আপনার বাড়ি যদি ৪৮ মাইল বা ৭২ কিলোমিটার দূরে হয়, তাহলে ভ্রমণ শুরু করামাত্রই আপনি একজন মুসাফির। এ ক্ষেত্রে হঠাৎ সফর করা এবং যারা সবসময় সফরে থাকে তাদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। মুসাফিরের জন্য রোজা না রাখা বৈধ। তবে যদি আপনি দিনের আলো থাকতেই বাড়িতে পৌঁছে থাকেন, তাহলে বাকি অংশ না খেয়ে থাকবেন এবং পরে সময়ে রোজাটির কাজা আদায় করে নেবেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদিস: ৯,৪৩৬-৯,৪৩৮)

ঈদের আগে যদি গ্রামের বাড়িতে না গিয়ে কোনও দূরদেশে ভ্রমণে যান, যার দূরত্ব ৪৮ মাইল বা ৭২ কিলোমিটারের বেশি এবং যতি ১৫ দিনের কম সময় থাকেন, তাহলে পুরো দিনগুলোতেই চাইলে রোজা না রেখে থাকতে পারেন। পরবর্তী সময় রোজাগুলো সুবিধামতো আদায় করে নিলেই হবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/২০৬)

আরও পড়ুনইতিকাফ অবস্থায় কী করা যায়, করা যায় না২১ মার্চ ২০২৫

মনে রাখতে হবে

১.

সফর করার অবস্থায় নিয়ত করে রোজা রাখা শুরু করলে তা ভাঙা বৈধ নয়। কেউ শুধু শুধু ভেঙে ফেললে গোনাহগার হবে। (রদ্দুল মুহতার, ২/৪৩১)

২. যে ব্যক্তি সাহরি খেয়েছেন, তিনি সফরে বের হবেন, কেবল এমন ইচ্ছা করেই খাবার গ্রহণ করতে পারবেন না। বরং পথে যাত্রার সূচনা করতে হবে। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ১/২০৬)

৩. দিনের বেলায় যদি সফর শেষ হয়ে যায়, তাহলে সেদিনের অবশিষ্ট সময় রমজানের মর্যাদা রক্ষার্থে পানাহার থেকে বিরত থাকবে। আর পরে এ রোজার কাজা করে নেবেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদিস: ৯,৪৩৬-৯,৪৩৮)

আরও পড়ুনরমজান দোয়া কবুলের মাস২২ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

উইলিয়ামসকে ফেরালেন মিরাজ

মায়াভোকে সঙ্গে নিয়ে জিম্বাবুয়েকে লিড এনে দেন উইলিয়ামস। ৫৫তম ওভারে মিরাজের বলে অহেতুক এক শটে ছক্কা মারতে চেয়েছিলেন। টাইমিংয়ের গড়বড়ে বাউন্ডারির কাছাকাছি জয়ের তালুবন্দি হন। সাজঘরে ফেরার আগে ১০৮ বলে ৫৯ রান করেন তিনি, ইনিংসটি সাজানো ছিল ছয়টি চার ও দুটি ছক্কায়। ৫৬ ওভারে জিম্বাবুয়ের রান ৬ উইকেটে ১৯৫। ক্রিজে নিয়াশা মায়াভোর সঙ্গী ওয়েলিংটন মাসাকাদজা।

জিম্বাবুয়ের লিড

প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারানোর ধাক্কা সামাল দিয়ে লিড নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। ইনিংসের ৫৩তম ওভারে মিরাজের বলে মায়াভোর চারে জিম্বাবুয়ের রান হয়েছে ৫ উইকেটে ১৯২। মায়াভো ১৩ এবং উইলিয়ামস ৫৮ রানে অপরাজিত। ক্রিজে শন উইলিয়ামস ও হাতে ৫ উইকেট থাকায় বড় লিড নেওয়ার সুযোগ আছে সফরকারীদের।

মাধেভেরেকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন খালেদ

প্রথম সেশনে ৪টা উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে দ্বিতীয় সেশনে উইলিয়ামস-মাধেভেরে জুটিতে ভালোই প্রতিরোধ গড়ে তারা। তবে ৫০তম ওভারে মাধেভেরেকে ফিরিয়ে ৪৮ রানের জুটি ভাঙলেন খালেদ। ৩৩ বলে চারটি জারে ২৪ রান করেন মাধেভেরে।

৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানে ব্যাট করছে জিম্বাবুয়ে। লিড নেওয়ার পথেই এগোচ্ছে অতিথিরা। উইলিয়ামস ব্যাট করছেন ৫৬ রানে, মায়ভো আছেন ০ রানে। ১৪ রানে পিছিয়ে আছে জিম্বাবুয়ে।

এর আগে বিনা উইকেটে ৬৭ রানে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। প্রথম সেশন শেষ হতে হতে তাদের উইকেট পড়ে যায় চারটি। নাহিদা রানা শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক বোলিং করেছেন। লাঞ্চ বিরতির আগে একাই নিয়েছেন ৩ উইকেট। ১ উইকেট নেন হাসান। 

আজ প্রথম সেশনে ক্যাচের রেকর্ডে মেহেদী হাসান মিরাজকে ছাড়িয়ে গেলেন মুমিনুল হক। নাহিদ রানার লাফিয়ে ওঠা ডেলিভারিতে শর্ট লেগে বেন কারানের ক্যাচ নিলেন মুমিনুল হক। জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পাশাপাশি রেকর্ডও গড়লেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। টেস্ট ক্রিকেটে মুমিনুলের এটি ৪১তম ক্যাচ। যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। এত দিন ৪০ ক্যাচ নিয়ে শীর্ষে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনই এখনও খেলছেন। তাই সামনের দিনগুলোতে হয়তো বারবার হাতবদল ঘটবে এই রেকর্ডের।

নাহিদময় বাংলাদেশের প্রথম সেশন

সম্পর্কিত নিবন্ধ