সমালোচনার মুখে আইসিটির প্রসিকিউটর সিলভিয়ার নিয়োগ বাতিল
Published: 28th, March 2025 GMT
ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে কাজ করার অভিযোগ থাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পাওয়া সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আফরোজ পারভীন সিলভিয়ার নিয়োগ বাতিল করেছে আইন মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) আফরোজ পারভীন সিলভিয়ার নিয়োগ বাতিলের তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী এম এইচ তামিম।
গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আফরোজ পারভীন সিলভিয়াসহ চার জনকে প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। অন্যরা হলেন—মো.
এরপর সিলভিয়ার নিয়োগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সিলভিয়াকে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেত্রী হিসেবে উল্লেখ করে তার নিয়োগ বাতিলের দাবি জানান ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আইনজীবী’রা। সমালোচনার মুখে পরদিনই তার নিয়োগ বাতিল করল আইন মন্ত্রণালয়।
ঢাকা/মামুন/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০টির বেশি ভিসা বাতিল, অধিকাংশই ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের: মার্কো রুবিও
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, তিনি ইসরায়েলবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে ৩০০টির বেশি ভিসা বাতিল করেছেন এবং তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি এ কথা বলেন। এ সময় মুখোশধারী এজেন্টরা এক শিক্ষার্থীকে আটক করা নিয়ে দেশটিতে সৃষ্ট উত্তেজনাকে পাত্তা দেননি তিনি।
ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক রুবিও বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিটি ভিসা বাতিলের আদেশে স্বাক্ষর করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে মার্কিন বাকস্বাধীনতার সুরক্ষা লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
কতজনের ভিসা বাতিল করা হয়েছে জানতে চাইলে রুবিও বলেন, ‘এই মুহূর্তে হয়তো ৩০০টির বেশি। আমরা প্রতিদিন এটি করি।’ বাতিল করা ভিসার বেশির ভাগই শিক্ষার্থীদের।
গায়ানা সফরকালে রুবিও সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এই উন্মাদদের পেলেই তাঁদের ভিসা কেড়ে নিই। আমি আশা করি, কোনো এক সময় আমরা তাদের কাছ থেকে মুক্তি পাব।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প কলেজ ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
এই সপ্তাহের শুরুতে ইন্টারনেটে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এতে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের টাফ্টস বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ৩০ বছর বয়সী তুর্কি স্নাতক ছাত্রী রুমেসা ওজতুর্ককে সাদা পোশাকে মুখোশধারী এজেন্টরা আটক করেছেন।
ওজতুর্ক শিক্ষার্থীদের একটি পত্রিকায় গাজায় ইসরায়েলের কর্মকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ বলে নিন্দা জানিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। এখন তাঁকে বহিষ্কারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
অভিবাসন আইনজীবী মাহসা খানবাবাই অভিযোগ করেছেন, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ওজতুর্ককে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য লুইজিয়ানার একটি আটক কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাকে আইনি প্রতিনিধিত্বের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
আইনজীবী বলেন, ‘হোম সিকিউরিটি বিভাগের মুখোশধারী এজেন্টরা আমার মক্কেলকে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করেছে।’