জটিলতা কাটিয়ে আসছে ‘কৃষ-ফোর’, নয়া অবতারে হৃতিক
Published: 28th, March 2025 GMT
বলিউডের জনপ্রিয় সিনেমা ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘কৃষ’। গত অর্ধ যুগের বেশি সময় ধরে এর চতুর্থ কিস্তি ‘কৃষ-ফোর’ নিয়ে বহু জল্পনা-কল্পনা হয়েছে। কয়েক দিন আগে জানা যায়, সিনেমাটির বাজেট দাঁড়িয়েছে ৭০০ কোটি রুপি। কিন্তু কেউ ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না। ফলে আটকে আছে সিনেমাটির কাজ।
সব জটিলতা উড়িয়ে নতুন ঘোষণা দিলেন এই সুপারহিরো সিনেমার পরিচালক রাকেশ রোশান। শুক্রবার (২৮ মার্চ) হৃতিকের বাবা রাকেশ মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে (টুইটার) একটি পোস্ট দেন। তাতে তিনি জানান, ‘কৃষ-ফোর’ পরিচালনাও করবেন হৃতিক। এটি প্রযোজনা করবে যশরাজ ফিল্মস।
রাকেশ রোশান লেখেন, “২৫ বছর আগে আমি তোমাকে (হৃতিক) অভিনেতা হিসেবে লঞ্চ করেছিলাম। আজ ২৫ বছর পর দুই চলচ্চিত্র নির্মাতা আদি (আদিত্য চোপড়া) এবং আমি তোমাকে পরিচালক হিসেবে লঞ্চ করছি; আমাদের সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী ‘কৃষ-ফোর’ সিনেমা এগিয়ে নেওয়ার জন্য। তোমাদের এই নতুন জার্নির সাফল্য কামনা করছি, আশীর্বাদ রইল।”
আরো পড়ুন:
আহত হৃতিক রোশান
ভুল বোঝাবুঝি থেকে হৃতিক-সুজানের বিচ্ছেদ: রাকেশ রোশান
২০০৩ সালে মুক্তি পায় এ ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম সিনেমা ‘কই মিল গ্যায়া’। এরপর ২০০৬ সালে মুক্তি পায় ‘কৃষ’। এতে দর্শকের সামনে সুপারহিরো হিসেবে হৃতিককে হাজির করেন রাকেশ। সিনেমাটির সাফল্যের পর ২০১৩ সালে ‘কৃষ-থ্রি’ নির্মাণ করেন তিনি। এটিও দর্শকের মাঝে ভালো সাড়া ফেলে।
‘কৃষ-থ্রি’ সিনেমায় হৃতিক ছাড়াও অভিনয় করেছিলেন বিবেক ওবেরয়, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, কঙ্গনা রানৌত প্রমুখ। তবে ‘কৃষ-ফোর’ সিনেমায় কে কে অভিনয় করবেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। কবে নাগাদ শুটিং শুরু হবে সে বিষয়েও কিছু জানাননি হৃতিকের বাবা।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন না করেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে যেতে চায় ইইউ
ইউরোপীয় কমিশন জানিয়েছে, চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন না করেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে যেতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ব্রাসেলস ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান আলোচনা প্রসঙ্গে এ কথা জানিয়েছে সংস্থাটি । চীনের সংবাদমাধ্যম সিএমজি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, ৭০টির বেশি দেশের সঙ্গে শুল্ক আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বেইজিংয়ের সঙ্গে তাদের বাণিজ্য সীমিত করার একটি পরিকল্পনা চলছে।
দ্য আইরিশ টাইমস জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের চাওয়া- ইইউ যেন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি পক্ষ বেছে নেয়। তবে ইউরোপীয় কমিশনের উপমুখপাত্র আরিয়ানা পোদেস্তা স্পষ্টভাবে বলেছেন, চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের এই আলোচনা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমাদের চীন নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
তিনি জানান, চীন-ইইউ সম্পর্ক নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লায়েন। তাঁর পক্ষ থেকে বেইজিংয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও বজায় রাখা হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ঝুঁকি হ্রাস করা। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নয়।
ইউরোপের ভ্যাট এবং টেক জায়ান্টদের বিভিন্ন নিয়মকে অন্যায্য সুবিধা মনে করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জবাবে কমিশন বলেছে, ইউরোপের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুস্থতার প্রশ্নে কোনো আপস হবে না।
ভন ডার লায়েন জানান, বিশ্ব ব্যবস্থা যত অনিশ্চিত হচ্ছে, ইউরোপের পাশে দাঁড়াতে আগ্রহী দেশের সংখ্যাও বাড়ছে। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য ও ইইউকে বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। ব্রুগেলের সিনিয়র ফেলো আন্দ্রে সাপিরও বলেছেন, মার্কিন শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় ইইউর একটি আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত বাণিজ্য জোট গঠন করা উচিত।
তিনি বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বারা প্রকাশিত উন্মুক্ত ও নিয়মভিত্তিক বাণিজ্যের জন্য ইইউ নেতাদের জি-২০ এবং জি-২০-বহির্ভূত দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।