ফরিদপুরে ডিক্রিরচর বন্ধু ফোরামের উদ্যোগে ঈদসামগ্রী বিতরণ
Published: 28th, March 2025 GMT
ফরিদপুরে ডিক্রিরচর বন্ধু ফোরামের উদ্যোগে শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে শহরের বায়তুল আমান রেলক্রসিং জামে মসজিদ চত্বরে এ ঈদসামগ্রী দেওয়া হয়।
বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা। এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন সমকাল প্রকাশক ও চ্যানেল ২৪এর পরিচালক আবুল কালাম আজাদ এবং ফরিদপুর জজ কোর্টের নারী ও শিশু আদালতের পিপি গোলাম রাব্বানী ভুঁইয়া রতন।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, একটি অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের পাশে যদি তাদের অগ্রসর অংশ এভাবে দাঁড়ায় তাহলে সমাজে সব ক্ষেত্রে বৈষম্য কমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, একতাবদ্ধ জনগণ ইচ্ছা করলেই ভালো কিছু করতে পারে, তার উদাহরণ ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলতে পারি।
সমকাল প্রকাশক ও ডিক্রীরচর বন্ধু ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০২০ সালে করোনার সময় জাতীয় জীবনের ক্রান্তিলগ্নে আর্তমানবতার সেবায় আত্মপ্রকাশ হয় এই সংগঠনের। আমরা সব সংকটে, দুর্যোগে, সুখে-দুঃখে নদী ভাঙনে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া মানুষদের পাশে থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সমাজসেবক ইয়াকুব আলী মুন্সির সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদল সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন। এ আয়োজনের সার্বিক সহায়তায় ছিলেন সমাজসেবক উজ্জ্বল পাল, বন্ধু ফোরাম উপদেষ্টা হারুনুর রশীদ, উপদেষ্টা লোকমান হোসেন, উপদেষ্টা দেলেয়ার হোসেন, বন্ধু ফোরাম সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আমজাত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদে তারকারা কে কোথায়?
ঈদ আনন্দ পরিবার আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ব্যস্ত শহর ছেড়ে গ্রামে পাড়ি জমিয়েছেন অনেকে। তারকাদের কেউ কেউ বিদেশে উড়ে গিয়েছেন। চলুন জেনে নিই, কোন তারকা কোথায় ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন।
সাদিয়া ইসলাম মৌ
ঈদের ছুটিতে ঢাকায় অবস্থান করছেন জনপ্রিয় মডেল-নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ। বছরজুড়ে ব্যস্ত থাকায় ঈদের সময়ে একটু অবসর পান। সেভাবেই পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। মৌ বলেন, “ঈদের ছুটিতে ঢাকায় আছি। এই ঈদে আমার অভিনীত দুটি নাটক প্রচার হওয়ার কথা। আশা করি, দর্শকরা ভালো কিছু দেখতে পাবেন। আমার মেয়ে দেশের বাইরে পড়াশোনা করছে। ঈদের দিন ওকে মিস করছি।”
জয়া আহসান
টানা শুটিং করেছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ছুটির মুডে আছেন। ঢাকার বাসায়ই পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছেন। জয়া আহসান বলেন, “বাসায় সবাই মিলে আমার অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘জিম্মি’ দেখব। ঈদে প্রতিটা বাড়িতে যা রান্না হয়, আমাদের বাসাতেও সেটা রান্না হয়। তবে ঈদের দিন আমার বাসার আশপাশের বাচ্চাদের মাংস-ভাত খাওয়াব। এটা আমি তাদের জন্য নিজে হাতে রান্না করি। ঈদের দিনটা ওরা খাবে না আমি খাব, এটা ভাবতেই পারি না।”
আরো পড়ুন:
ঈদের আগে উড়াল দিলেন ফারিণ
হুইলচেয়ারে বসে কেন প্রিমিয়ারে মোশাররফ করিম?
আজমেরী হক বাঁধন
ঈদুল ফিতর ঢাকায় উদযাপন করছেন আজমেরী হক বাঁধন। এ অভিনেত্রী বলেন, “ঢাকায় মা-বাবা, মেয়ে ও পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছি। ছোটবেলায় ঈদের জন্য বড়সড় পরিকল্পনা করতাম। এখন মেয়ে পরিকল্পনা করে, এটা ভালো লাগে। ঈদে যারা গ্রামে গিয়েছেন, তাদের ঈদ বেশি আনন্দের হোক এটাই প্রত্যাশা করি।”
জাকিয়া বারী মম
রাজধানী ঢাকায় কাটছে লাক্স তারকা অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মমর ঈদুল ফিতর। তার মা, ভাই ও ভাবি হজে গিয়েছেন। ফলে, তাদেরকে মিস করছেন। মম বলেন, “মা-ভাই-ভাবি ফিরে এলেই মূলত আমার ঈদ শুরু হবে। তাই আপাতত বড় কোনো পরিকল্পনা করিনি।”
পরীমণি
দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। তার ঈদের আনন্দ দুই সন্তানকে ঘিরেই। এই চিত্রনায়িকা বলেন, “আমার সব আনন্দের মূলে ওরা দুজন। ঈদের আনন্দও ওদের নিয়েই। ঈদের ছুটিতে ঢাকাতেই আছি। সন্তানদের নিয়ে ঘুরতে যেতে পারি। তবে নানাকে মিস করছি। আমার নানাভাইয়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন।”
তাসনিয়া ফারিণ
ঈদুল ফিতরের আগে যুক্তরাজ্যে উড়ে গিয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। তার স্বামী শেখ রেজওয়ান যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে বসবাস করেন। স্বামীর সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগ করে নিতে দূরদেশে উড়ে গিয়েছেন এই অভিনেত্রী। তবে যাওয়ার আগে স্বামীর জন্য লাগেজ ভর্তি জিনিসপত্র নিয়েছেন এই শিল্পী।
তানজিম সাইয়ারা তটিনী
এ সময়ের জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী তটিনী। অন্য তারকাদের মতো ঈদুল ফিতর ঢাকায় উদযাপন করছেন না। বরং নিজ বাড়ি বরিশালে গিয়েছেন; যেখানে তার শৈশব কেটেছে। এই অভিনেত্রী বলেন, “বরিশালে আমার অনেক স্মৃতি। ব্যস্ততার কারণে কয়েকবছর যাওয়া হয়নি। এবার আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলাম ঈদের ছুটিতে বরিশাল যাব, কয়েকটি দিন কাটাব। বরিশাল আমার প্রিয় শহর। এখানে আমার নানাবাড়ি-দাদাবাড়ি।”
ঢাকা/শান্ত