গত ২৫ মার্চ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড থেকে সিনেমা দেখে বের হওয়ার সময় বরেণ্য নির্মাতা কাজী হায়াতের গাড়ি আটকে রাখেন শাকিব ভক্তরা। এরপর কাজী হায়াৎ গাড়ি থেকে নেমে তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে ‘তুমি কে আমি কে, শাকিবিয়ান, শাকিবিয়ান’ বলে স্লোগান দিতে থাকে তারা। কেবল তাই নয়, এই পরিচালকের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় শাকিব ভক্তদের।

এ ঘটনার পর ফেসবুক লাইভে এসে প্রতিবাদ করেন কাজী হায়াতের পুত্র চিত্রনায়ক কাজী মারুফ। প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন চিত্রনায়ক ওমর সানী, ডিপজলও। তারপরও কাজী মারুফ, কাজী হায়াতকে নিয়ে ট্রল করছেন নেটিজেনরা। এসব নজরে পড়েছে আমেরিকা প্রবাসী কাজী মারুফের। ফের এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি।    

কাজী মারুফ বলেন, “আমি আমেরিকার নিউ ইয়র্কে বসবাস করি। আমি কি বাংলাদেশ সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডের সদস্য? আমি কি ‘বরবাদ’ সিনেমার কেউ? কার সিনেমা আসলো কার আসলো না এতে আমার কি কোনো লাভ-ক্ষতি আছে? আমি কি কোনো সিনেমার প্রমোশনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত? আমার কি কোনো সিনেমা এই ঈদে বা আগামী ঈদে মুক্তি পাচ্ছে? তাহলে আমাকে কেন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই মানুষের বাজে কথা শুনতে হলো?”

আরো পড়ুন:

জটিলতা কাটিয়ে আসছে ‘কৃষ-ফোর’, নয়া অবতারে হৃতিক

এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক-নিন্দনীয়, কাজী হায়াৎ প্রসঙ্গে ডিপজল

কাজী হায়াতের হার্টে ৯টি রিং পরানো হয়েছে। বাবার অসুস্থতার তথ্য জানিয়ে কাজী মারুফ বলেন, “৭৮ বছর বয়সি একজন মানুষ কাজী হায়াৎ(আমার বাবা)। একবার স্ট্রোক করেছে, একবার ওপেন হার্ট করা, ৯টা রিং পড়ানো একজন মানুষ, তার গাড়ি আটকানো কেন হলো? সেন্সর বোর্ডে কি উনি একাই ছিলেন সদস্য? সিনেমার পরিচালক/প্রযোজক, বোর্ডের সদস্যদের সাথে কেন ভিতরে মিটিং করলো না? তবে কি এটা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল?”

শাকিব খান অভিনীত আলোচিত সিনেমা ‘বরবাদ’। ঈদুল ফিতরে সিনেমাটির মুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। গত মঙ্গলবার সিনেমাটির প্রদর্শনী দেখতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে যান নির্মাতা ও বোর্ড সদস্য কাজী হায়াৎ। আর সেদিন দুপুরে আনকাট সেন্সর সার্টিফিকেটের দাবিতে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের সামনে মানববন্ধন করেন শাকিবভক্তরা। সেখানে এই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আম র ক সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

তৃতীয় দেশে অভিবাসী বিতাড়ন করার ট্রাম্পের পরিকল্পনা আটকে দিয়েছেন আদালত

ট্রাম্প প্রশাসনকে শত শত, এমনকি হাজারো অভিবাসীকে দ্রুত তাঁদের নিজ দেশ ছাড়া অন্য দেশে বিতাড়িত করার নির্দেশ দেওয়া থেকে বিরত থাকার আদেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিচারক।

নিজ দেশে বিতাড়িত হওয়ার পর নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া বা প্রাণ হারানোর ঝুঁকির বিষয়ে অভিবাসীদের কোনো কথা বলার সুযোগ দিচ্ছে না ট্রাম্প প্রশাসন। এ অবস্থায় গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ডিস্ট্রিক্ট বিচারক ব্রায়ান মারফি ট্রাম্প প্রশাসনের ওই পরিকল্পনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী পরিকল্পনায় এটি একটি নতুন আঘাত। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর সব নীতিমালা গ্রহণ করছেন।

এর আগে গত মাসে বোস্টনভিত্তিক একজন বিচারক ট্রাম্প প্রশাসনের বিতাড়ন প্রক্রিয়া দ্রুত করার পরিকল্পনার ওপর অস্থায়ীভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন, যেন প্রশাসনের অভিবাসীদের অপসারণের ক্ষমতা বাধাগ্রস্ত হয়।

যেসব অভিবাসীর কিছু ক্ষেত্রে আইনি সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার আছে, তাঁদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো থেকে প্রশাসনকে বিরত রাখতে ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।

গতকালের নিষেধাজ্ঞা ওই আদেশকে বহাল রাখতে জারি করা হয়েছে। আইনিভাবে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসী বিতাড়নের পরিকল্পনার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্রে যখন সরকারের কোনো নীতিমালা আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে, তখন ফেডারেল বিচারকেরা যে আদেশ দেন, তা প্রায়ই দেশজুড়ে কার্যকর হয়।

আদালতের এসব সিদ্ধান্ত দেশজুড়ে কার্যকর করা বাধাগ্রস্ত করতে ট্রাম্প প্রশাসন এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছিল। ট্রাম্প প্রশাসনের আবেদন ছিল, যাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত এমন সিদ্ধান্ত দেন, শুধু তাঁদের ওপরই তা কার্যকর করা হোক।

বিচারক ব্রায়ান মারফি বলেছেন, ‘আদালত মনে করছেন, এসব বিতাড়ন ভুলভাবে হয়েছে অথবা ভুলভাবে করা হবে। উল্লেখ করার মতো যেসব ক্ষতির সম্মুখীন বাদীরা হতে পারেন, সে বিষয়ে তাঁদের কিছু বলার কোনো সুযোগ দেওয়া হয় না।’

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

হিউম্যান রাইটস ফার্স্টের অ্যানওয়েন হিউস বলেছেন, যাঁদের তৃতীয় কোনো দেশে বিতাড়ন করা হয়েছে, তাঁদের অনেকে শরণার্থী এবং তাঁদের নিজ দেশে ফেরত না পাঠানোর সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। নিজ দেশে গেলে তাঁরা নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হতে পারেন।

ট্রাম্প প্রশাসনের দ্রুত বিতাড়নের বিরুদ্ধে যাঁরা আদালতে গেছেন, হিউস তাঁদের পক্ষের একজন আইনজীবী।

২০২৩ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে ১ হাজার ৭৬৯ জন আদালতের চূড়ান্ত আদেশে তাঁদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর বিরুদ্ধে সীমিত সুরক্ষা পাওয়ার নিশ্চয়তা পান। নিজ দেশে ফেরত পাঠালে তাঁদের জীবন ও স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়তে পারে অথবা সেখানে নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

আরও পড়ুনআদেশ লঙ্ঘন করে ভেনেজুয়েলার অভিবাসীদের বিতাড়ন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে বিচারপতির হুঁশিয়ারি২০ মার্চ ২০২৫

এ বছর ফেব্রুয়ারিতে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তর অভিবাসন কর্মকর্তাদের এ ধরনের সুরক্ষা পাওয়া ব্যক্তিদের মামলা পর্যালোচনার করার নির্দেশ দিয়েছে ও তাঁদের পুনরায় আটক করে তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানো যায় কি না, তা দেখতে বলেছে।

পরে অভিবাসীদের অধিকারের পক্ষে কাজ করা কয়েকটি সংগঠন একদল অভিবাসীর পক্ষে আদালতে গিয়ে নতুন জায়গায় তাঁদের দ্রুত বিতাড়ন আটকে দেওয়ার আবেদন করেন।

বিচারক মারফি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, আদালতের নির্দেশ ছাড়া ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসীদের বিতাড়ন করলে সেটি হয়তো নিপীড়নবিরোধী নীতিমালার লঙ্ঘন হবে।

আরও পড়ুনঅভিবাসীবিষয়ক ‘দ্রুত অপসারণ’ নীতির আওতা বাড়ানোর ট্রাম্পের পদক্ষেপ আটকাতে মামলা২৩ জানুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
  • নোয়াখালীতে ১২০ মিলিমিটার বৃষ্টি 
  • নাটোরের শিশুর লাশ উদ্ধারের মামলায় পাঁচ কিশোর আটক
  • কৃষি পরিবারের বউ হয়ে এসেছিলেন, হয়েছেন দেশসেরা কৃষক
  • বীথি: পর্ব ১৭
  • কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে প্রতীকী গদিতে আগুন জ্বালালেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা
  • পাকিস্তানে কেএফসিতে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ১, গ্রেপ্তার ১৭৮
  • পাকিস্তানে কেএফসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নিহত ১, গ্রেপ্তার ১৭৮
  • ‘আমি আওয়াজ দিয়ে মরতে চাই’
  • তৃতীয় দেশে অভিবাসী বিতাড়ন করার ট্রাম্পের পরিকল্পনা আটকে দিয়েছেন আদালত