মিয়ানমার-থাইল্যান্ডে ভূমিকম্পে ২৩ জন নিহত
Published: 28th, March 2025 GMT
মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ২০ জন নিহত ও ২০০ জন আহত হয়েছেন। প্রতিবেশী থাইল্যান্ডে নিহত হয়েছেন অন্তত তিনজন। দেশটির রাজধানী ব্যাংককে নির্মাণাধীন ৩০তলা একটি ভবন ধসে গেছে। ভবনে কর্মরত ৪৩ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্যমতে, স্থানীয় সময় শুক্রবার ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় শহর মান্দালয়ের কাছে ৭ দশমিক ৭ তীব্রতার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল। প্রায় ১১ মিনিট পর ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প–পরবর্তী কম্পন অনুভূত হয়। প্রতিবেশী বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, চীন ও ভিয়েতনামেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ৭ দশমিক ৭ তীব্রতার ভূমিকম্পকে শক্তিশালী বলে ধরা হয়। এটার উৎপত্তিস্থল মাটির প্রায় ছয় মাইল গভীরে। কম গভীরতায় হওয়ায় কম্পন ভয়াবহভাবে অনুভূত হয়েছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমস।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে ভূমিকম্পে মসজিদের একাংশ ধসে তিনজনের মৃত্যু
মিয়ানমারে আজ শুক্রবার অনুভূত শক্তিশালী ভূমিকম্পে একটি মসজিদ আংশিকভাবে ভেঙে পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির বাগো অঞ্চলে ভূমিকম্পের কারণে মসজিদের একাংশ ধসে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। দুজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মিয়ানমারের বাগো অঞ্চলের তাউংনু শহর থেকে রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেছেন ওই প্রত্যক্ষদর্শীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন বলেন, ‘আমাদের পবিত্র জুমার নামাজ চলার সময় ভূমিকম্প শুরু হয়। তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা যান।’
আজ দুপুরের দিকে মিয়ানমারে শক্তিশালী ওই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, সাগাইং শহর থেকে উত্তর–পশ্চিমে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি। ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। এর উৎপত্তি ছিল ১০ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের অবস্থান মিয়ানমারের মান্দালয় শহর থেকে প্রায় ১৭ দশমিক ২ কিলোমিটার দূরে।
শক্তিশালী ভূমিকম্পটির কয়েক মিনিট পর একই এলাকায় ৬ দশমিক ৪ তীব্রতার ভূমিকম্প–পরবর্তী কম্পন অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ এখনো কিছু জানায়নি। মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা বিভিন্ন অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
ইতিমধ্যে জান্তা সরকার এই দুর্যোগে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কামনা করেছে।