মিয়ানমারের জোড়া ভূমিকম্পে ১০ জন নিহত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে প্রাপ্ত ছবিতে ক্ষয়ক্ষতির যে মাত্রা দেখা গেছে, তাতে বহু হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুক্রবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম খিত তিথের বরাত দিয়ে চীনা দৈনিক সিজিটিএন এ তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় সময় দুপুরে মিয়ানমারের মান্দালয়ে রিখটার স্কেলে প্রথম দফায় ভূমিকম্প হয়। এর ১২ মিনিট পরে হয় আফটার শক। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, জোড়া কম্পনের মাত্রা রিখটার স্কেলে ছিল যথাক্রমে ৭ দশমিক ৭ এবং ৬ দশমিক ৪।
খিত তিথ জানিয়েছে, মান্দালয়ে একটি মসজিদ ধসে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। তবে সরকারি কোনো সূত্র এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেনি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, উদ্ধার তৎপরতা চালাতে সামরিক জান্তা সাগাইং, মান্দালয়, ম্যাগওয়ে, বাগো, ইস্টার শান রাজ্য এবং নেপিদো অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষয়ক্ষতির তদন্ত করবেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ সমন্বয় শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বায়তুল মোকাররমে ঈদের ৫ জামাত অনুষ্ঠিত
যথাযথ মর্যাদায় ধর্মীয় গাম্ভীর্যে সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।
সোমবার (৩১ মার্চ) ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
আজ সকাল ৭টায় প্রথম জামাত ও সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে সকাল ৯টায় তৃতীয়, সকাল ১০টায় চতুর্থ এবং বেলা ১০টা ৪৫ মিনিটে সর্বশেষ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জামাতে অংশ নিতে সকাল থেকেই বায়তুল মোকাররম মসজিদে মুসল্লিদের ঢল নামে। বায়তুল মোকাররমে ঈদ জামাতে নাশকতা ঠেকাতে পল্টন মোড়সহ মসজিদের আশেপাশে ব্যাপক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়।
এদিন, সকাল সাড়ে ৬টার মধ্যেই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মুসল্লিরা উপস্থিত হন।
নামাজ আদায় শেষে দু’হাত তুলে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করেন ছোট বড় সব বয়সী মুসল্লিরা। এছাড়া, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়। পাশাপাশি সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহসহ সব মানুষের গুনাহ মাফ চেয়ে দোয়া কামনা করা হয়। যেকোনো বিপদ থেকে দেশকে হেফাজতের জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করা হয়েছে।
ঈদের নামাজ আদায়ের পর প্রধান আনন্দ হিসেবে পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন মুসল্লিরা।
ঈদের নামাজের প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী। মুকাব্বির ছিলেনন মসজিদের অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান।
দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররমের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন এই মসজিদের প্রধান খাদেম মো. নাসিরউল্লাহ।
তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস মাওলানা মুফতি ওয়ালিউর রহমান খান। মুকাব্বির থাকবেন জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আবদুল হাদী।
চতুর্থ জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ ও সংকলন বিভাগের সম্পাদক মুশতাক আহমদ। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররমের খাদেম মো. আলাউদ্দীন।
পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। মুকাব্বির ছিলেন জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আক্তার মিয়া।
ঢাকা/এনটি/ইভা