জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের তিন নেতাকে সাংগঠনিক পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি
Published: 28th, March 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন সরদার, রাশেদ বিন হাকিম ও ওমর ফারুককে সাংগঠনিক পদ থেকে এক মাসের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়েছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে ছাত্রদল।
সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এই তিনজনকে গতকাল দুপুরের দিকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছিল ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ। মধ্যরাতে তাঁদের সাংগঠনিক পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হলো।
২২ মার্চ আজমেরী পরিবহনের কাউন্টার দখল ও চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে বাসমালিকদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে সুমনের বিরুদ্ধে। এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদ। অন্যদিকে ২৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় চাঁদাবাজি ও দোকান দখলের অভিযোগ ওঠে রাশেদ ও ফারুকের বিরুদ্ধে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র ক ন দ র য় গঠন ক
এছাড়াও পড়ুন:
কেমন ছিল ’৭১–এর ঈদ
সাড়ে সাত কোটি বাঙালি স্বাধীন হয়েছিল ঠিক ৫৪ বছর আগে—১৯৭১ সালে। স্বাধীনতাযুদ্ধের সেই বছরের পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়েছিল ২০ নভেম্বর, বারের হিসাবে দিনটি ছিল শনিবার। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনী কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা, মা-বোনদের ধর্ষণ, মুক্তিবাহিনী ও সংখ্যালঘুদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ চালাচ্ছিল। তাই একাত্তরে বিজয়ের প্রতীক্ষায় থাকা স্বজন হারানো বাঙালির ঈদ–আনন্দ ‘ম্লান’ হয়ে গিয়েছিল বলে স্মৃতিচারণামূলক বিভিন্ন লেখা ও সাক্ষাৎকারে তথ্য পাওয়া যায়।
ঈদের দিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সরাসরি যুদ্ধ হয়। বহু মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন, আহত হন অনেকে। অন্যদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অনেক সদস্য যুদ্ধে মারা যান, অনেকেই আবার মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়েন।
১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর ঈদ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের বাণী