‘পৃথিবীর সেরা চিকিৎসা পেয়েছেন তামিম’
Published: 28th, March 2025 GMT
বিকেএসপিতে হার্ট অ্যাটাকের পরপরই পাশবর্তী কেপিজে হাসপাতালে দ্রুততার সঙ্গে তামিম ইকবালের হার্টে রিং পরানো হয়। অথচ হাসপাতালে আনার আগে তার পালসও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বুকে ব্যাথা শুরু হলে কেপিজে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বিকেএসপিতে ফেরেন তামিম। কিন্তু আবার ব্যথা শুরু হয়, অল্পসময়ে অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে।
হেলিকপ্টার নিয়ে আসা হলেও তামিমের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল তোলা যায়নি তাতে। এরপর নেয়া হয় কেপিজেতে। সেখানে রিং পরানোসহ চিকিৎসা শেষে তামিম ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকেন। একদিন পর আনা হয় রাজধানীর এভার কেয়ারে।
আরো পড়ুন:
চারদিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় তামিম
‘সতর্কতার সঙ্গে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে তামিমকে’
সব মিলিয়ে চারদিন পর আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তামিমের চিকিৎসার জন্য গঠিত এভার কেয়ারের মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার মনে করেন তামিম পৃথিবীর সেরা চিকিৎসা পেয়েছেন।
“আল্লাহর রহমতে উনি পৃথিবীর সেরা চিকিৎসা পেয়ে আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন। এ জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”
বাসায় গেলেও তামিমকে যেতে হবে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে, “তামিম এখন স্থিতিশীল। তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। কিছু ওষুধ, জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এবং পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার নির্দেশনা দিয়ে তাকে বাসায় ফেরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”
“চিকিৎসার পুরো প্রক্রিয়ায় তিনি আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। আশা করছি, নিয়ম মেনে চললে দ্রুতই সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে পারবেন” -আরও যোগ করেন চিকিৎসক।
এদিকে গতকাল তামিমের ব্যক্তিগত তথ্য সামনে আনায় ক্ষমা চেয়েছেন শাহবুদ্দিন, “গতকাল তামিমের শারীরিক অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি হিসেবে ধূমপানের প্রসঙ্গ এসেছে। এখানে তামিমের নামটা ভুলবশত জড়ানোর জন্য আমি দুঃখিত।”
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ম ম ইকব ল অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য হটলাইন চালুর ঘোষণা পুলিশের
বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জরুরি যোগাযোগের জন্য হটলাইন সেবা চালুর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। হটলাইন নম্বরে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে নিরাপত্তাজনিত যেকোনো সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে জানানো এবং দ্রুত সহায়তা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হলো।
সম্প্রতি গাজায় হামলা নিয়ে বিক্ষোভের সময় বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ছয়টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন আইজিপি ও বিডা চেয়ারম্যান। বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল– নেসলে বাংলাদেশ, কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস, ইউনিলিভার বাংলাদেশ, বাটা সু কোম্পানি বাংলাদেশ, রেকিট বেনকিজার বাংলাদেশ, পেপসিকো ও জুবিল্যান্ট ফুড ওয়ার্কস বাংলাদেশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৭ ও ৮ এপ্রিল দেশের বিভিন্ন শহরে এসব কোম্পানির কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় অন্তত ১৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং প্রায় এক ডজন মামলা হয়েছে।
বৈঠকে বিডা চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, ‘আইজিপি, জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা ও বিডার কর্মকর্তাদের একসঙ্গে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বসা শুধু সময়োপযোগী নয়, নজিরবিহীন। এটি কেবল একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ নয়। এটি এক ধরনের বার্তা যে বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের পাশে আছে, বিশেষ করে যখন চ্যালেঞ্জ আসে।’
তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলো হাজার হাজার কর্মজীবী ও তাদের পরিবারের জীবিকার উৎস। প্রতিবাদের অধিকার আছে, কিন্তু যে প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মসংস্থান, স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে, সেগুলো ধ্বংস করা কোনো সমাধান নয়। পুলিশের তাৎক্ষণিক সাড়া ও দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন বিডা চেয়ারম্যান।
প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা ভাঙচুর, ক্ষয়ক্ষতি ও কার্যক্রমে বিঘ্ন নিয়ে সরাসরি অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। আইজিপি বাহারুল আলম বিনিয়োগকারীদের পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কেবল প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য এখানে আসিনি, বরং আস্থা গড়ে তুলতে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন না ঘটে, তা নিশ্চিত করতেই এসেছি।’
এ আলোচনার ফলে বিডা, পুলিশ ও ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে একটি প্রতিরোধ পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নতুন নিরাপত্তা প্রটোকল, দ্রুত সাড়া দেওয়া ইউনিট এবং সংকটকালে উন্নত যোগাযোগ চ্যানেল।