ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশে সৃষ্ট যানজট স্বাভাবিক হয়েছে। ধীরগতিতে চলতে শুরু করেছে যানবাহন। শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে যানজটের সৃষ্টি হয়।

মহাসড়কে দায়িত্বরত গজারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল কাদের বলেন, ‘‘ঈদ উপলক্ষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। সেই সঙ্গে গত রাতে মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জ অংশে একাধিক দুর্ঘটনার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। তবে, আজ দুপুর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।’’

ঢাকা থেকে চাঁদপুরগামী যাত্রী মোবারক হোসেন বলেন, ‘‘মেঘনা সেতু পার হওয়ার পর থেকেই যানজটে আটকে ছিলাম। এখন পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।’’

গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘‘গত রাতে মহাসড়কের গজারিয়া অংশের বালুয়াকান্দী, আনারপুরা ও বাউশিয়া এলাকায় একাধিক সড়ক দুর্ঘটনা ও মহাসড়কে যানবাহনের চাপের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।’’

ঢাকা/রতন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব ভ ব ক হয় য নজট

এছাড়াও পড়ুন:

বায়তুল মোকাররমে ঈদের ৫ জামাত অনুষ্ঠিত 

যথাযথ মর্যাদায় ধর্মীয় গাম্ভীর্যে সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। 

সোমবার (৩১ মার্চ) ঢাকার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। 

আজ সকাল ৭টায় প্রথম জামাত ও সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে সকাল ৯টায় তৃতীয়, সকাল ১০টায় চতুর্থ এবং বেলা ১০টা ৪৫ মিনিটে সর্বশেষ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

জামাতে অংশ নিতে সকাল থেকেই বায়তুল মোকাররম মসজিদে মুসল্লিদের ঢল নামে। বায়তুল মোকাররমে ঈদ জামাতে নাশকতা ঠেকাতে পল্টন মোড়সহ মসজিদের আশেপাশে ব‌্যাপক পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়। 

এদিন, সকাল সাড়ে ৬টার মধ্যেই বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মুসল্লিরা উপস্থিত হন। 

নামাজ আদায় শেষে দু’হাত তুলে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করেন ছোট বড় সব বয়সী মুসল্লিরা। এছাড়া, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দোয়া করা হয়। পাশাপাশি সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহসহ সব মানুষের গুনাহ মাফ চেয়ে দোয়া কামনা করা হয়। যেকোনো বিপদ থেকে দেশকে হেফাজতের জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করা হয়েছে।

ঈদের নামাজ আদায়ের পর প্রধান আনন্দ হিসেবে পরস্পরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন মুসল্লিরা।

ঈদের নামাজের প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মুহিববুল্লাহিল বাকী। মুকাব্বির ছিলেনন মসজিদের অবসরপ্রাপ্ত মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররমের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির থাকবেন এই মসজিদের প্রধান খাদেম মো. নাসিরউল্লাহ।

তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস মাওলানা মুফতি ওয়ালিউর রহমান খান। মুকাব্বির থাকবেন জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আবদুল হাদী।

চতুর্থ জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদ ও সংকলন বিভাগের সম্পাদক মুশতাক আহমদ। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররমের খাদেম মো. আলাউদ্দীন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতে ইমামতি করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। মুকাব্বির ছিলেন জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আক্তার মিয়া।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ