাপত্তা বাহিনী পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে সঠিক জবাব দিয়েছে জানিয়েছে সূত্র আরও জানায়, ছোট অস্ত্র দিয়ে কিছু জায়গায় গুলি চালানো হয়েছিল। এ গোলাগুলিতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগাম জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই পর্যটক। হামলার দায় স্বীকার করে রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন। এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হয়।
এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। বর্তমানে এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গত ২২ এপ্রিলের হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা দাবি করে ওই ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার কঠোর বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও ‘শক্ত ও স্পষ্ট জবাব’-এর কথা বলেছেন। অন্যদিকে পাকিস্তানও পাল্টা পদক্ষেপ নিয়ে শক্ত জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এ অবস্থায় প্রতিবেশী দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ মুখোমুখি অবস্থানে চলে এসেছে। চলছে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা।