সমালোচনার মুখে আইসিটির প্রসিকিউটর সিলভিয়ার নিয়োগ বাতিল
Published: 28th, March 2025 GMT
ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার অভিযোগ থাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আফরোজ পারভীন সিলভিয়ার নিয়োগ বাতিল করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) আফরোজ পারভীন সিলভিয়ার নিয়োগ বাতিলের তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী এম এইচ তামিম।
গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আফরোজ পারভীন সিলভিয়াসহ চার জনকে প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। অন্যরা হলেন—মো.
এরপর সিলভিয়ার নিয়োগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সিলভিয়াকে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেত্রী হিসেবে উল্লেখ করে তার নিয়োগ বাতিলের দাবি জানান ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আইনজীবী’রা। সমালোচনার মুখে পরদিনই তার নিয়োগ বাতিল করল আইন মন্ত্রণালয়।
ঢাকা/মামুন/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রুল হাইকোর্টের
সুপ্রিম কোর্টের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন। এর আগে তিনি গত ২৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বরাবর আবেদন করেন। যথাযথ সাড়া না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, যা বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিবেদনেও প্রকাশ পেয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য বিধিনিষেধ উপেক্ষিত হচ্ছে।
রিটকারী আবেদনকারীর মতে, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সহকারী ব্যতীত অন্য সকল প্রবেশকারীর জন্য আইডি কার্ড প্রদর্শন, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ এবং যাচাই করা বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। আবেদনকারী আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, অতীতে দেশের বিভিন্ন আদালতের প্রাঙ্গণে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেজন্য সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় অভিনব কৌশলে নাশকতার ঝুঁকি রয়েছে। তাই, আইনজীবী ও সহকারীদের জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রবেশ নিশ্চিত করা এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি করে প্রমাণপত্র যাচাই সাপেক্ষে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।