বরিশাল নগরের কীর্তণখোলার তীরে উদ্ধার হওয়া পরিচয়হীন নবজাতকের পরিচয় মিলেছে। সন্ধান পাওয়া গেছে শিশুটির জন্মদাতা পিতা-মাতার। তাদের দাবি, দত্তক দেওয়ার জন্য তারা বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে বসে এক রিকশা চালককে শিশুটিকে দিয়েছিল। এরপরে তাদের কিছু জানা নেই।

শিশুটির পিতার নাম গণেশ শ্যাম ও মায়ের নাম অন্তরা দাস। বাগেরহাট শহরে তাদের স্থায়ী নিবাস এবং শহরের এক সড়কে ফুটপথে চা বিক্রি করেন গণেশ। সন্তানের বর্তমান খবর জানার পর গণেশ ও তার শ্বাশুড়ি সুমি দাস শুক্রবার বরিশাল নগরীতে যান এবং বেলা ১১টায় বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। নবজাতক সমাজসেবা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। শিশুটি এ দম্পতির প্রথম সন্তান। চার বছর আগে তাদের বিয়ে হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বর শ ল বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতি পালন করবে, আশা মির্জা ফখরুলের

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা পালন করবে, এমনটাই প্রত্যাশা করেছেন বিএনপির মহাসচবি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, তাঁদের দলের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিও তাঁরা পালন করবেন।
আজ সোমবার ঈদুল ফিতরের দিন সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।

ফ্যাসিবাদ সরকারের শাসনামলের থেকে ‘এবার ঈদ আনন্দময় পরিবেশে হচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

গত ১৫ বছরের ঈদের সঙ্গে এবারকার ঈদের পার্থক্যটা কি জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেক পার্থক্য। এবার মুক্ত ও একটা আনন্দময় পরিবেশে আমরা ঈদ পালন করছি।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকের এ দিনে আমরা আশা করব, যিনি যে দায়িত্ব নিয়েছেন, সেই দায়িত্বে সবাই সফল হবেন এবং বিশেষ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, জনগণের কাছে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি, সেই প্রতিশ্রুতি তারা পালন করবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকেও আমরা অবশ্যই সেই প্রতিশ্রুতি পালন করব বলে শপথ নিয়েছি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের এই পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন প্রত্যেক বাংলাদেশি মানুষ যেন আনন্দের সঙ্গে ঈদ উদ্‌যাপন করতে পারেন, সেই জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি। দোয়া চেয়েছি আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হয়ে দ্রুত আমাদের কাছে ফিরে আসেন এবং আমাদের নেতা তারেক রহমান, তিনি যেন অতি শিগগিরই আমাদের মধ্যে ফিরে আসেন, সেই দোয়া চেয়েছি।’

আজ বেলা  সাড়ে ১১টায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান শেরেবাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে এসে তাঁর কবরে ফুল দেন এবং দোয়া করেন।

এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন আহমেদ আজম খান, আমান উল্লাহ আমান, মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কবির রিজভী, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মীর সরফত আলী সপু, রফিকুল ইসলাম, সাইফুল আলম নিরব, মীর নেওয়াজ আলী, রফিক শিকদার, এস এম জাহাঙ্গীর, আমিনুল হকসহ দলের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের সহাস্রাধিক নেতা-কর্মী।

জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর বিএনপি মহাসচিব সাংবাদিকদেন বলেন, ‘আমরা দলের পক্ষ থেকে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এবং স্থায়ী কমিটির সদস্যদের পক্ষ থেকে আপনাদের (গণমাধ্যম) সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি…ঈদ মোবারক…আপনাদের মাধ্যমে আমরা পুরো দেশবাসীর কাছে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি…ঈদ মোবারক।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ আমরা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে এসেছিলাম। আমরা পরম করুনাময় আল্লাহ তাআলার কাছে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছি। আমরা একই সঙ্গে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছি।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘একই সঙ্গে বিগত গণতান্ত্রিক আন্দোলনগুলোতে যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন, তাঁদেরও আত্মাঁর মাগফিরাত কামনা করেছি। বিশেষ করে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে যাঁরা এ দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন, শহীদ হয়েছেন, তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছি এবং গণতন্ত্রের জন্য বিগত ১৫ বছর ও জুলাই-আগস্টে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছি।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘১৫ বছর ধরে আমরা যে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম করেছি, মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য যে সংগ্রাম করেছি, মানুষের ভাতের অধিকারের জন্য যে সংগ্রাম করেছি, মানবাধিকারের জন্য যে সংগ্রাম করেছে, সেই সংগ্রাম যেন প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, সে জন্য পরম আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ