মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলে আজ শুক্রবার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এ ঘটনায় দেশটির রাজধানী নেপিডোর বিভিন্ন সড়কে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আজ দুপুরের দিকে মিয়ানমারে শক্তিশালী ওই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, সাগাইং শহর থেকে উত্তরপশ্চিমে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি। ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৭ দশমিক ৭। কয়েক মিনিট পর একই এলাকায় ৬ দশমিক ৪ তীব্রতার একটি আফটারশক অনুভূত হয়।

এএফপির সাংবাদিকদের বর্ণনা অনুযায়ী, মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে ভূমিকম্পের সময় বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকে অংশবিশেষ খসে পড়েছে। নেপিডো শহরে ২০ লেন পর্যন্ত প্রশস্ত রাস্তা আছে। এএফপির সাংবাদিকেরা বলেছেন, ভূমিকম্পের কারণে শহরের বিভিন্ন সড়কে ফাটল তৈরি হয়েছে।

ভূমিকম্পের সময় এএফপির সাংবাদিকদের একটি দল নেপিডোর জাতীয় জাদুঘরে অবস্থান করছিল। তাঁরা বলেছেন, ভূমিকম্পের সময় ভবনের ছাদ থেকে অংশবিশেষ ভেঙে পড়ে এবং দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়। ভবনে অবস্থানকারী কর্মীরা দৌড়ে বের হয়ে যান। তাঁদের কেউ কেউ কাঁপছিলেন, তাঁদের কারও কারও চোখে ছিল পানি। কেউ কেউ সেলফোন হাতে নিয়ে প্রিয়জনদের খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। প্রায় আধা মিনিট ধরে কম্পন চলেছে।

ভূমিকম্পের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভূমিকম্পের সময় প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডের বিভিন্ন শহরের বাসিন্দাদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।

মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর নেপিডোর বিভিন্ন সড়কে ফাটল দেখা দিয়েছে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ ম কম প র সময় ভ ম কম প র স

এছাড়াও পড়ুন:

মিয়ানমারের হাসপাতালে বাড়ছে আহতদের ভিড়, সেবা দিতে হিমশিম

মিয়ানমারে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে আহতদের ভিড়। বিপুল সংখ্যক রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। খবর এএফপির।

স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার দেশটির রাজধানী নেপিদোতে অবস্থিত এক হাজার শয্যার হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে আহতদের লম্বা সারি দেখা গেছে। কিছু আহত ব্যক্তি ব্যথায় ছটফট করছেন, অন্যরা শঙ্কিত অবস্থায় পড়ে আছেন। স্বজনেরা তাদের সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, কারও কারও হাতে ইনট্রাভেনাস ড্রিপ লাগানো ছিল।

হাসপাতালটিতে বানের জোয়ারের মতো আসছেন আহতরা- কেউ গাড়িতে, কেউ পিকআপে, আবার কাউকে স্ট্রেচারে করে আনা হচ্ছে। তাদের শরীর রক্তাক্ত এবং ধুলোতে আচ্ছাদিত।

হাসপাতালের একজন চিকিৎসক এএফপিকে বলেন, আমরা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছি। ভীষণ ক্লান্ত।

হাসপাতালের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, শত শত আহত মানুষ আসছে, কিন্তু এখানে জরুরি ভবনও ধসে পড়েছে।

আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন মিয়ানমারের সামরিক প্রধান মিন অং হ্লাইং।

আজ দুপুরে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প, যার কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের সাগাইং অঞ্চলে। এর তীব্র প্রভাব অনুভূত হয় প্রতিবেশী বাংলাদেশ, চীন ও থাইল্যান্ডে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাকিস্তানে আট সেনাসদস্যসহ নিহত ১৭
  • বৈরুতে ইসরায়েলের বিমান হামলা
  • মিয়ানমারের হাসপাতালে বাড়ছে আহতদের ভিড়, সেবা দিতে হিমশিম