বার্তা আদান-প্রদানের জনপ্রিয় অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপে লিখিত বা অডিও বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি স্ট্যাটাসও দেওয়া যায়। ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের স্টোরিজ সুবিধার মতো হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস ২৪ ঘণ্টা পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে মুছে গেলেও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে দেওয়া স্ট্যাটাস স্বল্প পরিচিত ব্যক্তি বা সহকর্মীরা দেখলে অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়। তবে চাইলেই হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংস পরিবর্তন করে স্ট্যাটাস কারা দেখতে পারবেন, তা নির্ধারণ করে দেওয়া যায়।

হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে লুকিয়ে রাখার জন্য প্রথমে স্মার্টফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপে প্রবেশ করে আপডেটস ট্যাবে ক্লিক করতে হবে। এরপর পরের পৃষ্ঠায় স্ট্যাটাস অপশনের পাশে থাকা তিনটি ডট মেন্যুতে ট্যাপ করে স্ট্যাটাস প্রাইভেসি নির্বাচন করতে হবে। এবার হু ক্যান সি মাই স্ট্যাটাস আপডেটসের নিচে থাকা মাই কন্টাক্টস অ্যাকসেপ্ট অপশনে ট্যাপ করতে হবে। এরপর নির্দিষ্ট এক বা একাধিক ব্যক্তির নাম নির্বাচন করে নিচে থাকা টিকমার্ক চিহ্নে ট্যাপ করলেই সেই ব্যক্তিরা পরবর্তী সময়ে আর হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন না।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প স ট য ট স

এছাড়াও পড়ুন:

চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা

চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে চলায় জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা দেখা দিয়েছে। আজ বুধবার বেলা তিনটায় পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ২৮ শতাংশ।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৬১ শতাংশ। অর্থাৎ এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে ৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা কমেছে ৩৩ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে এটি জেলায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ২৮ মার্চ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও ওই দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল যশোরে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি বলেন, কাল বৃহস্পতিবার ও পরশু শুক্রবার তাপমাত্রা আরও বাড়বে। এরপর দুই দিন স্থিতিশীল থাকার পর ২৭ এপ্রিল থেকে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা আছে।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে ১৪ মার্চ জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ওই দিন বেলা তিনটায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর পর্যায়ক্রমে ১৬ মার্চ ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৭ মার্চ ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৮ মার্চ ৩৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২৯ মার্চ ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৩০ মার্চ ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৩ এপ্রিল ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৫ এপ্রিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৬ এপ্রিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল ২২ এপ্রিল ৩৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হলো।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। সেই হিসেবে গত ১৪ মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত অন্তত ১১ দিন জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। যার মধ্যে আট দিন মৃদু ও বাকি তিন দিন মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে।

এদিকে জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে চলায় জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা দেখা দিয়েছে। মানুষের বাইরে চলাচল সীমিত হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ তেমন বাইরে বের হচ্ছেন না। শহরে মানুষের আনাগোনাও কমে গেছে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে এর প্রভাব পড়েছে। খায়রুল ইসলাম নামের একজন কাপড় বিক্রেতা বলেন, ‘দিনির বেলা গিরামের খদ্দের বেশি আসে। তাপ বাইড়ে যাওয়ায় খদ্দের বাজারে আসা কুমে গিয়েচে। বেচাকিনা না থাকায় শুয়েবসে কাটাতি হচ্চে।’

এদিকে তাপপ্রবাহের মধ্যেই মেঘের ঘনঘটা কৃষকদের ভাবিয়ে তুলেছে। ঝড়বৃষ্টির আগেই ভুট্টা ও বোরো ধান ঘরে তোলার মৌসুমে কৃষিশ্রমিকের সংকট দেখা দিয়েছে। সুযোগ বুঝে শ্রমিকেরা অন্যান্য সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ মজুরি দাবি করছেন।

দুপুরে সদর উপজেলার বোয়ালমারী মাঠে কথা হয় কৃষক আবুল কাশেমের সঙ্গে। কচুখেতে সেচ দিচ্ছিলেন তিনি। রোদ থেকে রক্ষা পেতে শ্যালো মেশিনের পাশে মোটা চটের ছাউনি দিয়েছেন। জমিতে সেচনালা তদারকির মাঝে মাঝে ছাউনির নিচে এসে বসছেন এবং শ্যালো মেশিন থেকে চোখেমুখে পানি ছিটাচ্ছেন। কচুর পাশাপাশি ভুট্টা ও ঢ্যাঁড়স আবাদ করেছেন এই কৃষক।

আবুল কাশেম প্রথম আলোকে বলেন, ‘রোইদ আর গরমে টিকা যাচ্চে না। মন বলচে না মাঠে আসি। বাড়ি বইস থাকারও উপায় নেই। জনের দাম (শ্রমিকের মজুরি) অ্যাকন ৭০০ থেকে ৮০০ ট্যাকা। আগে যেকেনে ছিল ৪০০ ট্যাকা। একই সুমাইতি ধান কাটা, ভুট্টা তুলা, পাট নিড়ানি, কচু নিড়ানির কারণে বেশি ট্যাকা দিয়েই জোন পাওয়া যাচ্চে না। তাই নিজিই জমিতি আসিচি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টিকটকে নতুন সুবিধা
  • পারভেজ হত্যার প্রধান আসামি মেহেরাজ পাঁচ দিনের রিমান্ডে
  • ‘কারাগার’ নির্মাতা শাওকীর সিরিজে শাশ্বত ও চঞ্চল 
  • প্রত্যাবর্তনে প্রমাণের চ্যালেঞ্জ বিজয়ের
  • রাশিয়ায় রাষ্ট্রদূত রাখার সুযোগ পাচ্ছে তালেবান
  • হোয়াটসঅ্যাপে নতুন নিরাপত্তা সেটিংস, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
  • জুমে ভুয়া সাক্ষাৎকারের ফাঁদ
  • রূপগঞ্জে প্রবাসী রায়হান হত্যা মামলার পলাতক ৩ আসামি গ্রেপ্তার
  • পারভেজ হত্যা মামলার আরও ২ আসামি গ্রেপ্তার
  • চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা