ঈদে বাড়ি ফেরা হলো না মা-ছেলের, হাসপাতালে বাবা
Published: 28th, March 2025 GMT
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী মা ও ছেলে নিহত হয়েছেন। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন বাবা। তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- কুষ্টিয়া শহরের গোশালা রোডের বাসিন্দা আব্দুল কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী ইতি খাতুন (২৮) ও তার ৩ বছরের ছেলে আহনাফ ইব্রাহিম। এ দুর্ঘটনায় আব্দুল কাদের সিদ্দিকীও গুরুতর আহত।
বগুড়ার কর্মস্থল থেকে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ঈদের ছুটিতে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন তারা।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কে বাইপাস গোল চত্বরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক(এস আই) জয়দেব কুমার বলেন, “বগুড়ার কর্মস্থল থেকে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ঈদের ছুটিতে মোটরসাইকেলযোগে কুষ্টিয়ার নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিরত আব্দুল কাদের (৩৮)। সকাল ১০ টার দিকে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের বাইপাস এলাকায় মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে একটি দ্রুতগতির ট্রাক ধাক্কা দিলে মা-ছেলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।”
হাইওয়ে থানার এই উপপরিদর্শক বলেন, “লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তবে ঘাতক ট্রাকটিকে আটক করা যায়নি।”
ঢাকা/কাঞ্চন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শ্বাসনালিতে আতশবাজির আগুন, মুহূর্তে প্রাণ গেল শিশুর
পটুয়াখালীতে শ্বাসনালিতে আতশবাজি ঢুকে মোহাম্মদ রাফি (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পৃথক ঘটনায় আতশবাজি ফোটাতে গিয়ে আহত হয়েছেন আরো দুজন।
শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে জেলা শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাফি পৌর নিউ মার্কেটের মাছ ব্যবসায়ী মানির হাওলাদারের ছেলে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনায় পরিবারসহ এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছে।
এ ছাড়াও রাত সাড়ে নয়টার দিকে আতশবাজি ফোটাতে গিয়ে মো. বেলাল তালুকদার (১৬) এবং তার চাচাতো ভাই মো. রাব্বি (১৫) আহত হয়েছেন। দুজনের বাড়ি সদর উপজেলার হকতুল্লা গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরিবারের বাধা সত্ত্বেও রাফি গতকাল রাতে বন্ধুর সঙ্গে স্থানীয় বাজারে আতশবাজি ফোটাতে যায়। এ সময় আতশবাজির একটি অংশ রাফির শ্বাসনালিতে ঢুকে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাফিকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাফির মামা মো. বশার মিয়া জানান, মাগরিবের নামাজের পরে রাফিকে আতশবাজি ফোটাতে নিষেধ করে তিনি বাজারে চলে যান। রাত ৮টার দিকে খবর পান আতশবাজি ফোটাতে গিয়ে রাফি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।
রাফির বাবা মো. মনির হোসেন বলেন, ‘‘আমার ছেলে ঈদের আনন্দ করছিল, কে জানত এই আনন্দই তার জীবনের শেষ মুহূর্ত হবে!’’
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. ইমতিয়াজ আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘এ ধরনের দুর্ঘটনা খুবই দুঃখজনক। অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে। অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’’
ইমরান//