চার বছর আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ফুটবল কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা। তবে তার মৃত্যু ঘিরে রহস্য এখনো কাটেনি। চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে সাত স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে চলছে মামলা। সেই মামলার শুনানিতে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ মরিসিও কাসিনেয়ি জানালেন চাঞ্চল্যকর তথ্য।  

ম্যারাডোনার ময়নাতদন্ত করা এই বিশেষজ্ঞ আদালতে জানান, মৃত্যুর আগে মারাত্মক যন্ত্রণায় ভুগেছিলেন ম্যারাডোনা। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ ও লিভার সিরোসিসের কারণে মৃত্যুর অন্তত ১০ দিন আগে থেকেই তার ফুসফুসে পানি জমেছিল। চিকিৎসক ও নার্সদের এ ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত ছিল বলে মত দেন তিনি।  

মরিসিও আরও বলেন, ‘ম্যারাডোনা যেখানে ছিলেন, সেটি গৃহ হাসপাতালে পরিণত করার জন্য উপযুক্ত ছিল না। অস্ত্রোপচারের দুই সপ্তাহ পর হৃদরোগ ও ফুসফুসে পানি জমার কারণে তিনি মারা যান।’  

কৌঁসুলিরা দাবি করেছেন, দীর্ঘ সময় ধরে যন্ত্রণা ভোগ করলেও তাকে ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এ কারণে সাত স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের ৮ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।  

২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর পৃথিবীকে চিরবিদায় জানান বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবল মহাতারকা। মৃত্যুর আগে দীর্ঘদিন কোকেন ও মদের আসক্তি থেকে মুক্তির জন্য লড়াই করছিলেন তিনি। কিন্তু সেই লড়াই শেষ না হতেই অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে থেমে যায় ম্যারাডোনার জীবন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

হাজারো আফগানকে বহিষ্কার পাকিস্তানের

পাকিস্তান চলতি মাসে ১৯ হাজার ৫০০ জনের বেশি আফগানকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। ৩০ এপ্রিল সময়সীমার আগেই ৮০ হাজারের বেশি আফগান পাকিস্তান ছেড়েছে; এরাও তাদের মধ্যে আছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।

নথিবিহীন আফগান ও যাদের অবস্থান করার অস্থায়ী অনুমতি ছিল, তাদের বহিষ্কার করার পদক্ষেপ জোরদার করেছে ইসলামাবাদ। অতিরিক্ত শরণার্থীর চাপ তারা আর বহন করতে পারছে না বলে ইসলামাবাদ জানিয়েছে। তালেবান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ পরিবারকে ফেরত পাঠাচ্ছে পাকিস্তান।

আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ২০ লাখ আফগান শরণার্থীকে ফেরত পাঠানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তালেবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার শনিবার কাবুল যান। আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির কান মুত্তাকি শরণার্থী আফগানদের ফেরত পাঠানোর ঘটনায় ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেন। রয়টার্স।

সম্পর্কিত নিবন্ধ