Samakal:
2025-04-20@15:52:41 GMT

ছয় মাসে ২১ ম্যাচের ব্যস্ততা

Published: 28th, March 2025 GMT

ছয় মাসে ২১ ম্যাচের ব্যস্ততা

নিয়োগ পেয়েই নাভিদ নেওয়াজ দল গোছানোর কাজে নেমে পড়েছিলেন ২০২৪ সালে। প্রাথমিকভাবে বড় স্কোয়াড নিয়ে শুরু করে সীমিত করে এনেছিলেন জুলাই মাসে। গত ৯ মাসে দল গড়ার কাজ শেষ করে এবার বিশ্বকাপে মনোযোগ কোচের। আগামী মাস থেকে ম্যাচ খেলায় মনোযোগী হবেন নাভিদ নেওয়াজরা। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে আগামী ছয় মাসে ২১টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। দ্বিপক্ষীয় এবং ত্রিদেশীয় সিরিজগুলো হবে বিদেশের মাটিতে। শ্রীলঙ্কা দিয়ে শুরু, শেষ ইংল্যান্ডের মাঠে।

বিসিবি গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার আবু ইমান মো.

কাউসার জানান, বাংলাদেশের যুবারা ২১ এপ্রিল শ্রীলঙ্কা যাবে ছয় ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলতে। সিরিজের সব ম্যাচই হবে হাম্বানটোটায়। লঙ্কা থেকে দেশে ফিরে আজিজুল হাকিম তামিমদের প্রস্তুতি নিতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের। জুলাই মাসে জুনিয়র প্রোটিয়াদের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ও তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে বলে জানান কাউসার। বেনুনী ও প্রিটোরিয়ায় হবে সিরিজগুলো। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপ মাথায় রেখে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে জিম্বাবুয়েতে। 

কাউসার বলেন, ‘আগামী বিশ্বকাপ হবে জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়াতে। ভেন্যুকেন্দ্রিক ভালো প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা থাকবে। জিম্বাবুয়ের কাছাকাছি কন্ডিশন দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ত্রিদেশীয় সিরিজে ভালো খেলা হবে আশা করা যায়। জুলাই-আগস্টে খেলা শেষ করে যেতে হবে ইংল্যান্ডে। ওখানে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ ছাড়াও একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ হতে পারে। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড চেষ্টা করবে আরেকটি দল নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের।’ 

ইংলিশ যুবাদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ খেলবেন আজিজুলরা। সেপ্টেম্বরে হবে খেলাগুলো। এই সিরিজগুলো শেষে এশিয়া কাপের প্রস্তুতি নেবেন খেলোয়াড়রা।

বাংলাদেশ এশিয়া কাপে টানা দুই বারের চ্যাম্পিয়ন। বিশ্বকাপের আগে এই টুর্নামেন্টে ভালো খেলা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন কোচ নাভিদ। কারণ এশিয়া কাপ-পরবর্তী সময়ে তেমন ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে না। টুর্নামেন্ট হিসেবে ফাইনাল মহড়া হবে সেটি। কাউসার জানান, ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ে যাওয়ার আগে দেশের মাটিতে একটি সিরিজ খেলার চেষ্টা করবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছেন তারা। মূলত ২০২০ সালের বিশ্বকাপের সাফল্য মাথায় রেখে প্রস্তুত করা হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে। 

২০২০ সালে শিরোপা জেতার পর মাঝে দুটি বিশ্বকাপ খেলে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। মূলত সেই মানের খেলোয়াড় ছিল না। এবারের দলটা ২০২০ সালের দলের মতোই। ব্যাটিং, বোলিং বিভাগ দারুণ কার্যকর। পারভেজ হোসেন ইমনের মতো পেস বোলার আছেন দলে। বিপিএল, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলে যারা পরিণত হচ্ছেন বড় মঞ্চের জন্য। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটও খেলেন যুবাদের কেউ কেউ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রস ত ত ব শ বক প

এছাড়াও পড়ুন:

নিজের প্রতি সৎ থেকে ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চাই: মেসি 

কাতার বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই প্রশ্ন ‘মেসি কি ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলবেন?’ একাধিকবার ইতিবাচক উত্তর দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে খেলা সর্বকালের অন্যতম সেরা এই তারকা। এবারও ‘সিম্পিলিমেন্টে ফুটবল’কে সাক্ষাৎকারে পরবর্তী বিশ্বকাপে খেলার কথা বলেছেন মেসি। তবে নিজের কাছে সৎ থেকে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে পা রাখতে চান তিনি। 

আগামী জুনে মেসির বয়স হয়ে যাবে ৩৮ বছর। ২০২৬ সালের বিশ্বকাপের সময় ৩৯ বছর পূর্ণ করে ফেলবেন তিনি। ওই বয়সে বিশ্বকাপ খেলা সহজ কাজ নয়। মেসি তাই প্রতিটি দিন ধরে এগোচ্ছেন। তার বক্তব্যের সারমর্ম হলো- যদি নিজের কাছে মনে হয় বিশ্বকাপ খেলার মতো ফিট আছেন এবং তিনি দলের জন্য বোঝা হবেন না তবেই খেলবেন বিশ্বকাপে। 

মেসি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমার জন্য এই বছরটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই, আমি বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছি এবং দলের সঙ্গে বিশ্বকাপে থাকতে চাই। কিন্তু আমি দিন ধরে ধরে এগোচ্ছি। আমি বিশ্বকাপে খেলতে পারবো কিনা এ বিষয়ে আমাকে নিজের প্রতি সৎ থাকতে হবে।’ 

সাক্ষাৎকারে মেসি কাতারে বিশ্বকাপ জয় নিয়ে যেমন কথা বলেছেন তেমনি ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে হারা নিয়েও কথা বলেছেন। ২০১৪ বিশ্বকাপ নিয়ে নিজেকে এমবাপ্পের সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি, ‘এমবাপ্পে ফাইনালে চার গোল (টাইব্রেকারসহ) করেছে। তবু সে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। এটা পাগলাটে মনে হবে। যদিও সে ২০১৮ বিশ্বকাপ জিতেছে, তার একটা স্বান্তনা আছে। একই ঘটনা ২০১৪ বিশ্বকাপে আমার সঙ্গে ঘটেছিল, ওই বিশ্বকাপ ছিল আমার জন্য মানসিক যন্ত্রণার। আপনি এখনো ভাবতে পারেন, আমার দুটো বিশ্বকাপ শিরোপা থাকতে পারত।’ 

তারপরও কাতারে বিশ্বকাপ জেতায় নিজেকে ধন্য ও পূর্ণ মনে করেন মেসি। ঈশ্বরের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান, ‘আমার আর কিছু চাওয়ার নেই। শুধু বিশ্বকাপটা ছিল না। সেটাও জিতেছি, ফুটবলে সম্ভাব্য সবকিছুই অর্জন করেছি আমি। এটা বলতে পারা খুবই মূল্যবান অর্জন। আমি সবসময় বলি, ঈশ্বরের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তিনি আমাকে কৃপা করেছেন, সবকিছু দিয়েছেন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এভাবে আর কত দিন নেইমারের
  • তথ্য গোপন করে পদ নেওয়া নোয়াখালীর সেই ছাত্রদল নেতাকে অব্যাহতি
  • পড়েন এক কলেজে, অন্য কলেজে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক
  • ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানালেন মেসি
  • নিজের প্রতি সৎ থেকে ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চাই: মেসি 
  • ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে নিজের সঙ্গে ‘সৎ’ থাকতে চান মেসি