যার ওপর কাজা ওয়াজিব, এমন ব্যক্তি যদি পরবর্তী রমজান আগমনের পূর্বে মারা যায়, তাহলে তার ওপর কোনও কিছু ওয়াজিব হবে না। কেননা যে সময়ে মধ্যে সে মারা গেছে, ততটুকু সময় কাজা আদায়ের জন্য বিলম্ব করা বৈধ ছিল।

যদি ব্যক্তিটি নতুন রমজানের পর মারা যায় এবং তার বিলম্ব করাটাও অসুস্থতা বা সফরের কারণে হয়ে থাকে, তাহলেও তার দায় থাকবে না।

কিন্তু গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া বিলম্ব করলে এবং সে অবস্থায় মারা গেলে মৃত ব্যক্তির পরিত্যক্ত সম্পদ থেকে প্রতি দিনের জন্য ‘ফিদয়া’ দিতে হবে। অর্থাৎ, প্রতিটি রোজার জন্য একজন অভাবীকে খাবার দিতে হবে। সুতরাং এমন ব্যক্তির জন্য ‘ফিদয়া’র অসিয়ত করা যাওয়া ওয়াজিব। (রদ্দুল মুহতার, ২/৪২৩-৪২৪)

তবে মানতের রোজা থাকলে ওয়ারিশদের জন্য মৃতব্যক্তির পক্ষ থেতে রোজা রাখা মুস্তাহাব। হাদিসে বর্ণিত আছে.

‘জনৈক ব্যক্তি রাসুল (সা).-এর কাছে এসে বলল, আমার মা মানতের রোজা পালন না করে মারা গেছেন, আমি কি তার পক্ষ থেকে রোজা পালন করতে পারি?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ (বুখারি, হাদিস: ১,৯৫৩; মুসলিম, হাদিস: ১,১৪৭)

আরও পড়ুনরমজানে মহানবীর (সা.) আল্লাহভীতি২২ মার্চ ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

দুই উইকেট নিয়ে সবার উপরে রিশাদ

মুলতান সুলতানের বিপক্ষে রিশাদ হোসেন মূল্যবান দুটি উইকেট পেলেও দিয়েছেন ৪৫ রান। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) এই ম্যাচে লাহোর কালান্দার্স অধিনায়ক শাহিন আফ্রিদি ব্যবহার করেছেন ৭ বোলার। একমাত্র আব্বাস আফ্রিদি ছাড়া বাকি সবারই রানরেট ছিল ৭ এর ওপরে। তাই রিশাদের ৪৫ রান খরচকে খুব একটা দৃষ্টিকুটু লাগছে না। তবে এরপরও টাইগার লেগ স্পিনারের হাতাশার বড় কারণ আছে। তার দল লাহোর যে হেরেছে ৩৩ রানে।

ঘরের মাঠ মুলতান স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিধান্ত নেন সুলতানের অধিনায়ক মুহাম্মদ রিজওয়ান। ইয়াসির খানের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ২২৮ রানের পাহাড় গড়েছিল মুলতান। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ৪৪ বলে ৮৭ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬টি করে চার ও ছক্কায়।

জবাবে লাহোর ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৫  রানে থামে। ৩৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে লাহোরকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছেন উবাইদ শাহ। এই ১৯ বছর বয়সী ক্রিকেটার পাকিস্তান জাতীয় দলের পেসার নাসিম শাহর ছোট ভাই।

রিশাদ এই ম্যাচে প্রথম বল করতে আসেন সপ্তম ওভারে। তার আগে মুলতান পাওয়ারপ্লেতে এই আসরের সর্বোচ্চ ৭৯ রান তুলে বিনা উইকেটে। প্রথম ওভারে রিশাদ  বিলিয়েছেন ১০ রান। ১২তম ওভারে দিয়েছেন ১২ রান। নিজের শেষ দুই ওভারে ২ আরও ২৩ রান দিলেও তুলে নেন উসমান খান আর অ্যাস্টন টার্নারের উইকেট।

খরুচে বোলিং করলেও এদিন পিএসএলে বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী বোলার হয়ে গিয়েছেন রিশাদ। এই লেগি ছুঁয়ে ফেলেছেন সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের গড়া কীর্তি। পিএসএলে সাকিব ও রিয়াদ পেয়েছেন সমান ৮টি করে উইকেট, যা এখন আছে রিশাদেরও। তবে এই ২২ বছর বয়সী স্পিনারে ৮ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৩ ম্যাচে, যেখানে বাকি দুজনের লেগেছিল অন্তত দুই আসর।

২০১৬-১৭ মৌসুমে রিয়াদ খেলেছিলেন কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের জার্সিতে। সেই আসরে পেয়েছিলেন ৭ উইকেট। রিশাদ ইতিমধ্যেই সেটা অতিক্রম করেছে। তবে চলতি আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় আপাতত আছেন তিনে। জেসন হোল্ডারের ১১, হাসান আলীর ১০ উইকেটের পরেই আছেন রিশাদ।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ