কু‌ষ্টিয়া সদর উপ‌জেলায় ট্রা‌কের ধাক্কায় মোটরসাইকে‌ল আরোহী মা ও ছে‌লে নিহত হয়েছেন। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন বাবা। তাকে উদ্ধার করে কু‌ষ্টিয়া জেনা‌রেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

নিহতরা হলেন- কু‌ষ্টিয়া শহ‌রের গোশালা রো‌ডের বাসিন্দা আব্দুল কা‌দের সি‌দ্দিকীর স্ত্রী ইতি খাতুন (২৮) ও তার ৩ বছরের ছে‌লে আহনাফ ইব্রা‌হিম। এ দুর্ঘটনায়  আব্দুল কা‌দের সি‌দ্দিকীও গুরুতর আহত।

বগুড়ার কর্মস্থল থে‌কে স্ত্রী ও সন্তান‌কে নি‌য়ে ঈদের ছু‌টি‌তে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। 

শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে কু‌ষ্টিয়া-‌ঈশ্বরদী মহাসড়কে বাইপাস গোল চত্ব‌রে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

কু‌ষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে পুলিশের উপপ‌রিদর্শক(এস আই) জয়‌দেব কুমার বলেন, “বগুড়ার কর্মস্থল থে‌কে স্ত্রী ও সন্তান‌কে নি‌য়ে ঈদের ছু‌টি‌তে মোটরসাইকেলযো‌গে কু‌ষ্টিয়ার নিজ বা‌ড়ি‌তে ফির‌ছি‌লেন এক‌টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠা‌নের চাকরিরত আব্দুল কা‌দের (৩৮)।  সকাল ১০ টার দি‌কে কু‌ষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের বাইপাস এলাকায় মোটরসাইকেল‌টি‌কে পেছন থে‌কে এক‌টি দ্রুতগ‌তির ট্রাক ধাক্কা দি‌লে  মা-ছে‌লে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।”

হাইওয়ে থানার এই উপপ‌রিদর্শক বলেন, “লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। ত‌বে ঘাতক ট্রাক‌টি‌কে আটক করা যায়‌নি।” 

ঢাকা/কাঞ্চন/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিজয়ের সেঞ্চুরির ফিফটি, মোহামেডান-আবাহনীর জয়

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও আবাহনী লিমিটেড। তাদের জয়ের দিনে এনামুল হক বিজয়ের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সও। এই সেঞ্চুরিতে বিজয় একটি রেকর্ডও গড়েছেন। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে লিস্ট এ ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫০টি সেঞ্চুরির মাইলফলক ছুঁয়েছেন।

বিকেএসপিতে তাদের বিপক্ষে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ আগে ব্যাট করতে নেমে সাইফ হাসানের ৫২, তানজিদ হাসানের ৬৮, আফিফ হোসেনের ৩২ ও আকবর আলীর ২৯ রানে ভর করে ৩৯.২ ওভারে ২২৩ রানে অলআউট হয়ে যায়।

গাজী গ্রুপের শেখ পারভেজ জীবন ৭ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেন। ওয়াসি সিদ্দিকী নেন ২টি উইকেট।

আরো পড়ুন:

মোহামেডানে খেলবেন মোস্তাফিজ 

শীর্ষে এনামুল-রাকিবুল

রান তাড়া করতে নেমে এনামুল হক বিজয়ের অপরাজিত ১১০ রানের ইনিংসে ভর করে ৪১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে গাজী গ্রুপ। বিজয়ের ইনিংসে ১০টি চারের পাশাপাশি ১টি ছক্কার মার ছিল। এছাড়া সালমান হোসেন ইমন ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৮ ও সাদিকুর রহমান করেন ৩৬ রান। ম্যাচসেরা হন বিজয়।

এদিকে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। অগ্রণী ব্যাংক আগে ব্যাট করতে নেমে ইমরুল কায়েসের ৪১, অমিত হাসানের ৪০, ইমরানুজ্জামানের ৩৮ ও মার্শাল আইয়ুবের ৩৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৪২ ওভারে ৯ উইকেটে ২৪০ রান তোলে।

বল হাতে মোহামেডানের মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ৯ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন। এবাদত হোসেন ৮ ওভারে ৩০ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। আর মোস্তাফিজুর রহমান ৯ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।

জবাব দিতে নেমে রনি তালুকদারের ১০০ বলে ১০টি চার ও ৫ ছক্কায় খেলা অনবদ্য ১২২ ও আনিসুল ইসলাম ইমনের ৭৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৩৬.১ ওভারে জয় নিশ্চিত করে।

মোহামেডানের ৩টি উইকেটই নেন অগ্রণী ব্যাংকের আরিফ আহমেদ। ম্যাচসেরা হন মোহামেডানের রনি।

মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ৫০ রানের দারুণ জয় পেয়েছে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। তারা আগে ব্যাট করতে নেমে পারভেজ হোসেন ইমনের ৮৩, মোহাম্মদ মিঠুনের ৪৫, জিশান আলমের ২৬ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ২৬ রানে ভর করে ৪৯.৫ ওভারে ২৭৮ রানে অলআউট হয়।

বল হাতে গুলশানের রায়হান আলী ইকরাম ও ফরহাদ রেজা ৩টি করে উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন নিহাদুজ্জামান।

জবাব দিতে নেমে নিহাদুজ্জামান ৭৩ বলে ৬টি চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি। ৫০ ওভারে তারা অলআউট হয় ২২৮ রানে।

নিহাদুজ্জামান ছাড়া সাকিব শাহরিয়ার ৪২, শাহাদত হোসেন সবুজ ৩৫ ও মেহেদী হাসান ২৫ রানের ইনিংস খেলেন।

বল হাতে আবাহনীর এসএম মেহরব, রাকিবুল হাসান, মাহফুজুর রহমান রাব্বি ও মোসাদ্দেক হোসেন ২টি করে উইকেট নেন।

৮৩ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন আবাহনীর ইমন।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ