Samakal:
2025-03-31@08:42:54 GMT

রাজধানীতে মৌসুমি ভিক্ষুক

Published: 28th, March 2025 GMT

রাজধানীতে মৌসুমি ভিক্ষুক

জাকাত-ফিতরা ও ঈদ উপলক্ষে দান-খয়রাত সংগ্রহে রাজধানীতে বেড়েছে মৌসুমি ভিক্ষুক। রমজানের শুরু থেকেই এ সংখ্যা বাড়তে থাকে। প্রধান সড়কসহ অলি-গলি, ফুটপাত, ট্র্যাফিক সিগন্যাল, বিপণি বিতান, রেস্তোরাঁ, বাস টার্মিনাল, অফিস পাড়া, মসজিদ-মাজার, কবরস্থান এমনকি বাসা-বাড়িতে ভিক্ষা করছেন তারা।

ঢাকায় নিয়মিত ভিক্ষা করেন এমন কয়েকজন জানান, রমজান এলেই রাজধানীতে থাকা বিভিন্ন স্বল্প আয়ের মানুষ তাদের আত্মীয়দের নিয়ে আসেন খণ্ডকালীন ভিক্ষাবৃত্তির জন্য। অনেকে রমজান মাসে বাসা ভাড়া বা আত্মীয়র বাড়িতে এসে রাজধানীতে ভিক্ষাবৃত্তি করেন। ঢাকার বাইরে থেকে আসা বেশিরভাগ ভিক্ষুকের লক্ষ্য থাকে অভিজাত এলাকা এবং এর আশপাশের ট্র্যাফিক সিগন্যাল। এছাড়া স্থানীয় ছোট-বড় মার্কেট ও মসজিদের সামনেও তারা নিয়মিত ভিড় করেন।

২০ রমজানের পর থেকেই মালিবাগের শান্তিবাগ সড়ক গলির দুই সারিতে ৩০–৪০ জন ভিক্ষুক ভিক্ষা করছেন। সড়কে চলার পথে জাকাত-ফিতরা ও রমজানে দান-খয়রাতে সওয়াবের পরিমাণ বেশি উল্লেখ করে মুসল্লিদের আকর্ষণ করেন তারা। 

তাদের মধ্যে এই এলাকায় নিয়মিত ভিক্ষা করা হোসনে আরা (৬০) বলেন, দেশের নানা জায়গা থেকে ভিক্ষা করতে বহু লোক ঢাকায় আসে। বরিশাল, ভোলা, ময়মনসিংহ এসব এলাকা থেকে বেশি আসে। 

তিনি আরও বলেন, ঢাকার রিকশাচালকরা গ্রাম থেকে রমজানের সময় স্ত্রীরে নিয়ে আসে ভিক্ষা করাতে। তাদের ব্যবসা এটা। আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় থাকে তারা। আবার ভিক্ষা করতে একসঙ্গে আসা কয়েকজন মিলেও ঘর ভাড়া নেয় এক মাসের জন্য। 

ভৈরব থেকে রমজানের শুরুতে ঢাকায় এসেছেন জাহানারা বেগম (৩৭)। এই নারী ঢাকায় এসে উঠেছেন এক আত্মীয়ের বাসায়। তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে স্বামী মারা গেছে। দুইটা সন্তান পড়ালেখা করে। মানুষের বাসায় কাজ করে তাদের পড়াশোনা করানো কঠিন। তাই রমজান মাসে বাড়তি আয়ের আসায় ঢাকায় এসেছি। রমজানে মানুষ বেশি দান করে। আবার বাসায় ঘুরে ফিতরা ও জাকাতে টাকা ও জামাকাপড় পাওয়া যায়। এক মাসে ৩০–৪০ হাজার টাকা ফিতরা ও জাকাতে টাকা উঠলে সেটা দিয়ে ছেলে–মেয়ের পড়াশোনা খরচ চালানো যাবে।’

কাকরাইল এলাকার আরেক ভিক্ষুক আবসার বলেন, ‘মসজিদগুলাতে রমজান আইলে লোক বাড়ে। এরা তো সারা বছর এইখানে থাকে না। শুক্রবার হইলে ওদের জন্য ঠিক মতো কারও কাছে থেইকা সাহায্য নিতে পারি না। রোজাতে মানুষ কম-বেশি দান-খয়রাত করে। কিন্তু চাওয়ার মানুষ বেশি হইলে তখন সবাইরে ভাগ দিয়া—সেই সারা বছরই যা পাই তাই। আর এরা তলে দিয়া ফাউ এক মাসের কামাই নিয়া যায়।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: রমজ ন র

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদে পাঁচ নায়কের লড়াই

বরাবরই ঈদ উৎসবে সিনেমা মুক্তি নিয়ে নির্মাতা, প্রযোজক ও কলাকুশলীদের মাঝে উৎসাহ দেখা যায়। প্রতি ঈদেই একের অধিক তো বটেই, চার থেকে পাঁচটি সিনেমাও মুক্তি পায়। বছরজুড়ে অবশ্য এমন চিত্র দেখা যায় না। বিগ বাজেটের তারকাবহুল সিনেমাগুলো যেন ঈদের অপেক্ষায়ই থাকে। দর্শকও এ সময় বাড়তি আনন্দ পেতে হলমুখী হন।

বলা বাহুল্য, ঈদে চার-পাঁচটি সিনেমা মুক্তি পেলেও দু-একটি সিনেমা দর্শক টানতে সক্ষম হয়। ফলে প্রযোজকদের দুশ্চিন্তা থেকেই যায়। তারপরও এবারের ঈদুল ফিতরে ছয়টি সিনেমা মুক্তি পাবে। ছয় সিনেমায় পাঁচ নায়কের লড়াইয়ে কে জিতবেন তা জানতে খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। 

বরবাদ
ঈদ মানেই শাকিব খান অভিনীত সিনেমা। প্রত্যেক ঈদে তার অভিনীত একাধিক সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়ে থাকে। এবারো তার ব্যতিক্রম নয়। বছরের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা ‘বরবাদ’। সিনেমাটি মুক্তির আগেই আলোচনায় চলে আসে। মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘বরবাদ’–এ শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন ইধিকা পাল। এছাড়াও অভিনয় করেছেন যীশু সেনগুপ্ত, শহীদুজ্জামান সেলিম, মিশা সওদাগর, ইন্তেখাব দিনার, মামুনুর রশীদ প্রমুখ। একটি আইটেম গানে দেখা যাবে কলকাতার নায়িকা নুসরাত জাহানকে।

আরো পড়ুন:

টিভি পর্দায় শাকিবের ‘রাজকুমার’

শাকিবের আইটেম কন্যা নুসরাতের ঈদটা স্পেশাল

অন্তরাত্মা
নির্মাতা ওয়াজেদ আলী সুমন নির্মাণ করেছেন ‘অন্তরাত্মা’। তরঙ্গ এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে ‘অন্তরাত্মা’ প্রযোজনা করেছেন সোহানী হোসেন। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাকিব খান ও কলকাতার দর্শনা বণিক। 

দাগি
শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘দাগি’ সিনেমায় আফরান নিশোর বিপরীতে অভিনয় করেছেন তমা মির্জা। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে এসভিএফ ও আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড। নিশো-তমা ছাড়াও অভিনয় করেছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল, শহীদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, মিলি বাশার, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। সিনেমার গল্প, চিত্রনাট্য, সংলাপও রচনা করেছেন নির্মাতা শিহাব শাহীন। 

জ্বীন-৩
‘জ্বীন-৩’ সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন আব্দুন নূর সজল। তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া। এরই মধ্যে তাদের ‘কন্যা’ শিরোনামের গানটি শ্রোতাপ্রিয়তা পেয়েছে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন কামরুজ্জামান রোমান। 

জংলি
নায়ক সিয়াম আহমেদ অভিনীত ‘জংলি’ সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন এম. রাহিম। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন শবনম বুবলী ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন সুকৃতি সাহা ও মেহেদী হাসান। গানগুলোর কথা-সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন জনপ্রিয় সুরকার প্রিন্স মাহমুদ। 

চক্কর
ঈদুল ফিতরের বক্স অফিস লড়াইয়ে রয়েছে মোশাররফ করিমের ‘চক্কর ৩০২’ সিনেমা। এটি পরিচালনা করেছেন শরাফ আহমেদ জীবন। টিজার প্রকাশের পর বেশ প্রশংসা কুড়াচ্ছে এটি। সিনেমাটিতে মোশাররফ করিম অভিনয় করেছেন মঈনুল চরিত্রে। মঈনুল একজন পুলিশ অফিসার, যে কিনা নানা ঘটনার মধ্যে দিয়ে রহস্য উদঘাটনে নেমে পড়ে। এটি থ্রিলার গল্প। সেই সঙ্গে মানবিক দিকও আছে। আরো আছে সম্পর্কের কথা। সরকারি অনুদানে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ