রাজশাহীতে বইছে মাঝারি তাপপ্রবাহ, এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রি
Published: 28th, March 2025 GMT
রাজশাহীতে আজ শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা ৩টায় রাজশাহী আবহাওয়া অফিস এই তাপমাত্রা রেকর্ড করে। আবহাওয়া অফিস বলছে, রাজশাহীতে এটি চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। আগামী কয়েক দিন এই তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সবশেষ রাজশাহীতে গত ২১ ও ২২ মার্চ ৮ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। তখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। তারপর ২৩ মার্চ থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজশাহী ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রির বেশি বেড়ে গেছে। আজ শুক্রবার বেলা ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, কোনো এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। সেই হিসাবে রাজশাহীতে আজ মাঝারি তাপপ্রবাহ চলছে। গতকাল ছিল মৃদু তাপপ্রবাহ।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারী পর্যবেক্ষক আনোয়ারা খাতুন জানান, কিছুদিন আগে বৃষ্টি হওয়ার পর থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সময়ে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে এসেছে। বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষেরা। গরমের মধ্যে নানা প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া বেশির ভাগ মানুষ ছাতা ব্যবহার করছেন।
নগরের বিনোদপুর এলাকায় আখের রস বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁর বেচাবিক্রি বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সময়ের আগেই সব আখের রস বিক্রি করেছেন।
নগরের তালাইমারী এলাকায় বালু টানার কাজ করছিলেন শ্রমিক আবদুর রহিম। তিনি বলেন, ‘বারবার শুধু গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। আজকে রোদের তীব্রতা অনেক বেশি। শরীরে ঝিমানি এসে গেছে।’
রিকশাচালক বাহাস আলীর সঙ্গে কথা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি বলেন, খাঁ খাঁ রোদে রিকশা চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এই রোদে থাকলে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়বে। তাই ক্যাম্পাসে এসে বিশ্রাম নিচ্ছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কর ড কর স লস য় স দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
বন্ধুর মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরল এসএসসি পরীক্ষার্থী
দিনাজপুরের বিরামপুরে বন্ধুর মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় হাসান আলী (১৬) নামের এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হয়েছে। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিরামপুর পৌর শহরের দোয়েল স্টুডিও মোড়ে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় হাসানের বন্ধু মোটরসাইকেলের চালক নাঈম হোসেন (১৭) আহত হয়েছে।
নিহত হাসান আলী পৌর শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চকপাড়া লিচুবাগান এলাকার ঝালমুড়ি বিক্রেতা মিলন ইসলামের ছেলে। সে চলমান এসএসসি পরীক্ষার পরীক্ষার্থী ছিল। হাসান উপজেলার আমানুল্লাহ আদর্শ বিদ্যানিকেতনের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিচ্ছিল বলে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুর রশিদ জানিয়েছেন। আহত নাঈম হোসেন একই এলাকার নিয়ামুল হকের ছেলে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আজ বেলা ১১টার দিকে হাসান তার বন্ধু নাঈমের মোটরসাইকেলে করে বিরামপুর শহরে ঘুরতে যায়। নাঈম মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিল, হাসান পেছনে বসে ছিল। পথে পৌর শহরের দোয়েল স্টুডিও মোড়ে পৌঁছালে গোবিন্দগঞ্জ থেকে আসা পণ্যবাহী একটি পিকআপ মোটরসাইকেলের পেছনে ধাক্কা দিলে তারা মহাসড়কের ওপর ছিটকে পড়ে। এ সময় হাসান আলী পিকআপের চাকায় পিষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক তাহাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হাসান আলীকে মৃত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছিল। সে শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত পেয়েছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় হাসান আলী নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। নিহতের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ঘটনার পর পিকআপ ভ্যানের চালক গাড়ি নিয়ে পালিয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।